somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হানিমুন। ঈশ্বরদী থেকে কক্সবাজার

৩০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিয়ে করেছিলাম ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারীর ২ তারিখ। কিন্তু বিয়ের পর পরই হানিমুনে যাওয়ার মত সুযোগ ছিলনা, তাই যাওয়া হইনি। কিন্তু মনের প্রবল ইচ্ছার কারণে কয়েক মাস পরেই জুলাই, ২০১০ এ হানিমুনে যাওয়া কনফা্ম করি। স্থান কক্সবাজার। কত স্বপ্ন দেখতে লাগলাম হানিমুন নিয়ে। সারা দিন রাত শুধু একই চিন্তা। আর হবেই বা না কেন? একে তো হানিমুনে যাবো, তার উপর আবার কক্সবাজার। উল্লেখ্য এর আগে আমি কখনো সমুদ্র দেখিনি।

সব প্ল্যান যখন ঠিক তখন মাথায় আসলো অন্য চিন্তা। আ্মার এবং আমার স্ত্রী (নিপা) দুজনের বাড়িই পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায়। ঈশ্বরদী থেকে কক্সবাজারের সড়ক পথে দুরত্ব আনুমানিক ৬০০ কিঃমিঃ। বাসে যেতে সময় লাগে আনুমানিক ১৫-১৮ ঘন্টা। সমস্যা হলো নিপা বাসে উঠলে বমি করে। ওকে নিয়ে এই ৬০০ কিঃমিঃ দুরত্ব বাসে পাড়ি দেওয়া কোন ভাবেই সম্ভব নয়। কিন্তু তাই বলে কি হানিমুন বাদ দেওয়া যায়।বিকল্প চিন্তা করলাম। রূট পরিব্তন করে বাস বাদ দিয়ে ট্রেন বেছে নিলাম। প্ল্যান হলো ঈশ্বরদী থেকে ট্রেনে করে ঢাকা, ঢাকা থেকে আবার ট্রেনে করে চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম থেকে বাসে করে কক্সবাজার। নিপাকে প্ল্যান বললাম। ও জিজ্ঞাস করলো চট্টগ্রাম থেকে বাসে করে কক্সবাজার যেতে কতক্ষন লাগবে। বললাম প্রায় ১ ঘন্টা । বুজতেই পারছেন মিথ্যা বলেছিলাম। কারন সত্য বললে ও হয়তো রাজি হতোনা।

অবশেষে শুরু হলো যাত্রা। হানিমুনের যাত্রা। আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে। তারিখটা ছিল মনে হয় ১৮ই জুলাই, ২০১০। দুপুর ১ঃ৩০ টায় চিত্রা এক্সপ্রেস টেনে করে ঈশ্বরদী থেকে যাত্রা শুরু। চেনে পথ, তাই তেমন কিছু লেখার মত নেই। জয়দেবপুর জংশনে এসে নামলাম। সেখান থেকে রিক্সায় করে ডুয়েট ক্যাম্পাস। উল্লেখ্য যে আমি তখন ছিলাম ডুয়েটের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র। কি, এমন কথা শুনে অবাক হচ্ছেন, ছাত্র তার আবার বউ আছে। কি করবো বলেন নিপাকে ঐ সময় বিয়ে না করলে আর হইতো বিয়েই করা হতো না। যাহোক অন্য কো্নদিন হবে এইসব কথা। এখন মূল বিষয়ে আসি।

ক্যাম্পাসে চলে আসলাম। তখন প্রায় সন্ধ্যা। নিপাকে বন্ধুদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলাম, কিছুক্ষণ ক্যাম্পাসে ঘোরা ফেরা করলাম। ক্যান্টিনে রাতের খাবার সেরে নিলাম। তারপর ক্যাম্পাস থেকে চলে এলাম বিমানবন্দর স্টেশনে। রাত আনুমানিক ১১ঃ৩০ এ তুর্না এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠে পরলাম। লক্ষ্য চট্টগ্রাম।

বেশ ভালোয় লাগছিল। বিয়ের পর ঈশ্বরদীর বাহিরে দুজনের এটায় প্রথম জার্নি। দুজনেই খুব আনন্দে ছিলাম। রাত গভীর থেকে গভীর তর হচ্ছে, ট্রেন ছুটে চলেছে। সারাদিনে এত জার্নির কারনে নিপা বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে ছিল। তাই ওকে ঘুমাতে বললাম। কখনো চেয়ারে হেলান দিয়ে আমার কাঁধে মাথা রেখে, আবার কখনো আমার কোলে মাথা রেখে পা ভাঁজ করে গুটিশুটি হয়ে শুয়ে ঘুমানোর চেস্টা করলো। ভালো ঘুমাতে পারেনি, কিন্তু কিছুটা রেস্ট পেয়েছে। এভাবেই সময় পেরিয়ে গেল। রাত শেষ হয়ে ভোর হলো। আমরা পৌছে গেলাম খুলনা।

