ওরে মুর্খ বেটি, জিয়া টিভির ঘোষক ছিলেন না। আগে তুই লেখাপড়া কর। ভালো করে জেনে তারপরে কথা বলতে আসিস। আমরা এটা নিয়ে কথা বলতে চাইছিলাম না। তুই যখন শুরু করলি, তা হলে এবারে শোন্- জিয়া কি ছিলেন।
জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সিপাহশালার। যে নিজে বিদ্রোহ করেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশকে স্বাধীন বলে ঘোষনা করেছে। নিজের বাহিনী নিয়ে হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ করেছে। সারা দেশের লোক ও পৃথিবীকে জানিয়েছে। তুই তো তখন হানাদারদের ভাতা খেয়ে সন্তান উৎপাদনে ব্যস্ত ছিলি, তোর তা জানার কথা না। একথা তোর বাপের জীবদ্দশায় জিয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, লিখে গেছেন রচনা। এগুলো পড়ে জ্ঞান অর্জন কর। তুই এখন আবোল তাবোল বললেই তো হবে না।
জিয়া ছিলেন এগার হাজার প্রতিরোধকারী সেনার কমান্ডার। সেটাই তাজুদ্দিন বেতার ভাষণে বলে গেছেন ১০ এপ্রিল ১৯৭১, “the Government of the People’s Republic of Bangla Desh, first announced through major Zia Rahman, to set up a full-fledged operational base from which it is administering the liberated areas.” ১৭ এপ্রিলের আগে তো আওয়ামীলীগের সরকার গঠন হয়নি। তোর বাপের কোনো কেরামতি নাই এতে। এটা পৃথিবীসুদ্ধা লোক জানে।
জিয়া ২৬ মার্চ নিজেকে স্বাধীন দেশের সরকার প্রধান ঘোষণা দিয়ে তিনি দেশ চালিয়েছেন ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন হওয়া অবধি। জিয়া ছিলেন স্বাধীন বাংলার প্রথম সরকার প্রধান। তাকিয়ে দেখ্ তোর প্রাণ ভোমরা- ভারতের সরকারী ওয়েব সাইটে স্বাক্ষ্য দিচ্ছে, "while the whereabouts of Mujib remained unknown, Major Ziaur Rahman announced the formation of the Provisional Government of Bangladesh over Radio Chittagong." আর মার্কিন ষ্টেট ডিপার্টমেন্টের কথা বলছিস? দেখ্ কি লেখা আছে ওখানে, “On March 27 the clandestine radio announced the formation of a revolutionary army and a provisional government under the leadership of a Major Zia Khan.” এটা কি তোর বাপের নাম, রে বদহুশ?
জিয়া ছিলেন বীর, আর তোর বাবা ছিলেন কাপুরুষ। মজিবের দায়িত্ব ছিলো দেশকে স্বাধীন করার ঘোষণা দেয়ার, যুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়ার। সে সাহস করে উঠতে পারে নি। কিন্তু জিয়া পেরেছে- আর পেরেছে বলেই আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক, এবং তোরাও। Your father was missing on the right time! সাড়ে সাত কোটি জনতাকে ধোকা দিয়ে ইয়াহিয়ার পরামর্শে ধরা দিয়ে রক্তের উপর দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিলেন শেখ। সে পাকিস্তান ভাঙ্গার দায়িত্ব নিয়ে বিশ্বাসঘাতক হতে চায় নি। পাকিস্তানের প্রতি ছিলেন পূর্ন ঈমানদার। তাইতো আক্রমনের পূর্বক্ষণে ২৫ মার্চ রাত নয়টায় স্বাধীনতার ঘোষণা করার জন্য তাজুদ্দিনের দেয়া চিরকুটে সই করতে বা টেপে স্বাধীনতার ঘোষণা রেকর্ড করতে রাজী হয়নি মুজিব। জানিস না- কাপুরুষরা চিরকালই ভীরু। একজন কাপুরুষকে নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে বীরের দলে চলে আয়। আমাদের সাথে একসাথে বল,
"স্বাধীন দেশের জনক জিয়া। লও লও লও সালাম”।
আর তোর ডকুমেন্ট লাগবে?? পড় নিচের ২ ডকুমেন্ট থেকে পড়ে দেখঃ
[img|http://media.somewhereinblog.net/images/thumbs/yettobefreedom_1301253576_2-Indian_army_abt_Zia.jpg
এটা সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ফখরুদ্দিন সাহেবের The critical Times বইয়ের লেখা। ওসমানী জিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণাকে খাটো করার জন্য যুদ্ধকালে জিয়াকে সাসপেন্ডও করেছিলেন।
এটা হলো হাসুর বাপের স্বীকৃত সেই পুস্তক আনন্দ পাবলিশার্সের “বাংলা নামের দেশ” বইয়ের ইতিহাস। যা সম্পর্কে শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ মার্চ ১৯৭২ তারিখে নিজ স্বাক্ষরিত এক বাণীতে বলেন, “বাংলা নামের দেশ গ্রন্থে সেই স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস, সংগ্রামের আগের ও পরের ইতিহাস, ধারাবাহিক রচনা, আলোকচিত্রমালায় চমৎকারভাবে সাজানো হয়েছে। বইটি নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ন দলিল।”
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১:৫৪