27 march from Shadhin bangla betar kendro/mejor zia
এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধিনতার সংগ্রাম।
বাংলার ২৪ বছরের ইতিহাস ,ত্যাগ, তিতিক্ষা ও বঞ্চনার ইতিহাস।ভাষা আন্দোলন থেকে ধাপে ধাপে স্বাধীনতা অর্জনের পথে এগুতে হয়েছে।এই পথ কখনই মসৃন ছিলোনা।অনেক কঠিন কন্টকাকির্ণ পথ পাড়ি দিতে হয়েছে আমাদের ।আর সবচাইতে কঠিন পরিক্ষায় অবতির্ণ হয়েছিলেন, মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
স্বাধীন বাংলাদেশ ও স্বাধীন জাতি হিসেবে আজ মাথা উচু করে দাড়াতে পারছি যে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ।তার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগের কথা যদি না স্বিকার করি তাহোলে পুরোপুরি প্রবঞ্চনা করা হয়ে যায়।যা করার প্রচেষ্টা ছিলো ১৯৭৫-এর ১৫ই আগস্টের পর থেকেই।অনেক ব্যাথা,বেদনা,অশ্রু ও রক্তের ইতিহাস রয়েছে আমাদের স্বাধীনতায়।যা তিনি অর্জন করে দিয়ে গেছেন ।তা রক্ষা করা আরো বেশি কঠিন বলেই প্রতিটি মর্মে মর্মে উপলব্দি করতে পারছি আজ।বঙ্গবন্ধু অন্তর থেকেই বিশ্বাস করতেন বাংলাদেশ একদিন না একদিন স্বাধীন হবেই।তাই`তো তিনি বাংলার মানুষকে বঞ্চনা ও শোষণের হাত থেকে মুক্তি দিতে নিজের জিবনকে উৎস্বর্গ করে গেছেন।বাংলার মানুষ যে একদিন স্বাধীন হবে তিনি বার বার তা আত্মবিশ্বাসের সাথে উচ্চারণ করেছেন।
ভাষা আন্দোলন বঙ্গবন্ধু শুরু করেন ১৯৪৮ সালে।১১ই মার্চ বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে আন্দোলের শুরুতেই গ্রফতার হন।১৫ই মার্চ মুক্তি পান।ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সমগ্র দেশ সফর করে মানুষকে জাগ্রত করতে থাকেন।প্রতিটি জেলায় সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলেন।জনমত সৃষ্টি করা কালীন ১১ই সেপ্টেম্বরে আবার তিনি গ্রফতার হন।আর এরপরে তিনি ১৯৪৯ সনে ২১শে জানুয়ারি মুক্তি পান।মুক্তি পেয়েই আবার শুরু করেন দেশব্যাপি সফর।জাগ্রত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন।মেহনতি মানুষের নেতা তৎকালিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারিদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে আন্দোলনে অংশ নিলে ১৯শে এপ্রিল তাকে গ্রেফতার করা হয়।মুক্তি মেলে জুলাই মাসে।১৪ই অক্টোবরে আর্মানিটোলা ময়দানে জনসভা শেষে দরিদ্র মানুষের পক্ষে ভুখা মিছিল বের করেন ।অন্যান্য নেতাদের সাথে আবারো গ্রেফতার হন।এরপর প্রায় আড়াই বছর পর তিনি মুক্তি পান।১৯৫২ সালে ২৬শে ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেল থেকে মুক্তি পান তিনি।
কি মনে হয় এরপর তিনি কি দমে গিয়েছিলেন?না এভাবে তিনি অজস্রবার গ্রেফতার হোতে থাকলেও তিনি দমে যান নাই।অনক পথা পাড়ি দিয়ে তিনি ১৯৭১সালের ৭ই মার্চ ঈঙ্গিতে ঘোষণা করে দেন তার সেই মর্মবাণী "এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম"।আর ২৫শে মার্চ গ্রেফতারের পুর্বে তিনি সমগ্র বিশ্বকে জানিয়ে দেন বাংলাদেশ আজ থেকে স্বাধীন ।আজ থেকে মুক্তিযুদ্ধের শুরু।যার প্রস্তুতির ঈঙ্গিত তিনি দিয়ে দিয়েছিলেন সাতই মার্চের সেই ঐতিহাসিক ১৯ মিনিটের ভাষণে।যা আজ হয়ে গেছে সমস্ত পৃথিবির নিপিড়িত মানুষের ভাষণ।ইউনেস্কো নিজেই ধন্য হয়েছে এই ভাষনের ঐতিহাসিক মুল্য বিবেচনায় নিয়ে।বঙ্গবন্ধুই সমগ্র বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন আমরাও হোতে পারি অনুস্বরণীয়।
ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০০