তখন ভোর বেলা। ট্রেন থেকে নেমে স্টেশনের পার্শবর্তী হোটেল, নাম "হোটেল কমফোর্ট" এ চলে এলাম। আগে থেকেই রুম বুকিং দেওয়া ছিল। তাই চেক ইন করতে তেমন সমস্যা হলোনা। জীবনে এই ্প্রথমবার আবাসিক হোটেলে উঠলাম। নতুন অভিজ্ঞতা দুজনের। দুজনেই বেশ আনইজি বোধ করছিলাম। যাইহোক, রুম বুঝে নিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। নিচে নেমে নাস্তা সেরে আবার রুমে গেলাম। এবার বিগত প্রায় ২০ ঘন্টা জার্নির ক্লান্তি দূর করতে দুজনেই একটানা ঘুমদিলাম। দুপুরে ঘুম থেকে উঠলাম। এখন বেশ ফ্রেশ লাগছে। রেডি হয়ে দুজনে বাইরে এলাম। প্রথমে লাঞ্চ সেরে নিলাম। তারপর একটা সিএনজি নিয়ে গেলাম বায়েজিদ বোস্তামির মাজারে। মাজারে বেশ কিছক্ষন সময় দিলাম।সন্ধ্যার আগে আবার শহরে ফিরে এলাম। নিউ মার্কেট এলাকায় বেশ কিছুক্ষন সময় কাটালাম। ফলের দোকানে নিপা বেশ কিছু আন কমন ফল দেখতে পেল। যে গুলা আমাদের এলাকায় দেখা যায় না। একজন দোকানদার সৌজন্য স্বরুপ নিপা পানি ফল নামে একটি ফল দিল, টেস্ট করার জন্য।

রাতের খাওয়া সেরে হোটেলে ফিরে এলাম। হোটেল ম্যানেজারের থেকে কক্সবাজার যাওয়ার তথ্য নিয়ে নিলাম। কারণ কাল সকালে আমরা কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হবো। রুমে চলে এলাম। কিছুক্ষন টিভি দেখে ঘুমিয়ে পড়লাম।

পরের দিন খুব সকালে উঠলাম। হোটেল থেকে চেক আউট করে বেরিয়ে পড়লাম, সেই স্বপ্নের কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে। রিক্সায় করে চলে এলাম নতুন ব্রীজের কাছে। এখান থেকে বাসে উঠলাম। প্রথমে কিছুক্ষণ ভালোই ছিলো, তারপর নিপা আস্তে আস্তে অসুস্থ হতে শুরু করলো। একপর্যায়ে বমি করা শুরু করলো নিপা। আমাকে বার বার জিজ্ঞাসা করে, আর কতো দূর। আমি বার বারি মিথ্যা বলি , আর অল্প কিছু দূর, আর আধা ঘন্টা লাগবে। কিন্তু রাস্তা যেন আর শেষ হয়না।

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার এর মাঝামাঝি এক জায়গায় বাস থমলো। নিপা বেশ ভালোভালো ভাবেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে, প্রলাপ বকা শুরু করেছে। আমি বাস থেকে নেমে সিএনজি রিজার্ভ করতে চাইলাম। কিন্তু কোন সি এন জি যেতে রাজি হলোনা। কোন উপায় না পেয়ে আবার বাসে উঠে বসলাম। নিপার জন্য খুব কষ্ট হচ্ছিল। বাস আবার এগিয়ে চললো।

চট্টগ্রামের সীমানা পেরিয়ে বাস যখন কক্সবাজার জেলার সীমানায় প্রবেশ করলো তখন থেকে রাস্তার দুপাশের সৌন্দর্য বাড়তে লাগলো। মসৃণ, চকচকে রাস্তা। তার সাথে রাস্তার দুপাশে ছোট বড় পাহাড়ের সারি, বিভিন্ন রকম গাছপালা, সবমিলিয়ে উপভোগ করার মত জার্নি। কিন্তু এই সৌন্দর্য আমি উপভোগ করতে পারছিলাম না। নিপা একবারেই নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। কথা বলার মত শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। ভাবছিলাম, হানিমুনের আনন্দ মনে হয় শেষ। কারণ নিপা যে পরিমানে অসুস্থ তাতে মনে হয় না যে কক্সবাজার ঘোরা হবে, ওর সুস্থ হতেই সময় লাগবে কয়েকদিন। এইসব ভাবছি, বাস এগিয়ে চলেছে।

