আজ সারাদিন এখানে বৃষ্টি, মন এলো মেলো করে দেয়া গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। দু’তলার যে রুমটাতে বসে আমি কাজ করি তার পর্দা সরালেই গাছের পাতায় বৃষ্টি ঝরার শব্দ শোনা যায়। সারাবেলা তারই দ্যুতনা শুনলাম। দেখতে দেখতে সন্ধ্যে গড়িয়ে এখন বেশ রাত। রাস্তায় জলপাই রংয়ের পোষাকের কারনে সন্ধ্যার পর এমনিতেই শহরের আলো গুলো খুব দ্রুত নিভে যায়। তার উপর আজ বৃষ্টির সাথে কন কনে বাতাস। মাথায় ছাতা আর গায়ে গরম কাপড় জড়িয়ে ঘরমুখো মানুষের শেষ মিছিলটাও পথ মাড়িয়েছে বেশ আগেই, শহরটা হঠাৎ করেই কেমন যেন ভুতুরে হয়ে গেল, বসুরহাট থেকে আজ আর বিটুফেনোর সুর শোনা হলনা।
অফিস বয়টা একটু আগই চা দিয়ে গেল, সাত পাচ ভাবতে ভাবতে মনে হল তোমাকে লিখি, কিস্তু লিখতে বসতেই বাধল যত বিপত্তি। কিছুতেই আর লিখা বেরুতে চায়না, কলমেরই বা দোষ কোথায়? মাঝখানে তো এক দীর্ঘ্য বিরতি। স্বল্প ব্যবহারে নাকি সবকিছুরই ধার কমে।
একটা সময় ছিল যখন পালা করেই তোমাকে লিখতাম, আর তোমার চিঠির প্রতিক্ষার প্রহর গুনতাম। সে এক দূর্বিসহ স্মৃতি। প্রতিক্ষার পর প্রতিক্ষার সেকেন্ডের কাটাগুলো চলতে চলতেই থেমে যেত, মিনিটগুলো গড়াত ঘন্টার মত আর দিনগুলো আমার প্রতিক্ষাকে আরো র্দীঘ্যতর করতেই বুঝি ঠায় দাড়িয়ে থাকত, মাঝ পথে। ডাক পিয়নের পায়ের বিরক্তিকর খসখসে শব্দকেও তখন মনে হত উস্তাদ রবিশংকরের সেতার বাদন। কি বোকা ছিলাম তাইনা? হা হা হা...............
দ্রষ্টব্যঃ বসুরহাট (কোস্পানীগঞ্জ) নোয়াখালীতে থাকা মেয়ে বন্ধুকে লিখা চিঠিটি ১৯৯৯ এর কোন এক সময় মানিকগঞ্জে বসে লিখা। যার সাথে প্রতি রাতেই ফোন বুথ থেকে কথা হত কিন্তু প্রচন্ড বৃষ্টি আর ঠান্ডার কারনে ঐদিন আর বুথে যেয়ে ফোনে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




