বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়লে ফজলুল হককে ক্রমাগত ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া একজন রাজনীতিবিদ বলে মনে হয়।ফজলুল হককে বঙ্গবন্ধু ভক্তি ও শ্রদ্ধা করতেন।তার সাথে বঙ্গবন্ধুর নানা-নাতীর সম্পর্ক ছিল।ফজলুল হকের বিভিন্ন ভুল সিদ্ধান্তকে তিনি বৃদ্ধ বয়সের দুর্বলতা বলে উল্লেখ করেছেন।বঙ্গবন্ধুর বাবা শেখ লুৎফর রহমানও ফজলুল হককে শ্রদ্ধা করতেন।তিনি বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন, হক সাহেবের বিরুদ্ধে কিছু না করতে,তিনি এমনি এমনি শের-ই-বাংলা হন নাই।
এ কে ফজলুল হকের যে সমস্ত কর্মকান্ড অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে----
১.ফজলুল হক যুক্তফ্রন্টে মুসলীম লিগের বিতাড়িত সদস্যদের প্রবেশ করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।
২.প্রাদেশিক নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করলে তিনি মুজিবর রহমানকে মন্ত্রীত্ব দিতে চান নাই।
৩.যুক্তফ্রন্ট সরকারকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকরা আদমজী পাট কলে বাঙালী-অবাঙালী দাঙ্গা লাগিয়ে দিয়েছিল।হক সাহেব বিবৃতী দিয়েছিলেন দাঙ্গায় যুক্তফ্রন্ট সরকারের দোষ আছে।
৪.কেন্দ্রীয় সরকার ৯২(ক) ধারা জারি করে পূর্ব বাংলার মন্ত্রীসভা ভেঙে দেয়।পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলি ফজলুল হক কে মন্ত্রিসভা গঠনের লোভ দেখান।শর্ত-- আওয়ামিলীগকে মন্ত্রী সভায় নেওয়া যাবে না,সোহরাওয়ার্দি যুক্তফ্রন্ট্রের কেউ নয় ঘোষনা করতে হবে।এবং তারা মোহাম্মদ আলিকে পাকিস্তানের প্রধাণমন্ত্রী হিসাবে চান ঘোষনা করতে হবে।হক সাহেব এই প্রস্তাবে রাজী হয়ে যান।কিন্তু আওয়মিলীগ যুক্ত ফ্রন্ট্রে সংখ্যা গরিষ্ঠ ছিল।মুজিব ও আওয়ামিলীগের নেতারা সোহরাওয়ার্দিকে তাদের নেতা মানতো।
শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সভা ডেকে হক সাহেবের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হন।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:১৫