ছার পোকাদের আড্ডাখানা নামে একটি বুক রিলেটেড গ্রুপ আছে।বই নিয়ে আলোচনা করা ছাড়াও গ্রুপটি নানা কারনে অনন্য।
১)এই গ্রুপ বিভিন্ন প্রতিযোগীতার আয়োজন করে,যেমন--বুক রিভিউ,বই ছবি প্রতিযোগিতা এবং গ্রুপের এডমিন,মডারেটর নিজেরা তাতে অংশগ্রহন করে।অথচ ফেয়ার প্লে নিশ্চিত করার জন্য যে প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতা আয়োজন করে তার সাথে জড়িত সবাইকে প্রতিযোগিতার বাইরে রাখা সাধারন নিয়ম।
২)নিজেরাই নিজেদের কর্ম বিচার করে পুরষ্কৃত করে।প্রায় প্রতিযোগিতায় দুই চারজন মডারেটর বিজয়ী হয়। নির্লজ্জতার চরম উদাহরন ছাড়া এটি আর কিছু নয়।তাদের তো অংশ নেওয়াই উচিত না নিজেদের আয়োজন করা প্রতিযোগিতায়।
৩)একই ব্যক্তি যারা গ্রুপে একটু পরিচিত,বার বার বিজয়ী হয়।
৪)আর সব পেজের এডমিনের মত তারাও মনে করেন দেশে বিসিএস ক্যাডারদের পর তারাই দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি।তাদের সাথে দ্বিমত করা যাবে না।
৫)গ্রুপ চলে সাধারন সদস্যদের পোস্টের উপর ভিত্তি করে।বইয়ের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে কিন্তু পাঠক-সম্পাদক ক্যাচাল লাগলে এরা সম্পাদকের পক্ষালম্বন করে।এরা মনে করে লেখক-সম্পাদকের চেয়ে তারা কম কিসে যে বইয়ের মূল্যবৃদ্ধির পক্ষে সাফাই গাইবে না।
৬)এরা ফ্রী বই পেয়ে আজেবাজে বইয়ের তৈলাক্ত রিভিউ প্রসব করে।
এ্যাডমিন,মডারেটর হওয়ার কারনে তারা বেশ কিছু সুবিধা পায়ঃ
১)পোস্ট করলে এপ্রুভ হওয়ার জন্য তাদের ৩/৪ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় না।অপেক্ষার বিরক্তিকর কাজটি শুধু গ্রুপের সাধারন সদস্যদের জন্য প্রযোজ্য।তাহারা মডু,এডমিন ;তাহারা এলিট। এরা একটু পর পর গ্রুপে পোস্ট দিতে আসে, কিন্তু সে সময় সদস্যদের পোস্ট এপ্রুভ করে না।
২)তারা পোস্ট করলে কমেন্ট, লাইকের বন্যা বয়ে যায়।পোস্ট যত খারাপই হোক না কেন।এটা তাদের বাড়তি উৎসাহ,অনুপ্রেরনা দেয়।
৩)তাহলে দেখা যাচ্ছে মডারেটর,এডমিনের লেখার মান বিচার তাদের হাতে।লাইক, কমেন্টও অনেকটা তাদের তাদের হাতে।
৪)তাদের বালখিল্যতা দেখে হা হা রিএ্যাক্ট দিলেও জবাবদিহিতা করতে হয় কেন হা হা রিএ্যাক্ট দিলাম।তাদের যৌক্তিক সমালোচনা করলে তো জেলে পুরে দিত।
দিনের পর দিন গ্রুপটি এভাবেই চলছে।গ্রুপের মডারেটর,এডমিনদের আত্মমর্যাদাবোধ যতদিন না আরেকটু বাড়ছে ততদিন এটি এভাবেই চলবে বলে ধারনা করি।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৪