সোনালু ফুলের স্মৃতি



পরম মমতা দিয়ে যে ঘর বুনেছি এতকাল, সেই ঘরে তাঁর ফিরে আসার সম্ভাবনায় পথজুড়ে রোজ ছড়িয়ে দিতাম সোনালুর ফুল। ফুলে ফুলে শ্রীমন্ত পথ। এইসব হলুদ দেখেছিল ঘড়ছাড়া প্রজাপতির দল। বহুদিন পর একদিন সোনালু ফুলের কাছে তারা জেনেছিল আমার একান্ত বেদনার কথা। এইসব শুনে বুঝি তাদেরও জেগে ছিল মনে... বাকিটুকু পড়ুন

সুবর্ণদহ



আমার দৃশ্যের ভেতরে এঁকেবেঁকে যায় সুবর্ণদহ নদী। ওই পাড়ে যাব বলে রোজ নদীটির ওপর একটি সাঁকোর ছবি আঁকি। তারপর, আমাকে ফেলে সারি সারি মানুষ পেরিয়ে যায় ওই সাঁকো; শুধু আমি-ই পেরোতে পারিনি কোনোদিন। ওই পাড়ে যাওয়ার প্রবল বাসনা আমার। অথচ, সাঁকো পেরোতে পারি না। এমনকি আমার কোনো ডানা নেই যে,... বাকিটুকু পড়ুন

প্রথম দৃশ্যে অন্ধকার রাত। চলটা ওঠা দেয়াল, মাঝে মাঝে ছোপ ছোপ শ্যাওলার ঝোপ; এমনই পুরোনো একটা বাড়ি। কোনোদিকে কোনো বাতি নেই, অন্ধকার। বাড়ির বাইরে ক্যামেরা। অন্ধকার অথচ বাড়ির ভেতর থেকে ভেসে আসবে খালি দোলনা হাওয়ায় দোলার শব্দ।

এবার বাড়ির ভেতরে ক্যামেরা। দোতলার একটি ঘরে মিটমিটে আলো। সেখানে বসে কবিতা লিখছেন কবি।... বাকিটুকু পড়ুন

সু জ ন সু পা ন্থ



ঠোঁটে তাঁর শিশুমালতির ঘ্রাণ



`শৈশবেই হারিয়ে ফেলেছি জলেশ্বরীর সুর, সেই সুর বিহীন আমার সব গানই এখন নিষ্প্রাণ। বহুদিন পর কাল স্বপ্নে দেখেছি- জলেশ্বরী তোমার ঠোঁটে লেগে আছে আজও শিশুমালতির ঘ্রাণ...'... বাকিটুকু পড়ুন

সু জ ন সু পা ন্থ





বন ভ্রমণ অথবা কিছু বিষাদ বিসর্জন

......................................

[আঁধারের মাঝে তোরা আলোজ্বলা পাখি হয়ে থাক] ... বাকিটুকু পড়ুন

মস্তিস্কবন্দী দৃশ্যের পাখি



মাথার ভেতর অজস্র পোকামাকড়ের ঘরবসতি। অনবরত তারা খুটে খুটে খেয়ে যাচ্ছে আমার ভেতরের মগজ। মাথার ভেতর দিনমান অকথ্য যন্ত্রণার কোলাহল। তবুও স্বস্তি—একেকটা পোকা যতটুকু খাচ্ছে মগজ, ছড়াচ্ছে যতটুকু যন্ত্রণার বিষ, রতিক্রিয়ার পর তারও অধিক তারা নির্মাণ করছে একেকটা দৃশ্যের পাখি। অজস্র যন্ত্রণার সঙ্গে এখন মস্তিস্কবন্দী দৃশ্যের পাখিদের ডানা... বাকিটুকু পড়ুন

[ চিঠি দিও আশালতা রায় ]



পোস্টবক্স ফাঁকা পড়ে আছে বহুদিন

যত্নহীন; জানি, তবু নিত্যদিন ওই

পোস্টবক্স হাতড়িয়ে যাই চিঠিপত্র।



যে বছর আশালতা সূর্যে চলে গেল ... বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের বাহির উঠোনে ছিল কামিনী গাছের সারি

তার সেই সাদা ফুলের সুবাসে ভর করে কেটে যেত

উঠোনের অলস সময়। পাশেই এক কোণায় ছিল

বয়ঃ বৃদ্ধ ধ্যানী বকুলের গাছ—গাছ থেকে দিনমান

খসে পড়তো বকুলের ফুল। মনে হতো কেউবা উঠোনের

গায়ে বিছিয়ে দিয়েছে ঝরা বকুলের চাদর। সেখানে

খেলা করে বেড়াত ফুল কুড়ানির দল—সেখানে পড়ে ... বাকিটুকু পড়ুন

জন্মেই পেয়ে গেছি সেই জনমের দেখা

ঋতু বদলে কমে জীবনের আয়ুরেখা,

কমে আয়ুরেখা তবু তো বুঝি না কারণ

কেন যে শিখিনি আমি জন্মের ব্যাকরণ।



জানি না জন্মের ব্যাকরণ কী ধারাপাত

সাপ লুডু খেলে শুধু কেটেছে দিনরাত, ... বাকিটুকু পড়ুন

ফেসবুক কাব্য-২

সুজন সুপান্থ





১.

প্রতিনিয়ত মনের খিড়কী দোরে

ভুলে যাওয়া গুলো উঁকিঝুকি মারে। ... বাকিটুকু পড়ুন