অনেকক্ষন পর, বাস থেকে সামনি তাকিয়ে দেখি, মনে হচ্ছে মরিচিকা, নদীর মত থৈ থৈ পানি। বাস আরো এক্টু এগোনোর পর বুঝলাম নদী নয় , সাগরের কাছে এসে গেছি, ততোক্ষনে সাগরের বিশালত্ত চোখে পড়লো। এবং কনফার্ম হলাম, মরিচিকা নয়, যার জন্যা এত কস্ট করে এত দূর থেকে এসেছি, সেখানে পৌছছি। নিপাকে সামনে তাকাততে বললাম, দেখো সামনে সাগর দেখা যায়। অনেক কস্টে ও সামনের দিকে তাকালো। কিছুক্ষণ চুপচাপ তাকিয়েই থা্কলো। দেখলাম, ওর চোখ থেকে ক্লান্তির ছাপ আস্তে আস্তে সরে যাচ্ছে। ততক্ষেওণে বাস ডানে মোড় নিয়ে কলাতলী রোডে উঠেছে। নিপা শুধু বললো, আমরা কি নেমেই সমুদ্রের কাছে যাবো। বুজতে পারলাম, সমুদ্র ওর সব ক্লান্তি দূর করে দি্যেছে।

দীর্ঘ প্রায় চার থেকে সাড়ে চার ঘন্টার জার্নি শেষে বাস থেকে নামলাম। কলাতলী রোডের সাথে "অ্যালবাট্রস রিসোর্ট" এর সামনে বাসওলা নামিয়ে দিল। ভার্সিটির ছোটভাই বাপ্পী এই অ্যালবাট্রস রিসো্টে আমাদের জন্য বুকিং দিয়ে রেখেছিল। তাই কোন সমস্যা হলো না। দোতালায় আমাদের জন্য রুম বরাদ্দ ছিল। রুমে এসে ফ্রেস হয়ে নিলাম।খুব ক্ষুধা লেগেছিল। তাই নীচে নেমে লাঞ্চ সেরে নিলাম। নিপাকে বললাম, রুমে গিয়ে রেস্ট নিতে। কিন্তু ও রাজি হলোনা। বললো বীচে যাবে। আমিতো অবাক, মেয়ে বলে কি। বাসে থাকা অবস্থায় এতটা অসুস্থ হয়ে পড়ছিল যে, কথা বলতে পারছিলো না। আর এখন বলে কিনা রেস্ট না নিয়ে সরাসরি বীচে যাবে। বুজতে পারলেম এ সবই সমুদ্রের আকরষন। আমার মত নিপাও এর আগে কখনো সমুদ্র দেখেনি। কি আর করা বউয়ের কথা যথার্থ। দুজনে বীচের দিকে হাটতে লাগ্লাম।

কিছক্ষণ হেটেই বীচে পৌছে গেলাম। চোখের সামনে বিশাল সমুদ্র।এক পলকেই যে কারো মন ভালো হয়ে যাবে। আমাদের দুজনের শধু মনই নয়, এত কস্টকর ভ্রমনের ক্লান্তিও যেন এক নিমষে দূর হয়ে গেল। তখন ভাটার সময় চলছিল, তাই পানি অনেক দূরে সরে গিয়েছিল। আমরা বালির উপর দিয়ে হেটে ঢেউ গুলো যেখানে এসে ভেগে পড়ছে সেখানে দাড়ালাম। উপভোগ করতে শুরু করলাম আমাদের হানিমুনের অধ্যায়

কিছুক্ষন বীচে ঘোরা ফেরার পর বুজতে পারলাম যে সাগর আমদের ডাকছে তার পানিতে অবগাহনের জন্য। কিন্তু পুর্বের অভিজ্ঞতা না থাকায় বুজলাম আমরা একটা ভুল করেছি। আর তা হলো আমদের ্পোশাক । এই পোশাকে আর যাই হোক, সাগরের পানিতে অন্তত নামা যায় না। তাই কি আর করা, রুমে চলে এলাম। এবং পোশাক পরিব্তন করে আবারো বীচে গেলাম।

নেমে পড়লাম পানিতে। নিপা পানিতে নামতে ভয় পাচ্ছিল। কারন ও সাঁতার জানেনা। ওকে সাহস দিলাম, আমি তো আছি। ওর হাত ধরে প্রথমে হাঁটু পানি, তারপর কোমর সমান পানিতে নিয়ে এলাম। আস্তে আস্তে ও ইজি হতে পারছে। ওকে কখনো ধরে রাখলাম, কখনো ছেড়ে দিলাম নিজেকে নিয়ন্ত্রনের জন্য। এরমাঝেও ঢেঊয়ের ধাক্কায় দুজনে দুবার উলটে গেছি। চোখে মুখে পানি ঢুকেছে, তখন বুজতে পেরেছি যে সাগরের পানি লোনা হয়। যাই হোক নিপা এখন, নিজেকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে। ওকে কম পানিতে রেখে আমি আরো একটু এগিয়ে গেলাম। কি যে আনন্দ বলে বোঝাতে পারবোনা। ডানে বামে সাঁত্রানো,ঢেঊয়ের সথে খেলা করা, মজায় আলাদা।

