আমি উত্তরা থেকে প্রতিদিন গুলশান গিয়ে তারাবির নামায পড়ি।তারাবি শেষ করে আসার সময় প্রতিদিন গাড়ির গ্যাস শেষ হয়ে যায়।।কারন দুপুরের পরে আর গ্যাস ভরার সুযোগ হয় না।আর এর পর তো বন্ধ ই থাকে।তারপর রাতে সি এন জি পাম্প গুলো খুললেও যে পরিমান গাড়ির লাইন থাকে তাতে গ্যাস ভরে আসতে চাইলে আমার উত্তরা আসতে আসতে সেহরির সময় হবে।
কি আর করার? যে রাস্তা আসতে আমার ৪০টাকার গ্যাস লাগে সেই রাস্তা আমার দেড়শো থেকে দু'শ টাকার তেল খরচ করে আসতে হয়।
একদিন তেল কম ছিল বিধায় গ্যাস নিতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার যারা তাদের সাথে কথা বলার সুযোগ হলো।এর কারনে সবচেয়ে ভুক্তভোগী যারা তারা হলো অটোরিক্সা চালক আর ট্যাক্সি চালকেরা।তাদের ভাড়ার প্রায় পুরোটা সময় ই পাম্পে কাটাতে হয়।দুপুরে এসেও লাইনে দাঁড়িয়ে গ্যাস পায় না,পাম্প বন্ধ হয়ে যায়।যার ফলে তাকে গ্যাস পেতে পেতে রাত ১১টা/১২টা বেজে যায়।সরকারের প্রতি তাদের প্রচন্ড ক্ষোভ দেখা গেলো।আমি বললাম যে,বাসা বাড়িতে রান্না করতে পারেন না তাইতো সরকার আপনাদের রান্নার জন্য গ্যাসের ব্যাবস্থা করতেছে।এই কথার জবাবে তাদের যে ঝারি শুনতে হলো আমাকে তা ছিল এ রকম,ধুর মিয়া!রাখেন আপনের বালের রান্না,কামাই করতে না পারলে রান্না অইব কইত্থাই কা?
হ্যাঁ,তাই তো।কামাই যদি না হয় তাহলে রান্না হবে কোথা থেকে? ইতিমধ্যে সি এন জি পাম্প মালিক সমিতি ঘোষনা করেছে,ঈদের পর থেকে এই ব্যবস্থা বন্ধ না হলে তারা লাগাতার কঠিন আন্দোলনে যাবে।
সরকারকে বলছি,দেশের মানুষকে কষ্ট না দিয়ে বিকল্প ব্যাবস্থা করুন।আর তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



