somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি আইসক্রিম ফ্যাস্টিভাল ও কিছু কথা

২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এর আগেও পেপারে দেখেছিলাম ব্যাপারটা। কিন্তু আমি বাংলালিঙ্ক এর প্রিয়জন সাবস্ক্রাইবার হওয়ার সুবাদে ১০% ছাড়ের এসএমএস টা পাওয়ার পর মাথায় ঢুকে গেছে এবার আইস্ক্রিম ফ্যাস্টিভালে যেতেই হবে। হ্যা, আমি ঈগলু-রুপসী বাংলা আইস্ক্রীম ফ্যাস্টিভাল ২০১৩ এর কথা বলছি। গত ১৩ থেকে ২১ জুন ২০১৩ তে স্বনামধন্য আইক্রীম কোম্পানী ঈগলু আর হোটেল রুপসী বাংলা এর যৌথ উদ্যোগে হোটেল রুপসী বাংলার লবীতে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। মাত্র ৫০০ টাকায় বিভিন্ন স্বাদের অফুরন্ত আইসক্রীম খাওয়ার এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি বলেই মাথায় চিন্তাটা আসা মাত্রই আমাদের গ্রুপ পেটপূজারী (পেটপূজারী) তে একটা পোষ্ট দিয়ে দিলাম। যদিও আমাদের গ্রুপ মেম্বার হাতে গোনা কয়েকজন তবুও আশা করেছিলাম ৪/৫ জন হয়তো যেতে পারবো শেষ পর্যন্ত। কিন্তু জিসান ঠান্ডার অজুহাতে প্রথমেই সরে গেলো। এরপর যথারীতি মুক্তার ভাই আর নিশানও সটকে পড়লো। শুধু অনিক আর তনয় যেতে রাজি হলো। যদিও নরসিংদিতে থাকার কারনে অনিক আর আসতে পারলোনা, কিন্তু শেষ মুহুর্তে মুক্তার ভাই আমাদের সাথে জয়েন করলো।
১৮ জুন অফিস শেষে আমি আর তনয় গুলশান থেকে সরাসরি ভেন্যুতে চলে গেলাম। রাস্তায় মুক্তার ভাইয়ের সাথে কয়েক দফা যোগাযোগ করে উনার আসা নিশ্চিত করে নিলাম। সেই সাথে উনাকে আসার সময় ক্যামেরা নিয়ে আসতে বলে দিলাম। তো রুপসী বাংলাতে গিয়ে বাইরের গরমে অতিষ্ঠ হয়ে আমি আর তনয় মুক্তার ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা না করে সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ ভিতরে ঢুকে গেলাম। এন্ট্রি টিকেট আমার জন্য ৪৫০ আর তনয়ের ৫০০ টাকা। :P গেইট দিয়ে ঢুকতেই একজন আমাদের এন্ট্রি পাস চেক করে নিলো এবং আরেকজন হাতে সিল দিয়ে কি একটা মার্ক করে দিলো। ঢুকেই প্রথমে একটু হতাস হয়ে গেলাম জায়গা স্বল্পতা দেখে। মনে হচ্ছিলো আয়োজনটা আরো একটু বড় পরিসরে করলে আরও ভালো হত। যাই হোক, মোট চারটা কাউন্টার নিয়ে বসেছে আইসক্রিম মেলা। প্রতিটাতে ২০ টার মত ট্রে তে বিভিন্ন ফ্লেভারের আইসক্রিম সাজানো আছে। আমরা প্রথমে কিছুক্ষন ঘুরে হাবভাব বুঝে দুইজন দুইটা ফ্লেভার টেস্ট করলাম। দুটোই খেতে ভালো ছিলো, তনয়ের খাওয়া দেখে অন্তত এই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পেরেছিলাম। এরপর তনয় একসাথে ৪টা ফ্লেভার নিলো আর আমি দুইটা। এগুলো শেষ হতে না হতে মুক্তার ভাই এসে জয়েন করলো। মুক্তার ভাই আসার পর আমাদের ম্যারাথন আড্ডাবাজি আর ফটোগ্রাফির মাঝে মাঝে চললো আইসক্রিম খাওয়া। ক্রিম এন্ড কুকিজ, ক্যারিবিয়ান কোকোনাট, অরেঞ্জ স্টারবাস্ট, ব্ল্যাক ফরেস্ট, ডাবল চকোলেট, প্রালাইন আন্ড ক্রীম, চকোলেট এন্ড অরেঞ্জ, চকোলেট ফাজ, স্ট্রবেরী ইয়োগার্ট সহ আরোও অনেক স্বাদের আইস্ক্রিম ছিলো ফ্যাস্টিভালে। প্রায় প্রতিদিনই একটা না একটা নতুন ফ্লেভার যুক্ত হতো এই আয়োজনে। আইসক্রিম খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে ছিলো লাইভ গান শোনার সুযোগ। অল্প বয়সী পাঁচজন ছেলে জনপ্রিয় কিছু বাংলা আর ইংরেজী গান গেয়ে শোনাচ্ছিলো অতিথিদেরকে। জায়গা স্বল্পতার কারনে অনেকেই বসার সুযোগ পাচ্ছিলোনা। আবার অনেকেই জায়গার তোয়াক্কা না করে বন্ধু বান্ধব নিয়ে ফ্লোরে বসেই আড্ডাবাজি আর আইসক্রিম ভোজন চালাচ্ছিলো।

এমনিতে আয়োজনটা খুব ভালো ছিলো। নানান বয়সী আইসক্রিম প্রেমিদের কলকাকলীতে ভরে উঠেছিলো সেই ক্ষুদ্র পরিসর। বেশ কয়েকজন ভীনদেশী আইসক্রিম প্রেমীকেও দেখা গিয়েছে আইসক্রিমের স্বাদ নিতে। তবে যতটুকু আশা নিয়ে গিয়েছিলাম তার অনেকখানিরই গুড়ে বালি পড়ে গিয়েছে ওদের সংগ্রহ দেখে। সচরাচর পাওয়া যায়না এমন অনেক ফ্লেভারই হয়তো ছিলো তবে মুখে দিলেই চোখ বুজে আসে বা অসাম টাইপের কোনও ফ্লেভার চোখে পড়েনি। আর ছোট পরিসরে আয়োজনটা হওয়ার কারনে প্রায় সময়েই আরেকজনের গায়ে ধাক্কা লেগে যাচ্ছিলো। চারদিকে সবচেয়ে বেশি যে শব্দদুটো উচ্চারিত হচ্ছিলো তা হলো “এক্সকিউজ মি”। :P
মোটামুটি দুই ঘন্টা ধরে আড্ডাবাজি আর খাওয়ার রেজাল্ট অনেকটা এরকম। আমার স্কোর ১৫, তনয়ের ২৫ আর ফেল্টুশ মুক্তার ভাইয়ের মাত্র ৪। তবে আমার মনে হয়েছে দুএকটা ঝাল স্বাদের আইসক্রিম থাকলে আমি হয়তো আরেকটু বেশী স্কোর করতে পারতাম। ;)
ছবি কৃতিজ্ঞতাঃ মুক্তার ভাই
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×