বিদেশী কিছু মুভি তে দেখা যায় ..দুষ্ট লোকেরা ওষুধ এর সাথে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া র জীবানু সমাজে পৌছে দেয়। এতে করে নতুন রোগের আবির্ভাব হয়। লোকচক্ষুর অন্তরালে দুষ্ট লোকেরাই আবার ওই রোগের পেনিসিলিন বা পতিরোধক বাজারে ছেড়ে দেয়।
অনেকে বলবে এসব ঘটনা সিনেমাতে ভালো লাগে। আমি আপনার মত মনে করতাম বা করি। কিন্তু আপনি জানেন কি আজকের সময়ের কিছু সিনেমা আসলে বর্তমান অবস্থারই আরেকটি রূপ মাত্র। র সিনেমাতে কিছু বিষয় থাকে অতিরঞ্জিত।
কিন্তু বর্তমানে চলমান কিছু ঘটনা সিনেমার চেয়েও অতিরঞ্জিত এবং ভয়ানক। অনেকে হয়ত বা ধরতে পেরেছেন আমি কোন বিষয়ে বলতে চেয়েছি। এসব ঘটনার একটি সুক্ষ ধারাবাহিকতা আছে ,,,,একটু খেয়াল করে দেখুন।
আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাইবার উপদেষ্টা রাকেশ আস্তানা। তিনি বিশ্বব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা এবং ওয়ার্ল্ড ইনফোরম্যাটিক্স এর মালিক। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ব চুরির আগে রাকেশ আস্তানার পরামর্শেই বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কম্পিউটারে ফায়ার আইয়ের সরবরাহ করা একটি ‘প্রোগ্রাম’ বসানো হয়েছিল। এর কিছুদিন পর রিজার্ব চুরি হয়। এর পর বাংলাদেশ রাব এর ততাবদানে এবং আইটি এক্সপার্ট জোহা সহ একটি তদন্ত কমিটি হয়। তদন্ত চলাকালীন সময়ে জনাব জোহা কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিডিয়া কে জানিয়ে দেয়। পরদিন থেকে জোহা গায়েব। কারণ তিনি কিছু ব্যপারে প্রশ্ন তুলেছিলেন আস্তানার সামনে। আরো একটু সামনে যাই। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনার ফরেনসিক তদন্তের আওতায় এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সব কম্পিউটারে ‘ফায়ার আইয়ের’ বিশেষ একটি প্রোগ্রাম বসানো হয়েছে। ফরেনসিক তদন্তের মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক উপায়ে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার তথ্য-প্রমাণ উদ্ঘাটন ও কার্যকারণ খুঁজে বের করা হয়। রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এই ফরেনসিক তদন্তের কাজটি করছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফায়ার আই ও ওয়ার্ল্ড ইনফোমেটিক্স।
তদন্তের জন্য সব ল্যাপটপ জমা দেওয়ার নির্দেশ(prothom-alo)
এ ঘটনাগুলু সিনেমার ঘটনাকে হার মানাবে। আমরা জনগণ সারাজীবন সিনেমা দেখে যাব। স্বাধীনতার মাসে বলতে ইচ্ছা করে ,,,, আমরা কি আসলেই স্বাধীন জাতি।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৫২