নিপা বার বার পেছন থেকে ডাকছিল, আমি যেন বেশী পানিতে না যায়। আসলে সাগরের টান টাই এমন যে, আপনি যত গভীরে যাবেন, আ্পনার আরো বেশি গভীরে যেতে ইচ্ছা হবে। যারা নিজেকে আটকে রখতে পারেনা, তারাই ঢেঊয়ের টানে ভেসে যায়।

দুজনে কখনো পানিতে কখনোবা বালিতে বসে সমুদ্র উপভোগ করতে থাকলাম। ্পুরোটা বিকেল সমুদ্রে কাটালাম। তারপর রুমে এসে শাওয়ারের পানি তে আবার গোসল সেরে নিলাম। কারণ তখন পুরোটা শরীরে লবন ও বালি মিশ্রিত পানি লেগেছিল। ফ্রেস হয়ে আবার বীচে চলে গেলাম। বীচ ধরে হাটতে হাটতে অন্যান্যা দর্শনার্থীদের থেকে অনেক দূরে চলে এলাম। নির্জনে এসে বালির উপর দুজনে বসে পড়লাম, নিপা আমার ্কাধে মাতা রখলো।তাকিয়ে রইলাম সমুদ্রের দিকে। মাঝে মঝে ঢেঊএর পানি এসে দুজনে পা ভিজিয়ে দিচ্ছে। দিনের আলো কমে আসছে। সূর্য ডূবতে বসেছে। কি যে এক মায়াবী পরিবেশ যা বলে বো্ঝাতে পারবোনা, এটা শুধু মন দিয়ে উপলব্ধি করা যায়। তবে এটা বলতে পারি যে আমন পরিবেশ নাটক বা সিনেমাতে দেখা যায়।

সূ্যাস্ত পর্যন্ত দুজনে বসে রইলাম। আমাদের দুজনেরই প্রথ্ম বারের মত সমুদ্রে সূ্যাস্ত দেখার সৌভাগ্য হলো, তাও আবার এক সাথে পাশাপাশি বসে হাতে হাত রেখে। সু্য ডুবে যাওয়ার পর ফেরার পথে হাটতে লাগলাম। নিপা ঢেউইয়ের পানিতে ভেষে আসা শামুক ঝিনুক কুড়াতে কুড়াতে হাটতে লাগল।

বীচের লাবণি পয়েন্টের কাছে এসে বীচ সংলগ্ন মার্কেটে ডুকলাম। তখন চারিদিকে অন্ধকার হয়ে গেছে। কিছু কেনাকাটা সেরে রুমে চলে। রাত্রে খাওয়ার পরে কলাতলী রোড ধরে হাটাহাটি করলাম। রুমে এসে টিভি দেখলাম কছুক্ষন। তারপর বারন্দায় এসে বসলাম দুজনে। শু্নতে পেলাম সাগরের গর্জন। নিপা গুন গুন করে গান গাইতে লাগলো। আমি ভাবলাম, জীবন তো আসলেই সুন্দর।

আমরা প্রায় ৫ দিন ছিলাম কক্সবাজার। প্রতি দিনের রুটিন প্রায় এই রকমই ছিল। তবে এরই মাঝে হি্মছড়ি গিয়েছি। বার্মিজ মার্কেটে কেনাকাটা করেছি। শুটকি বাজার থেকে শুটকি কিনেছি। রাডার স্টেশনে গি্যেছি। সেন্টমা্টিন যেতে পারিনি, কারণ বছরের এই সময় জাহাজ গুলো বন্ধ থাকে। আরো অনেক বেড়ানোর ইচছা ছিল, কিন্তু কিভাবে যে সময় গুলো পেরিয়ে গেলো বুজতে পারলাম না।

অবশেষে ফেরার সময়ে ঘনিয়ে এলো। আমরা ফেরার পথে চলা শুরু করলাম, সাথে নিয়ে নিলাম জীবনের কিছু সৃত্বি যা কখনো ভুলবো না।

লেখাটি প্রথম প্রকাশিত এই ব্লগে

যদি ভালো লাগে তাহলে ঘুরে আসতে পারেন আমার ব্লগ থেকে। অল ইন বাংলা ক্লিক করুন।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×