তবে এবার বিচার হতে পারে কারণ প্রদীপ আর লিয়াকত বিরোধী দলের লোক। তারা আওয়ামী লীগকে ধোকা দিয়েছে এত দিন। আর সাক্ষী বাঘের মুখ থেকে ফিরে আসা সিফাত আর শিপ্রা। ভয়ের কোন কারণ নেই সিফাত ও শিপ্রা সত্য বলে মরণ হোক আরেকবার । তোমরাতো সিনহার সাথে ওইদিন রাতেই মরে গিয়েছো ।
মেজরের মা কান্না করে এবং ছেলের জন্য কাঁদবে মরণ পর্যন্ত । মাননীয প্রধানমন্ত্রী ছেলে হত্যার সুষ্ঠু বিচার করবে ওয়াদা করেছেন । প্রিয় মা এখন ধৈর্য্য ধারণ করা ছাড়া আর কোন উপায় নাই আপনার , এই বাংলাদেশে। পিলখানায় ৫৭জন সেনা হত্যার বিচার হয়নি । আবরার হত্যার বিচার হয়নি। নারায়ণগঞ্জের ত্বকি ও টেন হত্যার বিচার হয়নি । তাইতো বিচার কাঁদে আকাশে বাতাসে।
প্রিয় মেঘ । ভালোবাসা তোমাকে । মা বাবা ছাড়া বড়ই কষ্টের জীবন তোমার । অল্প বয়সে মা বাবা খুন হতে দেখছো তুমি। জানি তাদের কথা মনে করে কান্না করো তুমি । তোমাদের মত এমন আরো হাজারো মেঘ কিংবা মা কেঁদেই চলেছে । তোমার মা বাবাকে খুনের পর ৪৮ ঘন্টার ভিতর আসামি ধরবে বলে ছিল রাষ্ট্র । এইটা এখন ইতিহাস । আশ্বাসের পর আশ্বাসে বছর ঘুরে বহু বছরে পড়েছে , তুমি এখন বড় হয়েছো সব বুঝতে শিখেছো । বিচার পাওনি বলে বাংলাদেশকে ঘৃণা করো না।
ইলিয়াস আলী বিএনপির নেতা । কে বা কারা ধরে নিয়ে যে গেল আজও ফিরে আসেনি । অবশ্যই অনেক খুন গুম হয় এবং হয়তো ভবিষ্যতে আরো হবে । তবে যেসব খুন গুম দেশকে নাড়া দেয় তাদের একজন ইলিয়াস আলী। তার স্ত্রী সন্তান অনেক দেনদরবার করলো জীবিত ইলিয়াসকে ফিরে পাওয়ার জন্য। রাষ্ট্র আশ্বাসও দিয়ে ছিল কিন্তু সেটাও বছর হতে বহু বছর হলো ইলিয়াস আলী ফিরে এলো না । আর সবচেয়ে বড় সত্য ইলিয়াস আলী বিএনপির প্রভাবশালী নেতা । তার ফিরে আসার সম্ভাবনা আদৌ কি ?
তনুকে আপনারা মনে হয় ভুলে গিয়েছেন । এই মেয়েটাকে কুমিল্লা সেনা নিবাসে কুমির খেয়ে ফেলেছে। তবে খাওয়ার আগে দেহের উপরে বিকৃত নৃত্য দেশবাসী দেখেছে । আমরা অনেক কাঁদলাম পেপারে ও সামাজিক সাইডে। কি লাভ হলো কিছুই হলো না । তার মা বাবা সন্তান হারালো বিচার ফেল না।
সিনহা , ইলিয়াস আলী ও সাগর রুনি আরো নাম না জানা মানুষের ভিড়ে অসংখ্য তনু যারা আকাশের তারা এখন। তনুর মা বাবা গ্রামের গরিব বলে ঢাকার রাজপথ অনেক আগেই নীরব হয়ে গিয়েছে । ইলিয়াস আলীর সন্তান আর সাগর রুনির সন্তান বড় হয়েছে সিনহার মাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে বলতে পারবে বিচারের আশ্বাস আমরাও পেয়ে ছিলাম। যেই দেশে প্রদীপ লিয়াকত সেই দেশে ইলিয়াস কোবরা সিনামা বানাবে । আর আমরা তা চুপি চুপি দেখে যাবো ।
খল নায়ক ইলিয়াস কোবরা আসলে কিন্তু এই দেশের নাগরিকই না। মিয়ানমারের থেকে এসে কক্সবাজারে নিবাস গড়েছেন। মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখে ইয়াবার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। কোবরা পরিবারের প্রায় সব পুরুষই ইয়াবা কারবারে জড়িত। জেলও খেটেছেন অনেকে আবার মামলাও চলমান ।
আর এই ইলিয়াস কোবরা প্রচণ্ড দাপটের সঙ্গে আমাদের চলচ্চিত্রে কাজ করে গিয়েছেন ! মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ খানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এই ইলিয়াস কোবরার নাম চলে আসায় এটি নিয়ে গভীর তদন্ত দরকার। সবচেয়ে আজব ও মজার ব্যাপার , যার পুরো পরিবার ইয়াবা কারবারের সঙ্গে জড়িত সেই ইলিয়াস কোবরাকে কক্সবাজারের ওই এলাকার মাদক নির্মূল কমিটির সভাপতি বানিয়ে ছিলেন সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার!!
ছবি ফেসবুক ও কোবরার নিউজ কালের কন্ঠ হতে ।
ছবি ফেসবুক ও কোবরার নিউজ কালের কন্ঠ হতে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৫