যে জনমে হংস ছানা হয়ে জন্মেছি,
সে জনম শেষ হয়েছে অবিরাম চিল শকুনের ভয়ে।
যে জনমে ব্রক্ষ্মার বর পেয়ে পিপড়ে থেকে রাতারাতি-
পাখি হয়ে জ্যোৎস্না দেখতে আকাশে উড়েছি,
সে সন্ধ্যায় নিমিষেই ফিংগের স্ন্যাকস হয়ে তার-
অরুচি রোগের চমৎকার দাওয়াই হয়েছি।
যে যৌবন ক্ষয়ে গেল যুবতীর অব্যাহত অবহেলায়,
তৃষিত বৃদ্ধের তরুনী ভার্যা বিষতুল্য- আজি এই অবেলায়।
যে নদীর বালুচর কখনো ডুবেনা,
যৌবন হারানো সে নদীর স্রোত হয়েও জঞ্জাল সব ঘুচেনা।
যে নিষিদ্ধ গোলাপে নিজের চেহারা ঢেকেছো,
যে দ্রোহে নিজেকেই একাকী বলে লিখেছো,
কখনো কি ভেবে দেখেছো,
তুমি নিজেই নিজের সন্তানের অস্তীত্ব গোপন করেছো?
যে পাপ আমায় কুড়ে কুড়ে খায়,
যে তাপ আমাকে আজন্ম পোড়ায়,
ব্যামোটা আমার কি- সে ভাবনা কি একবারও ভেবেছ?
মনে কি করতে পারো তোমার চোখের জল,
ছলের ভানে নিজের গায়ে আর গালে মেখেছি?
গোপন করেছি দু’চোখ ভর্তি ভিক্টোরিয়ার ঢল।
বিনিদ্র রজনী নিষ্পলক তাকিয়ে থাকি আকাশ পানে,
আমি জেনে গেছি কেউ এসে বলবে না আজি,
ও দাসু’র বাপ-চলতো দেখি, ঈদের বাজারে চল।
জানিনা কবে কখন কেটে দিলে বাধনের হাল,
আমি আটকে গেলাম।
আতংক আর অসহায় আমি-
অবাক চোখে তাকিয়ে দেখি,
দু’পাশেই খাড়া পাহাড়ের পাথরের ঢাল।
পিতার আর্তনাদ এখানে অনর্থ প্রতিধ্বনি,
পাহাড়ের গায়ে বাধা পেয়ে ফিরে ফিরে আসে,
হিংস্র লেপার্ডের নাকে নরম মাংসের সুগন্ধী ভাসে।
হায় পিতা, হংসের ছানা আর নিয়তির স্বাধীনতা পাওয়া পিপড়ের দল,
তোমাদের সকলের চক্র একই সুতোয় গাথা,
শিশুটিকে বুকে রেখে বড় করে তুলো,
তার পিতা সম্পর্কে যাচ্ছেতাই না হয় বলো।
তবু তাকে অতি যত্নে দেখে রেখো- কেউ তারে বলো।
ও কালো গোলাপ ও নি:সংগ প্রান দয়া করো,
বাবুটাকে ফেলে রেখে কখনো কাউকে বলো না,
চলো। যেথায় ইচ্ছে উড়ে বেড়াই।
চলোনা, প্লিজ চলো।
( স্থান, কাল, পাত্র আর বাস্তবতা বর্জিত হিজিবিজি )।