বিপত্তি বাধে কেবল ২০০৪ সালের এপ্রিল মাসের ১ তারিখ রাতে, যখন ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান ধরা পড়ে। ওই ঘটনার পর থেকেই দিল্লির সকল প্রভাবশালী পত্রিকাগুলো একের পর এক খবর, নিবন্ধ ছাপতে থাকে এ নিয়ে। এমনকি খুব দ্রুততার সাথে এর রহস্য উদঘাটন করে খবরও ছাপে! বাংলাদেশের দক্ষিণ-পুর্বাঞ্চলে অস্ত্রের ফ্রি মার্কেট আর বাংলাদেশ দক্ষিন এশিয়া তথা বিশ্বশান্তির জন্য হুমকি এমন প্রচারনা দিল্লি থেকে ওয়াশিংটন পর্যন্ত পৌছে যায়। এর পরে শুরু হয় তখনকার সরকারটি ফেলে দেয়ার চুড়ান্ত তৎপরতা। একটি কথা বলা হয়ে থাকে, ভারতীয় ‘র’ ঐ ঘটনার পিছে লেগে থেকে তা ধরিয়ে দেয়। আমার ধারনা, ‘র’ নয় বরং দশট্রাক অস্ত্র ধরিয়ে দেয়ার কাজটি বাংলাদেশের গোয়েন্দারই করেছে বা জেনারেল মইন (তখনকার চট্টগ্রামের জিওসি) করলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না (ছবিটি দেখুন, কি খুশী খুশী মুখ!) ভারতের ‘র’ যদি এটার পিছনে খাকত, তাহলে আমরা এতদিনে জানতে পারতাম কোন্ জাহাজে করে এগুলো আনা হয়েছিলো (সেটা সা.কা. চৌধুরীর জাহাজ কি না?) এ তথ্যটিও ‘র’য়ের কাছে থাকার কথা। আর ‘র’ ধরিয়ে দিয়ে থাকলে অস্ত্রের চালানটি বর্ডার পার হয়ে ভারতে ঢোকার সমযে আটক করে নিজের দখলে নিতে পারত ভারত। কিন্ত তাহলে তো বিএনপি সরকারকে এতটা দোষে ফেলা যেতো না। আরো অনেক যুক্তিতর্ক আছে। এখন তা আর উঠাতে চাইনা।
আমার প্রশ্ন অন্যত্র। বিষয়টা সক্ষমতার। উলফাকে সাহায্য করবেন? ভালো কথা। সেজন্য আপনার রণসক্ষমতা, কুটণীতি ও ষ্ট্রাটেজিক ক্যাপাবিলি আছে তো? ২০০৫ সালে মনমোহন সিং যখন জর্জ বুশের সাথে একান্তে ২৭ মিনিট সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশকে “আন্তর্জাতিক টেরোরিষ্ট কান্ট্রি” বানিয়ে এবং আমেরিকার হিটলিষ্টে ঢুকিয়ে আসলো, তখন বাংলাদেশের বীরবিক্রম রাষ্ট্রদূত ওয়াশিংটনে কি মদ-মাগী নিয়ে চুড় হয়েছিলো? না কি তার কোনো তৎপরতা ছিলো? দিল্লি চাইলো, ২০০৭ সালে খালেদার সরকারে আসার রাস্তা বল্ধ করে দিলো> মইনদ্দিরে দিয়া। নোয়াখাইল্যা জেনারেল ভাবলো, তারে বুঝি চেয়ারটা দিবে। আরে গাধা, কেনো বুঝলি না, তুই হইলি নোয়াখাইল্যা মোসলমান। তোরে দিয়া কি আবার কি আরেকটা পারভেজ মোশারফ বানাইবো?
চার্জশীট দিলেও দশট্রাক অস্ত্রের মূল ঘটনা এখনও চাপা থাকলো! জেনারেল রেজ্জাকুল, ব্রিগেডিয়ার রহিমসহ ডিজিএফআই-এনএসআইর অফিসারদের মামলায় জড়িয়ে ভারতীয় গোয়েন্দাদের দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এটা বুঝানো হলো, তোরা যেই হোস না কেনো কাউকে ছাড়া হবে না। কাজেই সামনে এ কাজ আর কেউ করতে যাবা না। আমরা দেশ স্বাধীন করে দিয়েছি, তোদের আবার কিসের সার্বভৌমত্ব, আর স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি? তোরা হবি আমাদের পুরিপুরক; এমনটাই কথা ছিলো। কিন্তু ডিজিএফআই প্রধান সাদিক হাসান রুমী তাহলে বাদ পড়লো কেমনে? কি শর্তে এ কম্প্রোমাইজ? সে যে ১/১১র এক কূশীলব, এ কথা কি ভুলে গেছেন সবাই? অর্থাৎ ১/১১র ঘটকরা থাকবে ধরা ছোয়ার বাইরে- সেটা যত অপরাধই করুক না কেনো! এখানেই ঘটনার মূল সূত্র। আরেকটা বিষয়, ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাতে ধরা পড়লো দশট্রাক। আর ঐ মাসেই জলিলের সেই ট্রাম কার্ড, ৩০ এপ্রিলের মধ্যে খালেদাকে ফেলে দেয়া হবে সরকার থেকে, পয়লা মে খালেদা হবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। আমরা ভুলি নাই কোনো কিছু। কেবল মিলিয়ে নিন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




