somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গিয়ার আপ ইডেন,একবিংশ শতাব্দির প্রীতিলতারা আছেনতো?

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মৃত্যুর আগে এক সাহসী যোদ্ধা মায়ের কাছে চিঠিতে লিখেছিলেন, “মাগো, অমন করে কেঁদো না! আমি যে সত্যের জন্য, স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিতে এসেছি, তুমি কি তাতে আনন্দ পাও না? কী করব মা? দেশ যে পরাধীন! দেশবাসী বিদেশির অত্যাচারে জর্জরিত! দেশমাতৃকা যে শৃঙ্খলভাবে অবনতা, লাঞ্ছিতা, অবমানিতা! তুমি কি সবই নীরবে সহ্য করবে মা? একটি সন্তানকেও কি তুমি মুক্তির জন্য উত্সর্গ করতে পারবে না? তুমি কি কেবলই কাঁদবে?”

শিহরণ জাগানো এই কথাগুলো ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের প্রথম আত্মহুতি দেয়া নারী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। তিনি এক চিঠিতে তার মাকে লিখেছিলেন।প্রীতিলতাই একজন বাঙালী, যিনি ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নারী মুক্তিযোদ্ধা ও প্রথম বিপ্লবী মহিলা শহীদ ব্যক্তিত্ব। একজন ইডেন কলেজের সাবেক কৃতি ছাত্রী।

কাজেই ইতিহাস বলে বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন কলেজটি ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই অসংখ্য রথী-মহারথীর জন্ম দিয়ে গেছে। যুগে যুগে যেসব মহিয়সী নারী এ সমাজের অন্যায়-অবিচার-বৈষম্য আর অত্যাচারিতদের পক্ষে মানবতা-মুক্তির জয়গান গেয়ে গেছেন তাদের মধ্যে সামনের কাতারে সবসময় ছিলেন ঐতিহ্যবাহী এ কলেজটির শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা-রাজনীতি-অর্থনীতি-প্রশাসন থেকে শুরু করে দেশের শীর্ষস্থানীয় পদগুলো সবসময় অলংকৃত করেছেন ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে দেশের প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও এ বিদ্যাপীঠে অধ্যয়ন করেছেন। শুধু তাই নয়, প্রত্যেক সরকার গঠনের সময় মন্ত্রীসভায় গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো আলোকিত করে থাকেন ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীরা।

আমাদের বিশ্বাস লাখো শিক্ষার্থীর প্রাণের দাবি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনের দাবি চলমান আন্দোলন সংগ্রামেও বাংলাদেশের গৌরবের অংশ ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীরা সক্রিয়ভাবে অংশ নিবেন, কথা বলবেন লাখো শিক্ষার্থীর হয়ে। বৈষম্যের শিকার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এ বঞ্চনার বিরুদ্ধে কথা বলবেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। অনলাইনে লাইক কিংবা কমেন্ট করে নয়, বরং সময় এসেছে রাজপথে নেমে যৌক্তিক এ দাবির পক্ষে শান্তিপূর্ণ মানবপ্রাচীরে অংশ নেয়ার। ৬/৭ বছর ধরে শিক্ষাজীবন শেষ করার পর সমাবর্তনের প্রাপ্য সম্মানটুকু চাওয়া একেবারেই অযৌক্তিক নয় বৈকি। কাজেই সমাবর্তন আমাদের দাবি নয়, অধিকার।

আমার আহ্বান সবার কাছে পৌঁছাবে না জানি, অনেকেই লাইক দিয়ে এড়িয়ে যাবে জানি। অনেকেই বলবে কিচ্ছু হবে না। দ্বিধা-সংশয় আর ধোঁয়াশায় থেকে অনেকেই হতাশ হবেন। কিন্তু বিশ্বাস করুন কারো না কারো হাত ধরে একদিন সব বদলে যায়, বদলে দিতে হয়। সময় এসেছে আজ হাতে হাত ধরে লাখো শিক্ষার্থীর হয়ে কথা বলার।

অনেকেই বলছেন আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে কে আসছেন? কেউ কি আছেন? তাদের বলি- আচ্ছা কেউ না আসলে কি আপনি আসবেন না? আপনার কি ইচ্ছা করে না কালো গাউন পড়ে, টুপিটাকে আকাশে ছুঁড়ে দিতে? আমি জানি আপনার উত্তর হ্যাঁ খুব ইচ্ছে করে কালো গাউনটা পড়তে, অন্তত নিজ ঘরে ফেমবন্দী করতে খুব ইচ্ছে করে। কাজেই কারো অপেক্ষা না করে আশে পাশের বন্ধুকে নিয়ে চলে আসুন। আপনার ছোট্ট ছোট্ট পদক্ষেপেই রচিত হবে আমাদের বিজয় গাঁথা। এরপরও আসুন আর নাইবা আসুন আমি চাই দেখা হোক বিজয়ে।

ভলেন্টিয়ার হতে চাইলে :
আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমাবর্তনের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আহুত মানববন্ধনে যারা সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী আগ্রহীরা ৪ ফেব্রুয়ারি, বুধবার বিকাল ৩ টায় সরাসরি চলে আসুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে (কলাভবন)। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে যেকোন কলেজের শিক্ষার্থী আসতে পারবেন, কোন ধরণের বিধি-নিষেধ বা বাধ্যবাধকতা নেই। আপনাদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত আছি আমরা।

বি:দ্র: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনের দাবিতে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টায় (পরিস্থিতি বিবেচনায় তারিখ পরিবর্তন হতে পারে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একটা মানববন্ধন কর্মসুচী আহ্বান করা হয়েছে। ঢাকার বাইরের কলেজগুলোতেও নিজ নিজ ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন আয়োজন করা হচ্ছে।

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুেক খোলা ইভেন্টটিতে গোয়িং দিয়েছেন ইতোমধ্যে ১০ হাজার জন শিক্ষার্থী। আপনি আসছেনতো?

ইভেন্ট : আমরা সমাবর্তন চাই - জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বৃন্দ
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×