somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সন্তান দিবস (চাইল্ড ডে) সম্পর্কে কিছু কথা

০৫ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সন্তান দিবস
(চাইল্ড ডে)

সমাজের প্রতিটি মানুষ কোন না কোন ভাবে একে অপরের সাথে সম্পর্কিত। এ সম্পর্কের ভিত কোন কোন ক্ষেত্রে মজবুত আবার কোন কোন ক্ষেত্রে অতি দূর্বলও। অন্য সকলের সাথে যেমনই হোক না কেন, পিতা-মাতা ও সন্তানের মাঝে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ দূর্বলতা মেনে নেয়া কঠিন। তা হলেও এই বাস্তবতাকেই মেনে নিতে হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সমাজকে। সন্তান বাবা-মায়ের কাছ থেকে ছিন্ন হয়ে পড়ে। কখনো কখনো হয়ে পড়ে অচেনাও। বাধ্য হয়ে শেষ বয়সে তাদের বরণ করতে হয় একাকিত্ব! অচেনা হওয়ার বিষয়টি একটু সরিয়ে রাখলেও বাদ-বাকি চিত্র পৃথিবীর সকল সমাজেই কম-বেশি পরিলক্ষিত হয়।

মাতৃ আঁচলতো স্নেহে ভরপুর আর পিতৃ শাসনতো সোহাগ ভরা। তবু কেন সন্তানের সাথে সম্পর্কের এই অবনতি? হয়তো অতি পিতৃ-শাসন কিংবা অপরিমিত মাতৃস্নেহ। হয়তো এর বিপরীত। হয়তো সন্তানের সঙ্গদোষ, বয়স এবং বুদ্ধির অপরিপক্কতা। হয়তো বাবা-মায়ের অসচেতনতার ফলে সন্তানের বিপথগামী হয়ে যাওয়া; যার ফলে বাবা-মায়ের পক্ষ থেকেই সম্পর্কের দূরত্ব সৃষ্টি করা। কারণ যাই হোক না কেন, বাবা-মা ও সন্তানের মাঝে সম্পর্কের এই অবনতি সুন্দর মনের মানুষের কিছুতেই কাম্য নয়। যেহেতু বাবা-মায়ের স্নেহশীলতা আর ঔদার্য অসীম, সেহেতু তাদেরকেই প্রথমে এগিয়ে এসে সম্পর্কের দূরত্বের দেয়ালে আঘাত হানা বাঞ্ছনীয়।

উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা বশ্যতা স্বীকার করতে চায় না। কিন্তু শান্ত-কোমল ভাষাকে তারা শ্রদ্ধা করে। তাই তাদের মেধা, চাল-চলন সবকিছু নিয়ণ্ত্রণের জন্য চাই বয়স ভেদে তেমন ভাষা ও আচরণ যা তাদের মেধা ও আচরণ নিয়ণ্ত্রণের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এক কথায় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের মানসিক উন্নতি বিধানে সহায়তা করা।

টানাপড়েন নয়, সন্তানের (সকল বয়সের) সাথে বাবা-মায়ের সম্পর্ক হওয়া উচিত হেমন্তের স্নিগ্ধ-কোমল পরিবেশের ন্যায়, যে সম্পর্কের ফলে সকলের মন ভরে থাকবে শিশির ভেজা হেমন্তের শুভ্রতায়। আর এ বিষয়ে সকলের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলার ষঢ়ঋতু হেমন্তের মধ্যবর্তী তারিখ পহেলা অগ্রহায়নকে বেছে নেয়া হয়, যা ইংরেজি হিসেবে (২০০৫ সাল) ১৫ই নভেম্বর। এই ১৫ই নভেম্বর তারিখকে ”সন্তান দিবস” (”চাইল্ড ডে”) হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব রেখে ২২ জুন ২০০৫ তারিখে ”দৈনিক ঢাকা” ও ”মাসিক সত্যপ্রবাহ” পত্রিকার জুলাই ২০০৫ সংখ্যায় আমিনুল ইসলাম মামুনের লেখা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। অতঃপর বিভিন্ন মহলের ইতিবাচক সাড়া পেয়ে দিবসটি প্রতিষ্ঠার জন্য এগিয়ে চলা।

উদ্দেশ্য:
সন্তানের (সকল বয়সের) প্রতি বাবা-মায়ের অধিক সচেতন হয়ে যথাযথ স্নেহের মাধ্যমে তাদের মানষিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য তাদের সাথে অধিকতর সুসম্পর্ক অর্থাৎ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়েই ”সন্তান দিবস” বা ”চাইল্ড ডে”।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×