এই অন্ধকারে পিদিম জ্বেলে কেউ বসে নেই। শহুরে নেই জোনাকি পোকার চাষ । বাইরে বৃষ্টি এসে কবিতার পাঠ নেয়। তিনি আল-মাহমুদ নাকি পড়ে ফেলেছেন। সোনালি কাবিনে নেই তার আস্থা। শামসুর নেই বলে হয়ত তার খারাপ লাগছে। আমার বুক সেলফে খুঁজছেন শক্তিকে। ওই শক্তি পুড়ছেন আক্ষেপে... আমাকে তুই আনলি কেন ফিরিয়ে নেয়। আবুল হাসান বোধের রিক্সায় চড়ে হারিয়ে গেছেন সেই কবে। রুদ্র-কে নাকি তার পছন্দ। ওই যে, ভালো আছি, ভালো থেকো; আকাশের
ঠিকানায় চিঠি লিখ। বৃষ্টি জানালো, আকাশের ঠিকানায় কোনো চিঠি যায়নি। হয়ত জীবনানন্দের অন্ধকারের যোনীতে হারিয়ে গেছে তা। বললাম, কবিতা শুনবে? ঘাড় ফিরে তাকালো, কে? আমি নাম পরিচয়হীন। বললাম, শুনবে না? এখানে কি বুদ্ধদেব নেই? জানেন তো, মুখ না-দেখার আক্ষেপে বুদ্ধদেব জ্বলেছিলো চিতার আগুনে। ওই যে, এই সেই হাত। বৃষ্টি কোনো কথা বলব না। হাত ইশারায় কবিতা শোনাতে বলল আমায়। আমি শুরু করলাম... মৃত চাঁদকে এনে দাও...আমি প্রিয়তমার কপালে টিপ পড়াব... এখন মৌসুম জরায়ুর... এনে দাও কিছু দখিনা বাতাস... অঙ্কুরোদগমের এই তো সময়...