আমি 'নবনী',
'এই বসন্তের' 'এইসব দিনরাত্রি' গুলো কেটে যাচ্ছে এক 'তন্দ্রা বিলাস'-এর মধ্য দিয়ে। সেদিন আমি ছিলাম 'একা একা'। বাসার 'সবাই গেছে বনে'। তখন 'চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক'কে দেখে থমকে গেলাম। আমাদের 'শাদা বাড়ি'র পাশ দিয়ে 'তারা তিনজন' হেঁটে যাচ্ছিলো। তাদের মাঝে একজন ছিলো 'হিমু'। 'হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম'। আমি তন্ময় হয়ে তাকিয়ে ছিলাম আর ভাবছিলাম, আশ্চর্য! এতো আমার কল্পনার হিমু। কল্পনায় আমি 'এবং হিমু' কতদিন যে 'ময়ুরাক্ষী' নদীর পাশ দিয়ে হেঁটেছি। আমি 'একজন মায়াবতী' হয়ে আমার ভালোবাসার 'কবি'কে দিয়েছি 'শ্যামল ছায়া', দিয়েছি 'সৌরভ'। তার 'অচীনপূরী'তে আমি হয়েছি 'ছায়াসঙ্গী'। 'হিমুর রূপালী রাত্রী'তে 'যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ' তখন আমরা হাতে হাত রেখে 'নক্ষত্রের রাত'-এ দেখেছি 'অনন্ত নক্ষত্র বিথী'। 'অন্যদিন', যখন 'আকাশ জোড়া মেঘ' ছিলো অর্থাৎ 'শ্রাবন মেঘের দিন', 'দিনের শেষে' সকল আলো যখন নিভে যেতে শুরু করেছিলো ঠিক তখন সে আমাকে দিয়েছিলো এক উজ্জ্বল 'সূর্যের দিন'। আমি হয়েছিলাম তার 'জলপদ্ম'। তারপর হঠাৎ 'আমার আপন আঁধার'-এ 'মেঘের ছায়া' পড়লো। চেয়ে দেখি 'কোথাও কেউ নেই'। সবকিছু 'শুন্য'। 'অন্যভুবন'-এর 'অন্ধকারের গান' হয়ে সে এসেছিলো কিছু মূহুর্তের জন্য। তারপর আবার চলে গেছে 'দরজার ওপাশে'। এখন 'আমার আছে জল'। 'তোমাকে' না পেলেও ভালোবাসবো চিরকাল। তাই স্বেচ্ছায় 'নির্বাসন' নিলাম 'নন্দিত নরকে'।
- 'পাখি আমার একেলা পাখি'
ভালো থেকো ............
(কৃতজ্ঞতাঃ এই চিঠিটা আমার লেখা বা আমাকে উদ্দেশ্য করে লেখে না। আমার এক বন্ধু এই চিঠিটা কোনও এক সময় লিখেছিলো। পরে সে আমাকে চিঠিটা দেয়। আমার বন্ধুটির নাম ''রাফানা তন্বী"। তার অনুমতির থোড়াই কেয়ার করে চিঠি খানা আমার ভার্চুয়াল বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করি আপনারা উপভোগ করবেন। ধন্যবাদ।)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






