somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিছু অনাহুত কথা যা উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করে

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুষের স্বপ্ন বার বার বদলায়। যেমন বদলেছিল বাঙ্গালীদের স্বপ্ন। শুরুটা কত আগে হয়েছিল তা হয়তো আমাদের জানা নেই। তবে সাধারণ ভাবে বলতে গেলে ১৭৫৭ সালটাই ধরা যেতে পারে। মূলত সেদিনইতো বাংলার স্বাধীনতার সুর্য় দীর্ঘ দিনের জন্য ডুবেছিল। যে স্বাধীনতার আলো জ্বালতে বাঙ্গালীদের লেগেছে যুগের পর যুগ। দেশ ভাগ হলো। বাঙ্গালীরা মনে করলো এবার নিশ্চই তাদের ভাগ্য বদলাবে। নতুন একটা দেশ হলো। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস তাই আবারও তাদের আশা ভঙ্গ হলো। শাষক গোষ্ঠি তাদের ওপর চাপিয়ে দিল নানা অত্যাচার। দেশকে ভালবাসার মানুষের অভাব ছিলনা। বর্তমানে যারা দেশকে ভালবাসে বলে বড় বড় কথা বলে তারা আসলে কতটা দেশকে ভালবাসে তা চোখ কান খোলা রাখলেই উপলব্ধি করা যায়। মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকারটুকু যখন শাষক গোষ্ঠি কেড়ে নিতে চাইলো তখন বাঙ্গালীরা রুখে দাড়ালো। রাজ পথ বুকের রক্ত দিয়ে ধুয়ে দিল। যার স্মৃতি ধরে রাখতে আজ আমরা শহীদ মিনার বানিয়েছি। কালের পরিক্রমায় সাহসী বাঙ্গালীরা যে সুখের আর সমৃদ্ধির স্বপ্ন নিয়ে দেশ গড়ার কাজে মনোযোগি হয়েছিল তারা হারিয়ে যেতে লাগলো। হারিয়ে যাওয়ার আগে ১৯৭১ সালে ৯ মাস যুদ্ধ করে আমাদের হাতে তুলে দিয়ে গেল একটা স্বাধীন বাংলাদেশ। তাদের স্বপ্ন ছিল বুকের রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে তারা যে স্বাধীন দেশটা আমাদের হাতে তুলে দিয়ে যাচ্ছে তা আমরা রক্ষা করবো এবং আরো বেশি সমৃদ্ধ করে তুলবো। কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন আমরা সত্যি হতে দেইনি। তাদের সে স্বপ্নকে আমরা মিথ্যে করে দিতে প্রতিনিয়ত ব্যাস্ত ছিলাম। সেই সব মানুষ যারা ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ অবধী জীবনের সব সুখ বিসর্জন দিয়ে আমাদের জন্য একটা লাল সবুজের পতাকা এনে দিয়ে গেল এবং আমাদের হাতে সেই সোনার বাংলার দায়িত্ব দিয়ে গেল তাদের এই দিয়ে যাওয়াটা অনেকটা শেয়ালের কাছে মুরগী বরগা দেয়ার মত। যে শেয়াল প্রতিনিয়ত তার কাছে রেখে যাওয়া মুরগীর ছানাকে খেয়ে ফেলতে লাগলো। আমাদের হয়েছে তাই। যে মানুষগুলো জীবনের সব সুখ বির্সজন দিয়ে আমাদের হাতে তুলে দিয়ে গেল একটা স্বাধীন পতাকা আজ আমরা সেই পতাকা খামচে ছিড়ে নষ্ট করছি।

দেশ এই স্বাধীনতা পরবর্তী বছর গুলোতে কতটা উন্নত হয়েছে সেটাতো আমরা দেখতেই পাচ্ছি কিন্তু কতটা হারিয়েছে সেটাও নিশ্চই আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর প্রয়োজন নেই। আমাদের চেয়ে সব দিক থেকে পিছিয়ে থাকা দেশও এখন আমাদের থেকে অনেক উন্নত। তাইতো আমাদের দেশের সম্পদশালীরা সেই সব দেশে ছুটি কাটাতে যায়। অথচ এমনটা হওয়ার কথা ছিলনা। বরং অন্য দেশের মানুষদেরই আমাদের দেশের সৌন্দর্য দেখতে আসার কথা ছিল।

পাওয়া না পাওয়ার হিসাব কসতে গেলে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে। এখন আমরা দেখি স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে বাজে কথা বলা হচ্ছে এবং সেটা যে কেউ বলছেনা বলছেন তারাই যারা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় খুব কাছে ছিলেন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে যাদের অবদান কোন অংশেই কম নয়। এখন স্বাধীনতার ঘোষক নিয়েও তর্ক বিতর্ক হতে দেখা যাচ্ছে। এটাতো ন্যুনতম জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তিরও জানা থাকার কথা যে স্বাধীনতা লাভের পরও চার বছর জীবিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি কি কখনো বলেছেন যে তিনি স্বাধীনতার ঘোষক। জিয়াউর রহমান বেচে ছিলেন আরো অনেক দিন। তিনিকি কখনো বলেছিলেন যে তিনিই স্বাধীনতার ঘোষক? আমরা নিজেরাই আসলে কুলাঙ্গার। তাই যারা আমাদের জন্য এরকম সুন্দর একটা দেশ সুন্দর একটা পতাকা এনে দিয়েছিলেন তাদের আমরা সকাল সন্ধ্যা পদদলিত করছি অপমান করছি। স্বাধীনতার ঘোষনা দেয়া না দেওয়া যদি বড় কিছু হতো তবে বঙ্গবন্ধু কিংবা জিয়াউর রহমান দুজনেই জীবিত থাকা কালিন এমন কিছু করে যেতেন যে সেটা নিয়ে কারো কিছু বলার থাকতোনা। আমরা কেন তাহলে এতো কথা বলছি। আজকে আওয়ামীলীগ বা বিএনপি কেউ কাউকে সম্মান করতে চায়না। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে যে ঘোষনাটি পড়ে শোনানো হয়েছিল সেখানে জিয়াউর রহমান স্পষ্ট বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। তার পরও সেটা যেমন আওয়ামীলীগ অস্বীকার করে তেমনি জিয়াউর রহমানের ছেলে তারেক রহমানও অস্বীকার করে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা। এমনকি যে মানুষটা না হলে বাংলার স্বাধীনতার সুত্রপাতই হতনা তাকেও স্বাধীনতার বিপক্ষের মানুষ বলে আখ্যায়িত করতে দ্বিধা করেনা। আমরা নিজেরাই আমাদের সেই সব অসাধারণ মানুষগুলোকে দিন রাত কলুসিত করছি। যারা চলে গেছে তাদের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলছি। অথচ তাদেরকে সব সময়ের জন্য সম্মানের আসনে বসানোর কথা ছিল।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাম গাছ (জামুন কা পেড়)

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

মূল: কৃষণ চন্দর
অনুবাদ: কাজী সায়েমুজ্জামান

গত রাতে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে সচিবালয়ের লনে একটি জাম গাছ পড়ে গেছে। সকালে মালী দেখলো এক লোক গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিরোনামহীন দুটি গল্প

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫

গল্প ১।
এখন আর দুপুরে দামী হোটেলে খাই না, দাম এবং খাদ্যমানের জন্য। মোটামুটি এক/দেড়শ টাকা প্লাস বয়দের কিছু টিপস (এটা আমার জন্য ফিক্সড হয়েছে ১০টাকা, ঈদ চাদে বেশি হয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

এশিয়ান র‍্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২০

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×