বলা নেই কওয়া নেই হুটহাট ফেসবুকে গ্রুপ খুলেই একের পর এক নতুন নতুন শব্দ ও ধ্যান-ধারণা সৃষ্টি করে প্রচলিত ধারার রাজনীতিকে এক প্রকার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে ফেসবুক ভিত্তিক সংঘঠন পিস ফর বাংলাদেশ। ইতোমধ্যেই এটি বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিবর্গ ও শিক্ষিত তরুণ প্রজন্মের আগ্রহের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। প্রতিদিন এতে চলে অসংখ্য মননশীল আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর।
‘রাজনীতি’ শব্দটি সম্পর্কে তারা বলছে- “রাজনীতি রাজনীতি করে জনমানুষের নীতির উন্নতি ঘটানো যাবে না। তাই এ শব্দটিই সমূলে উৎপাটন করুন। এ শব্দটি দূষিত, এটি সমাজে দুর্গন্ধ ছড়ায়। আসুন, আমরা ‘গণনীতি’ চর্চা করি। এখান থেকেই, এই ছোট্ট একটি পয়েন্ট থেকেই আমরা পরিবর্তন শুরু করি। কোথা থেকে কে এসে কোটি মানুষের ‘রাজা’ বনে যাবে- এই একুশ শতকে, গণপথ ‘রাজপথ’ হয়ে যাবে, তারা ইচ্ছেমতো পরিবারতন্ত্র ও রাজতন্ত্র কায়েম করবে, আর আমরা তাদের প্রজা ও গোলাম হব, এটা অসম্ভব! টকশোবাজদের বলে দিন, গণনীতির সালাম নিন, রাজনীতি বিদায় দিন।
ইসলাম ও গণতন্ত্রে ‘রাজনীতি’, ‘রাজ’ বা ‘রাজা’র কোনো অস্তিত্ব নেই, থাকার প্রশ্নই আসে না। ইসলাম ও গণতন্ত্রে যা তা হচ্ছে ‘গণনীতি’। আমরা আমাদের চলাচলের যেসব পথকে ‘রাজপথ’ বলি তা আসলে রাজপথ নয়, ‘গণপথ’। রাজনীতি শব্দের অর্থ ‘নীতির রাজা’ বা ‘রাজার নীতি’ যাই হোক, এসব ‘রাজা-প্রজা’ সম্পর্কে আমাদের কোটি কোটি জনগণ বিশ্বাসী নন। ভাল নীতিকে ইসলাম নীতির রাজা বলে না, বলে উত্তম বা শ্রেষ্ঠ নীতি। সুতরাং এটা নিশ্চিত যে, ইসলাম বা ধর্মের সঙ্গে রাজনীতির বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই।”
আন্দোলন ও কর্মসূচি নিয়ে তাদের বক্তব্য- “সর্বপ্রকার উত্তেজনাতাড়িত তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ এড়িয়ে দীর্ঘমেয়াদি আলোচনা-সমালোচনা ও পর্যালোচনার মাধ্যমে মৌলিক ইস্যু চিহ্নিত করে জাতীয় ঐক্যের ভিত রচনায় আমরা বিশ্বাসী। এ লক্ষে ব্যাপক অহিংস সামাজিক আন্দোলনও গড়ে তোলা যেতে পারে। “মানুষ”, “সমাজ” ও “শান্তি”- এ তিনটি বিষয়ের ওপর দেশের ৬৪ জেলায় অভিন্ন নামে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি (সামাজিক সভা) পালন করলে নিশ্চিত একটি মেসেজ যাবে সবার নিকট, আর এতে আমাদের পারস্পরিক জানাশোনা এবং এ বিষয়ে পর্যাপ্ত কথা বলা, শোনা ও চিন্তাভাবনারও সুযোগ ঘটবে। আমরা মূলত যা চাচ্ছি, তার জন্য প্রচুর পরিমাণে এ ধরনের আলোচনা পর্যালোচনা প্রয়োজন। সামাজিক সভায় নিজেদের মতামতের পাশাপাশি সমাজের সবশ্রেণির চিন্তাশীলদের মতামতও পাওয়া যাবে। প্রথমটা আমরা ঢাকা প্রেসক্লাবে করতে পারি মিডিয়ার লোকদের দাওয়াত করে। তবে এর আগে আমরা নিজেরা একটা বৈঠকে মিলিত হতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। তারিখটা হতে পারে ২৭ মার্চ, বা তার পরের কোনো দিন।
সূত্র : বিশেষ প্রতিবেদক