মোবাইল ফোন ব্যাবহার করা শুরু করলাম ২০০৩ সাল থেকে। ৪৫০০ টাকা দিয়ে একটা গ্রামীনফোন সীম কার্ড নিলাম। ঐ নাম্বারটি এখনও ব্যবহার করছি, কারন ২০ বা ৫০ টাকা দিয়ে সীম কার্ড কিনলে কয়েকদিন পর পর চেন্জ করে মানুষ আর অনেক দাম দিয়ে কিনেছিতো, আর নাম্বারটা অনেক গুরুত্বপূর্ন হওয়াতে সীম কার্ডটি আর পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়না। তখন মোবাইল সেট ব্যবহার করতাম নোকিয়া ১১০০ মডেল। তারপর নোকিয়া ও স্যামসাং মিলে কয়েকটি সেট ব্যাবহার করেছি।

গত কয়েক বছর যাবৎ স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতেছে মানুষজন দেদারছে। তাই আমারও ইচ্ছা হল স্মার্ট ফোন ব্যবহার করার। কিন্তু যেই দাম তা শুনে তো টাসকি। পছন্দের সেট গুলোর দাম পড়ে ২৫০০০ থেকে আরও দামী।

তাই তেল না দিয়ে চেপ দিয়ে ডিম ভাজি করার মত একটা ইচ্ছে হল। তাই দেরি না করে সিম্পনি শোরুমে একটা ডু মারলাম। আর দেখলাম কি সেট নেয়া যায়। ঝটপট পছন্দ করলাম সিম্পনি ডাব্লিউ ৮২ মডেলের সেট।

ছি... ম্পনি ডাব্লিউ ৮২ মডেল এর এই সেট...

বাহ!!! অ্যান্ড্রয়েট সেট ব্যবহার করে যা দেখলাম মনে হয় ১ মাস লাগবে এটার অপারেটিং সিস্টেম শিখতে। যাই হোক মাত্র ৩ দিনেই পাক্কা হাফেজ হয়ে গেলাম স্মার্ট ফোন ব্যাবহার শিখতে।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল অনেকেই আমাকে ফোন করে বলে তোর মোবাইল বন্ধ থাকে কেন। আমি তো অবাক। মাত্র এক মাস ব্যবহার করার পর দেখলাম সেটের নেটওয়ার্ক হ্যাং হয়ে যায়। তখন সাথে সাথে পুরো সেটটি হ্যাং হয়ে যায়। সেট রিস্টার্ট দিতে হয়। তারপর মিনিট পাচেক ঠিক থাকে। তারপর আবার কুকুরের লেজের মত একই স্বভাব। কি আর করা তখর খোজ নিলাম - তাদের কাস্টমার কেয়ার নামক একটি হসপিটাল নাকি আছে।

আরও খোজ নিয়ে জানলাম যে, বসুন্ধরায় নাকি নতুন কাস্টমার কেয়ার হসপিটাল চালু করেছে ছি...ম্পনি মোবাইল কোম্পানি। নিয়ে গেলাম তাদের কাছে। তারা জামাই আপ্যায়ন করে অর্থাৎ স্যার স্যার করে আমার সেটটি রেখে দিল। আর মিষ্টি ভাষায় বলল স্যার মাত্র ১ সপ্তাহে আপনার সেটের সমাধান করে দিব।

আমি তো মহাখুশি। যাই হোক সেট দিলাম ২৮ মে ২০১৪ । এত সপ্তাহ পরে তার বলে সরি স্যার আরও সপ্তাহ খানেক লাগবে। এভাবে করে তারা আমাকে সেটটি দিল ২৫ জুন ২০১৪ তারিখে। তাও আবার ঐ মডেলনা অন্য একটি মডেল। আমি তো অবাক !!!

আমাকে কেন ঐ মডেলের সেটটি দিলেন না। তারা আমাকে বুজায় যে, ঐ মডেলটি এখন শেষ। তাই এর চাইতে আপডেট মডেল অর্থাৎ ডাব্লিউ ৮৫ মডেলটি দিলাম্। দেখলাম সেটটি দিল একেবারে উলঙ্গ অবস্থায়। সেটের কভার নেই।

আমার সন্দেহ হল যে, তারা আমার মত আরেক পাপীর সেট ঠিক করে আবার দিল নাতো? সেই সন্দেহ মাথায় রেখে সেটটি ব্যাবহার করা শুরু করলাম।

যখন সেটটি আমি রিসিভ করতে যাই তখন কাস্টমার হসপিটালের লোকটিকে বললাম যে, আমাকে রিসিভ করা কাগজের একটি কপি দিতে হবে। তারা আমাকে বলে যে, এটা দেয়া যাবেনা। আমি বললাম আমার সেটের ওয়ারেন্টি ১ বছর, আপনারা অলরেডি ১ মাস সময় নষ্ট করে দিলেন। তাহলে ঐ এক মাস সময় ওয়ারেন্টিতে বাড়িয়ে দেন। তারা বলে যে, আমরা একমাস সময় ওভার হলে এমনিতেই নিয়ে ঠিক করে দিই। আমি বললাম যে, এটা তো মুখের কথা তাইলে আপনার কাগজে লিখে দিন। তারা তা দিতেও অপারগতা জানায়। এটা নিয়ে তর্ক বেজে দিল আমার সাথে।

শেষে আসার সময় বললাম যে, আপনাদের সিটার বাটপার কোম্পানি ছি..ম্পনি এই বাংলাদেশে ব্যাবসা করে একমাত্র পার পেয়ে যায়। অন্য কোন দেশে হলে হয়তো সার্ভিস ঠিক মত দিতে হত, না হলে নাকে খর দিয়ে এদেশ থেকে বের করে দিত।

তাই আপনাদেরকে বলব সিম্পনি অ্যান্ড্রয়েড সেটগুলো কিনতে সাবধান। তাদের যেগুলো ভালে করে সুগুলো ভালোই লাস্টিং করে, কিছু কিছু মডেল অনেক ভালো, আর কিছু কিছু মডেল সোজা বাংলা ভাষায় ৪২০ ।