দেশ স্বাধীন হবার পরে ১৯৭৩ সালে গোলাম আজমের বাংলাদেশী নাগরিকত্ব বাতিল করেন শেখ মুজিব। গোলাম আজম পাকিস্তানী পার্সপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে আসেন ১১ই জুলাই ১৯৭৮। আবেদন করেন বাংলাদেশী নাগরিকত্বের। ২৮শে এপ্রিল ১৯৮১ বাংলাদেশ সরকারের ইমিগ্রেশন সেকশন গোলাম আজমকে বাংলাদেশের আনুগত্য বিষয়ে হলফনামা দিতে বলেন। সে অনুযায়ী ৩০শে এপ্রিল ১৯৮১ সালে গোলাম আযম তা প্রদান করেন। পরে অনেক বছর ঝুলে থাকার পরে আ’লীগ তার বিরুদ্ধে মামলা করে। সেই মামলার রায় প্রদান করেন বিচারপতি হাবিবুর রহমান শেলীর বেঞ্চ। গোলাম আজম পেয়ে যান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব।
শেখ মুজিব ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় বন্দী ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানের মিয়াওয়ালী জেলে। ১৬ ডিসেম্বর পাক বাহিনী আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দখলদার মুক্ত হয়। এ খবর জেলে বসেই শেখ মুজিব পেয়ে যান। এর তিন সপ্তাহ পরে ১৯৭২ সালের জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে শেখ মুজিব ও ডঃ কামাল হোসেন নতুন পাকিস্তানী পাসপোর্ট নেন (সূত্রঃ ডঃ কামালের সাক্ষাৎকার, "সাপ্তাহিক" ২৮ অক্টোবর ২০১০)। এই পাসপোর্ট দিয়েই পাকিস্তানী নাগরিক হিসাবে শেখ মুজিব বাংলাদেশে আসেন ১০ জানুয়ারী ১৯৭২। এসেই তিনি দায়িত্ব নিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির। প্রশ্ন হলো, শেখ মুজিব কি পাকিস্তানের নাগরিকত্ব ছেড়েছিলেন এবং বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য পোষন করে হলফনামা দিয়েছিলেন? দিয়ে থাকলে কবে? কখন? আর না দিয়ে থাকলে শেখ মুজিব কি একজন পাকিস্তানি নাগরিক হিসাবেই বেআইনীভাবে রাজত্ব করে গেছেন??
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গোলাম আজমের বিচার চলছে একটি বিতর্কিত আদালতে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী গোলাম আজম বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্যের শপথ নিয়ে তারপরে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। কেননা তিনি পাকিস্তানের নাগরিক হিসাবে পাসপোর্ট নিয়েছিলেন ১৯৭৩ সালে। আর বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরেও শেখ মুজিব পাকিস্তানের নাগরিক হিসাবে পাকিস্তানের পাসপোর্ট নিয়েছিলেন ১৯৭২ সালে। তাহলে শেখ সাহেবের নাগকিত্বের ঘটনাটি নিভাবে নিস্পন্ন হয়েছিল, সেটা একটা গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন। আর এ তথ্যটি আমার আবিস্কার নয়, বরং এর সূত্রপাত ঘটিয়েছেন শেখ মুজিবের কেবিনেটের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডঃ কামাল হোসেন ২০১০ সালে।
বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের এ প্রশ্নের যথাযথ জবাব জানা প্রয়োজন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




