বাইরে
ভেতরে
বইমেলায় কখনো প্রথম দিন যাওয়া হয়নি। আজকে যেহেতু প্রধান মন্ত্রী ভার্চুয়ালি মেলা উদ্বোধন করবেন,সুতরাং সিকিউরিটি ইস্যুতে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না।মেলা যেহেতু সংক্ষিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে আর আমিও বইমেলায় যাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে ছিলাম,তাই প্রথম দিনই যাব বলে মনস্থির করলাম।
দুপুর ৪ টায় টিএসসির কাছে আসতেই টের পেলাম টিএসসির দিকের গেটটি বন্ধ।বন্ধ গেট ডিঙিয়ে এক শ্রেনীর অল্প বয়েসি ছেলে-মেয়ে ভেতরে ঢুকছে।পুলিশ সামনেই দাঁড়িয়ে, কিন্তু কিছু বলছে না।পুলিশের কাছ থেকে জানতে পারলাম বাকি গেটগুলা খোলা আছে।
গেট দিয়ে ঢুকতেই পুলিস যন্ত্র দিয়ে তাপের মাপ নিলেন।এক যুবক কোন এক সংস্থার পক্ষ থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দু ফোটা হাতে দিয়ে জীবানুমুক্ত করে দিলেন।
মেলায় প্রবেশ করেই চক্ষু চড়কগাছ।অসংখ্য স্টল অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়ে আছে।প্রায় ৩০% হবে।কিছু স্টল তেরপল দিয়ে ঢাকা।কিছু স্টল সম্পূর্ন খালি।কিছু স্টলে বই ওঠানো হচ্ছে।এসব স্টলের সামনে বাতিল কাঠ,কাগজে টুকরা, টাইলসের ভাঙা টুকরার ময়লায় সয়লাব।সারি সারি স্টল আছে যেগুলোর কেবল বাশের কাঠামো তৈরি হয়েছে।দেখলে গাবতলির গরুর হাটের কথা মনে পড়ে যায়।
যেসব প্যাভিলনে কেনা বেচা হচ্ছে সেগুলোও পুরা প্রস্তুত না।প্যাভিলনের চারপাশে কাচা সিমেন্টের আস্তর।বই দেখতে হলে ওগুলোর উপর দিয়ে হাটতে হবে।অধিকাংশ প্রকাশনি ক্যটালগ দিতে পারছে না,ক্যাটালগ আনা হয়নি মেলায়।
বিকাশ ক্যাশব্যাক চালু হয়নি আজকে।আগামি কাল থেকে ১০% ক্যাশ ব্যাক দিবে গতবারের মতো।ক্যাশ দিয়ে কিছু বই কিনলাম।
তবে বিকাল হতে মেলা জমে উঠেছে।অনেক বন্ধ স্টল চালু হয়েছে।লোক সমাগম যথেস্ট দেখা গিয়েছে। বসন্তের সাজে অনেক তরুণিকে ঘুরতে দেখা গিয়েছে।লেখকদের ভেতর দিব্য প্রকাশের স্টলে সাবের ভাই কে দেখা গেল।
প্রকাশকরা কান্নাকাটি করে মেলা পেছালে বা সংক্ষিপ্ত করলে।অথচ নির্ধারির সময়ের ১৫ দিন পর আজকে মেলা শুরু হল,অনেক প্রকাশকের খবর নাই।৩০% স্টল নির্মানাধীন ও অপ্রস্তুত।এটা কেমন কথা।
ব্যতিক্রমি একটি স্টল।(বেঙ্গলের)
অধিকাংশ স্টলের সামনে আবর্জনা।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪০