নেহাতই সাদামাটা একটি সড়ক দুর্ঘটনা। 'চাকা ফেঁটে যাওয়ায় বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এরপর বাসটি ফুটপাতে থাকা লেকজনকে চাপা দিয়ে পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত।' তারেক-মিশুকদের মত কোন হাই প্রোফাইল দুর্ঘটনা নয় যে মানুষ রাস্তায় কাতারে কাতার দাড়িয়ে মানব বন্ধন করবে, ড্রাইভার এবং সংশ্লিষ্ট কোম্পানীর বিচার চাইবে, মন্ত্রী-মিনিস্টাররা বিব্রত বোধ করবে, এটিএন-ইটিভির ক্যামেরা বিশেষ প্রতিবেদন প্রচার করবে। যারা মরেছে তারা অতি সাধারন: 'নিহতরা হলেন- সুমিতা রানি দে (৩২), উত্তম বিশ্বাস (৩০) ও নমিতা মজুমদার (৪৭)। তারা সবাই সীতাকুণ্ড এলাকার মসজিদ্দা এলাকার বাসিন্দা এবং বারো আউলিয়া মার্স টেক্সটাইল মিলের কর্মী।' আর তাই তাদের মৃত্যুটা কোন চমক তোলে না, ব্যথা জাগায় না, দাগ কাটে না। কুকুর-বিড়াল মরলেও কেউ রাস্তায় নামে না, প্রতিবাদ করে না।
অথচ তারেক মাসুদরা কিন্তু এই সমস্ত কুকুর-বিড়ালকে উপজীব্য করেই তারেক মাসুদ। বস্তুর চাইতে বস্তুর উপস্থাপকের জন্যই আমাদের প্রাণে হাহাকার জাগে বেশী।
তবু মিডিয়াঅলাদেরকে অশেষ ধন্যবাদ রুটিনওয়ার্ক হলেও তারা কুকুর-বিড়ালদের দুর্ঘটনা সংবাদও ছাপে। আলোড়ন না তুলুক, দাগ না কাটুক, মন্ত্রী-মিনিস্টাররা এর দোষ ওর ঘাড়ে আর ওর দোষ এর ঘাড়ে চাপানোর জন্য ব্যস্ত না হয়ে উঠুক, 'বাস কেন এমন চাকা নিয়ে রাস্তায় বেরুবে যা মাঝ পথে ফেটে গিয়ে ফুটপাথের মানুষদের হৃদপিন্ডের উপর চড়ে বসবে' লেখা ব্যানার হাতে মানববন্ধন নাই থাকুক।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



