হ্বজ্ব সামর্থ্যবান মুসলমানদের জন্য বাধ্যতামূলক। এটি ইসলামি ধর্মীয় আচারগুলোর বড় একটি আচার। হ্বজ্ব কোন সংগঠন, সাধারণ, পীর,ফকির, খলিফা বা ইমাম দ্বারা প্রবতৃত নয়। আসমানি নির্দেশ। সে হিসাবে হ্বজ্বের ব্যাবস্থাপনা এবং নিয়ন্ত্রণ শুধু মাত্র একটি পরিবারের হাতে কেন থাকবে?! মুসলমানদের অধিকার, আর্থিক,সামাজিক,ধর্মীয় প্রচারনা ইত্যাদির জন্য বিবিধ আন্তর্জাতিক সংগঠন আছে। উদাহরণ স্বরূপ oic।
সৌদ পরিবার নবীর নির্দেশনা প্রাপ্ত বা খিলাফত বা রক্তিয় কেউ না। এদের ইতিহাসও বনেদি,মানবিক বা ঐতিহ্যবাহী নয়। প্রতিষ্ঠার বয়সও বেশি না। তাহলে ইসলামের কোন ধারায় একটি পরিবারের হাতে ঐশ্বরিক নির্দেশ ব্যাবস্থাপনার ক্ষমতা?! দায়িত্ব অবহেলার নজির তাঁদের ভুরি ভুরি। হ্বজ্ব নিয়ে তাঁদের সেচ্চাচারিতাও কম না। গোলাম আযমের অনুরোধে সৌদি বাদশা স্বাধীনতার পর বাংলাদেশীদের জন্য হ্বজ্ব বন্ধ করে দেয়। এবারও তারা সিরিয়াল এবং সম্ভবত ইয়েমেনিদের হ্বজ্বের অনুমতি বা ভিসা দেয় নি!! বাহ! কে আসমানি নির্দেশ পালন করতে পারবে আর কে পারবে না এটা ঠিক করে একটি পরিবার!
তারা কাল যদি সবগুলো মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রের হ্বজ্ব অনুমতি বন্ধ করে দেয় তবে মুসলিম উম্মা বা মুসলিম বিশ্বের ক্ষমতা নাই সৌদ পরিবারের বিরুদ্ধে কিছু করার।
সবচেয়ে অবাক লাগে আমাদের দেশিও কিছু মানুষকে দেখি যাদের দৃশ্যমান আনুগত্য আল্লাহর চেয়ে সৌদ পরিবারের উপর বেশি!
উপরে দু একটা জিজ্ঞাসা ছিল আশা করি সৌদ প্রেমিরা স্পষ্ট উত্তর দিবেন