somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চাঁদ নিয়ে যত কল্পকাহিনী

০৬ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চাঁদ নিয়ে পৃথিবীর সকল দেশের মানুষের কল্পনার শেষ নেই । চাঁদ ও তার জ্যোৎস্না নিয়ে প্রেমিক যুগল , কবি সাহিত্যিক কারো কল্পনার শেষ নেই । কত কবিতা সাহিত্যে , সিনেমাতে চাঁদের রয়েছে কত উপমা । এক সময় মানুষ চাঁদ নিয়ে কত কল্পকাহিনী রচনা করেছে । তখন মানুষ চাঁদে যায়নি । সব কাহিনীগুলো রচনা করেছে তাদের খেয়ালে ও কল্পনায় ।

আজকে চলুন সেই সব খেয়াল বা কল্পনার কাহিনীগুলো সম্বন্ধে শুনি ও জানি ।

আমাদের দেশে বিশেষ করে যখন আমরা ছোট ছিলাম তখন বিনোদনের এত ব্যবস্থা ছিলোনা । তখন দেখা যেতো আমরা দাদী বা নানীর কাছে নানা রকম গল্প বা ঘুম পাড়ানী ছড়া শুনতে শুনতে ঘুম পড়তাম । এর ভিতর যখন আমরা জানতে চাইতাম দাদী চাঁদে কি থাকে ? তখন উত্তর আসতো - চাঁদে এক বুড়ি থাকে । তার নাম চাঁদের মা বুড়ি । সে সারাদিন পান খায় আর চরকায় সুতো কাটে । যদিও তার আগে ১৯৬৯ এ মানুষ চাঁদে পৌছেছে । কিন্তু এই গল্পটি বাংলার চিরায়ত লোকগল্প হিসেবে আপনার আমার অনেকের ছোটবলার স্মৃতিতে উজ্জল হয়ে আছে ।

বিখ্যাত কল্পকাহিনী লেখক এইচ জি ওয়েলসের " ফার্স্ট ম্যান ইন মুন " উপন্যাসে পাওয়া যায় যে , চাঁদের অধিবাসীদের নাম সেলেনাইট । তাদেরকে দেখতে পতঙ্গের মত । চাঁদের মাটির নিচে তাদর বসবাস ।

রাণী প্রথম এলিজাবেথের সময়কালে সতের শতকের গোড়ার দিকে ফ্রান্সিস গডউইন নামে একজন পাদ্রী একটি কল্পকাহিনী লিখেছিলেন । কল্পকাহিনীর নায়কের নাম ছিল ডোমিঙ্গো । সেই ডমিঙ্গো চাঁদে গিয়েছিলো বুনোহাঁসের পিঠে চড়ে । চাঁদে পৌছে সে কি দেখতে পেয়েছিলো জানেন ? সে দেখেছিল পৃথিবীর একমাত্র এই উপগ্রহটিটিতে যে দিকে তাকানো যায় শধু পানি আর পানি । পৃথিবী থেকে চাঁদের যে ছোপগলো দেখা যায় সেগুলো আসলে চাঁদের অথই সাগরের মাঝে মাঝে অবস্থিত দ্বীপ ।

তবে জানেনকি যেটা কল্পনা করেছে মানুষ আজ পর্যন্ত , তার অনেক কিছুই আবিষ্কার সম্ভব । কোয়ান্টাম মেথডের কোন একটা বিজ্ঞাপনী পোস্টারেও এই লেখাটা দেখেছিলাম ।

কথাটা অনেকাংশে সত্যি করে কল্পকাহিনী লেখক জুল ভার্নের লেখা পড়ে রুশ প্রযুক্তিবিদ কনস্টান্টিন পরিকল্পনা করেন ,একই গোলকের ভিতর অনেকগুলো রকেট সাজিয়ে তাদের মাথায় মহাকাশ যান রাখা হবে । জ্বালনী হিসেবে তরল কোন জ্বালানী ব্যবহার করা হবে । ১৯৩৫ সালে চন্দ্রাভিযান নিয়ে কনস্টানটিন একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন । গ্রন্থের প্রচ্ছদে ছাপা হয়েছিলো দুইজন নারী-পুরুষের ছবি । যাদের পরনে ছিলো আজকের এস্ট্রোনাটসদের মত পোশাক । চাঁদ থেকে তাকিয়ে আছে তারা এই সবুজ পৃথিবীর দিকে ।

কি আশ্চর্য তাইনা ?
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:০৬
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×