somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গোপনেই থাকলো দশ ট্রাক অস্ত্রের রহস্য: মিলিয়ে নিন কিছু ঘটনা

২৭ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটা দেশের পররাষ্ট্রনীতি কি হবে সেটা নিজেরাই ‍ঠিক করার কথা। ভারতের সেভেন সিষ্টার্সের স্বাধীনত‍াকামী মুক্তিবাহিনীকে (উলফাসহ অন্যান্যরা) সাহায্য করার বিষয়ে বাংলাদেশ যদি নীতি গ্রহন করে, তাতে দোষের কিছু নাই। ভারত ১৯৭১ সালের বহু আগে থেকেই পূর্ব পাকিস্তানের মুক্তিকামীদের সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করেছে। যেমন “আগরতলা ষড়যন্ত্র”, পরে মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন-সহযোগিতা-সর্বশেষে সক্রিয় যুদ্ধ করে বাংলাদেশের জন্ম দেয়া, আবার চাপে রাখার জন্য শান্তিবাহিনী সৃষ্টি ও লালন করা, ইচ্ছেমত তথাকথিত শান্তি চুক্তি - সবই দাদাদের অবদান! ১৯৭৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশের সকল সরকারগুলো উলফাকে সাহায্য করেছে, এমনকি ১৯৯৬সালের হাসিনার সরকারও।


বিপত্তি বাধে কেবল ২০০৪ সালের এপ্রিল মাসের ১ তারিখ রাতে, যখন ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান ধরা পড়ে। ওই ঘটনার পর থেকেই দিল্লির সকল প্রভাবশালী পত্রিকাগুলো একের পর এক খবর, নিবন্ধ ছাপতে থাকে এ নিয়ে। এমনকি খুব দ্রুততার সাথে এর রহস্য উদঘাটন করে খবরও ছাপে! বাংলাদেশের দক্ষিণ-পুর্বাঞ্চলে অস্ত্রের ফ্রি মার্কেট আর বাংলাদেশ দক্ষিন এশিয়া তথা বিশ্বশান্তির জন্য হুমকি এমন প্রচারনা দিল্লি থেকে ওয়াশিংটন পর্যন্ত পৌছে যায়। এর পরে শুরু হয় তখনকার সরকারটি ফেলে দেয়ার চুড়ান্ত তৎপরতা। একটি কথা বলা হয়ে থাকে, ভারতীয় ‘র’ ঐ ঘটনার পিছে লেগে থেকে তা ধরিয়ে দেয়। আমার ধারনা, ‘র’ নয় বরং দশট্রাক অস্ত্র ধরিয়ে দেয়ার কাজটি বাংলাদেশের গোয়েন্দারই করেছে বা জেনারেল মইন (তখনকার চট্টগ্রামের জিওসি) করলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না (ছবিটি দেখুন, কি খুশী খুশী মুখ!) ভ‍ারতের ‘র’ যদি এটার পিছনে খাকত, তাহলে আমরা এতদিনে জানতে পারতাম কোন্ জাহাজে করে এগুলো আনা হয়েছিলো (সেটা সা.কা. চৌধুরীর জাহাজ কি না?) এ তথ্যটিও ‘র’য়ের কাছে থাকার কথা। আর ‘র’ ধরিয়ে দিয়ে থাকলে অস্ত্রের চালানটি বর্ডার পার হয়ে ভারতে ঢোকার সমযে আটক করে নিজের দখলে নিতে পারত ভারত। কিন্ত তাহলে তো বিএনপি সরকারকে এতটা দোষে ফেলা যেতো না। আরো অনেক যুক্তিতর্ক আছে। এখন তা আর উঠাতে চাইনা।


আমার প্রশ্ন অন্যত্র। বিষয়টা সক্ষমতার। উলফাকে সাহায্য করবেন? ভালো কথা। সেজন্য আপনার রণসক্ষমতা, কুটণীতি ও ষ্ট্রাটেজিক ক্যাপাবিলি আছে তো? ২০০৫ সালে মনমোহন সিং যখন জর্জ বুশের সাথে একান্তে ২৭ মিনিট সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশকে “আন্তর্জাতিক টেরোরিষ্ট কান্ট্রি” বানিয়ে এবং আমেরিকার হিটলিষ্টে ঢুকিয়ে আসলো, তখন বাংলাদেশের বীরবিক্রম রাষ্ট্রদূত ওয়াশিংটনে কি মদ-মাগী নিয়ে চুড় হয়েছিলো? না কি তার কোনো তৎপরতা ছিলো? দিল্লি চাইলো, ২০০৭ সালে খালেদার সরকারে আসার রাস্তা বল্ধ করে দিলো> মইনদ্দিরে দিয়া। নোয়াখাইল্যা জেনারেল ভাবলো, তারে বুঝি চেয়ারটা দিবে। আরে গাধা, কেনো বুঝলি না, তুই হইলি নোয়াখাইল্যা মোসলমান। তোরে দিয়া কি আবার কি আরেকটা পারভেজ মোশারফ বানাইবো?


চার্জশীট দিলেও দশট্রাক অস্ত্রের মূল ঘটনা এখনও চাপা থাকলো! জেনারেল রেজ্জাকুল, ব্রিগেডিয়ার রহিমসহ ডিজিএফআই-এনএসআইর অফিসারদের মামলায় জড়িয়ে ভারতীয় গোয়েন্দাদের দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এটা বুঝানো হলো, তোরা যেই হোস না কেনো কাউকে ছাড়া হবে না। কাজেই সামনে এ কাজ আর কেউ করতে যাবা না। আমরা দেশ স্বাধীন করে দিয়েছি, তোদের আবার কিসের সার্বভৌমত্ব, আর স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি? তোরা হবি আমাদের পুরিপুরক; এমনটাই কথা ছিলো। কিন্তু ডিজিএফআই প্রধান সাদিক হাসান রুমী তাহলে বাদ পড়লো কেমনে? কি শর্তে এ কম্প্রোমাইজ? সে যে ১/১১র এক কূশীলব, এ কথা কি ভুলে গেছেন সবাই? অর্থাৎ ১/১১র ঘটকরা থাকবে ধরা ছোয়ার বাইরে- সেটা যত অপরাধই করুক না কেনো! এখানেই ঘটনার মূল সূত্র। আরেকটা বিষয়, ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাতে ধরা পড়লো দশট্রাক। আর ঐ মাসেই জলিলের সেই ট্রাম কার্ড, ৩০ এপ্রিলের মধ্যে খালেদাকে ফেলে দেয়া হবে সরকার থেকে, পয়লা মে খালেদা হবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। আমরা ভুলি নাই কোনো কিছু। কেবল মিলিয়ে নিন।

৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭



আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×