ছায়াশরীরের গল্প--পাঠ প্রতিক্রিয়া



মুখোমুখি শার্সি কাচ
দশ মিটার দুরত্বে দু'টি জানালা
এ-দিকে ফু দিয়ে রাত নিবাতে গেলে
ঐদিকে গভীর করে দেয় কেউ
নাম জানি না, হলুদ দাঁতের মতো
চেহারার রঙ--কাঠ পেন্সিলের আগার মতো
সরু চুল, আমি ধরতে চাই, আমি ধরতে যাই। ... বাকিটুকু পড়ুন
এই অন্ধকারে পিদিম জ্বেলে কেউ বসে নেই। শহুরে নেই জোনাকি পোকার চাষ । বাইরে বৃষ্টি এসে কবিতার পাঠ নেয়। তিনি আল-মাহমুদ নাকি পড়ে ফেলেছেন। সোনালি কাবিনে নেই তার আস্থা। শামসুর নেই বলে হয়ত তার খারাপ লাগছে। আমার বুক সেলফে খুঁজছেন শক্তিকে। ওই শক্তি পুড়ছেন আক্ষেপে... আমাকে তুই আনলি কেন ফিরিয়ে... বাকিটুকু পড়ুন
একটি পাণ্ডুলিপি নিয়ে আর কতদূর এগোনো যায়? সকালটা কবিতা হবে বলে কথা দিয়েছিলো, রাখেনি। এখন সন্ধ্যে ৭ টার গন্ধ। সন্ধ্যেটা কবিতা হলে সান্ধ্য ভাষা কী? আমাদের শহরে রাত্রি ঘুমায় না। নাগরিক স্বপ্ন সিটি বাসের সিটের অপেক্ষায় যাত্রী ছাউনীতে। যতদুর মনে পড়ে, শহর দু'মুঠো ভাতের কথা দিয়েছিল, রাখেনি। পাশের বাসার কেরানীটা... বাকিটুকু পড়ুন
অন্তঃসত্ত্বা নাহলে মানবী থেকে যাবে, কোনোদিন নারী হবে না। ফের যদি আসো, তোমাকে নারী করে তুলবো। গাছের শিঁকড়ে জমানো পুরুষত্বের হবে কুরবান। মাটির ভেতরে হবে ভ্রুণ-চাষ। এবার চাইলে তুমি দোআঁশ হতে পারো, হতে পারো মানবী থেকে নারী। কাবিনবিহীন হাতের ছায়ায় কামুক ডাক। যদি চাওতো সে ডাকে চার হাত এক হবে... বাকিটুকু পড়ুন
আত্মা রোদ্দুর হলে চৌকো জানালা ক্যানভাস হতো চন্দ্রবিন্দু চোখে। মেঘ দেখার ছলে দেখে নেওয়া যেতো নীল লিপিস্টিকের ঠোঁট। দখিনের মৌসুমী মাঠে হতো সবুজের বিয়ে। গায়ে হলুদ পর্বটা সাজানো হতো চেপ্টামোড়ায় হেলানো বিকেলে। আত্মা রৌদ্দুর হলে যুবতী হতো পুকুরের ছায়াজল; আমগাছ উচ্চাঙ্গ শিল্পী। আত্মা রৌদ্দুর হলে একটি ঘাস ফড়িং একগ্লাস জল... বাকিটুকু পড়ুন
নিঃশ্বাস চুরি হওয়ার আগে নৌকাডুবি
ভুলায় তোমার গ্রীবাদেশীয় পাঠ
দূরে কর্পোরেট সাম্পান
তুমি সওয়ার হয়েছো
নদী না-হয়ে তুমি নারী
নিঃশ্বাসের একটি গন্ধ ভাসে ... বাকিটুকু পড়ুন
প্রিয়তমা!
আমি তোমার কথা বলছি — আমি অনিবার্য তোমার কথা বলছি
হ্যাঁ, আমি বলছি সেই তোমার কথা, যার সাথে একদিন
ঢাকা শহর ঘুরে বেড়িয়েছি পাগলের মতো —
মহাখালী থেকে শাহবাগ, শাহবাগ থেকে নীলক্ষেত, নীলক্ষেত থেকে মিরপুর।
প্রিয়তমা! ... বাকিটুকু পড়ুন
আমি গাড়িতে উঠতেই তার সাথে দেখা। তিনি আমার বান্ধবী, পরিচিতা। আমার জীবনের অনেক সময় তার সাথে কাঠিয়েছি। কিংবা যদি বলি ভেতরে ভেতরে আমার প্রেমের পাণ্ডুলিপি লেখা হয়েছিল তাকে নিয়ে। আমি কিছুটা অপ্রস্তুত ছিলাম এ দেখার জন্য। তিনি মেয়ে মানুষ, তার উপর বোরখা পরেন; সুতরাং অপ্রস্তুত আমাকে দেখে তার চেহারাখানা কেমন... বাকিটুকু পড়ুন
এক
বাংলাদেশের প্রুফ দেখছিলাম। হাসিনা, খালেদা ছাড়া আপাতত শুদ্ধ করার মতো শব্দ পেলাম না।
দুই
মাঝে মাঝে কবিও যেন কিছু খুঁজে বেড়ান
জলজ উৎসব হয়; অজান্তে সব ভুলে যান। ... বাকিটুকু পড়ুন
এক
আমি এক নারীর গর্ভে জন্মেছি; অথচ প্রতিনিয়ত অনেক নারী আমার মাথার ভেতরে জন্ম নেয়। আমার মাথা নামক আঁতুড়ঘরে তাই রক্তের দাগ আর কান্নার সুর।
দুই
একজন দার্শিনিকের মাথায় পুরো রাষ্ট্র ঘুমিয়ে থাকে; আইনজীবী রাতে কাঠগড়ার স্বপ্ন দেখে আর বলেঃ মাননীয় আদালত... আমি সেসব গোছের কেউ নই তাই দিব্যি তোমাকে হৃদয়ে বয়ে বেড়ায়... বাকিটুকু পড়ুন
ক
কবির মাতৃভাষা প্রেম, রোগীর মাতৃভাষা জ্বর
তোমার মাতৃভাষা বুঝিনি, তাই বাঁধা হয়নি ঘর।
খ
তুমি সুন্দর, চাঁদ হয়ে মেঘের আড়ে গড়েছো তোমার বাস
আমি নস্যি, জীবনের ক্ষেতে গড়ি বারমাসি শব্দের চাষ। ... বাকিটুকু পড়ুন
আমরা স্বাধীন। ‘৭১-এ স্বাধীন শব্দটি আমরা আমাদের নিজের করে নেওয়া ছাড়া এর বাইরে এককদমও ফেলতে পারিনি। কিংবা শব্দের যেই দরোজা দিয়ে আমরা কামরায় প্রবেশ করলাম সেই কামরা থেকে আর বের হতে পারেনি নতুবা এমন হতে পারে ‘৭১ পরবর্তী যে-রাষ্ট্রযন্ত্র আমরা জাতির সামনে দাঁড় করালাম সেটা আমাদেরকে ওই বদ্ধ কামরা থেকে... বাকিটুকু পড়ুন