আমার রক্তকে নিয়ে এখন সন্দেহ তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বাবা কিংবা পূর্ব পুরুষেরা যখন আমাকে মুক্তযুদ্ধের গল্প শুনিয়েছিল তখন গর্বে বুক ভরে উঠেছিল। এখনও আমি আমার দেশের মানুষের সংগ্রামকে আর্দশ মনে করে দাঁড়াতে চাই। আমি নিশ্চিত আমার মতো প্রত্যেকটি তরুণ এ স্বপ্ন বুকে লালন করেন। কিন্তু আমরা কি তা পেরে উঠবো? ভয় হয়। দেশ কোথায় যাচ্ছে? এর ভবিষ্যতই বা কি কেউ এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারছেনা। দেশের রাজনীতিবিদরা দেশকে বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে এ ধারণা বর্তমান সংস্কারবাদী সরকার বার বার বলে আসছে। এবং ওরাও বিগত সময়গুলোতে নিজের বশে দেশ চালায়নি। সম্রাজ্যবাদীদের ইচ্ছানুযায়ী মীরজাফরের মত ক্ষমতার মদসনে বসেছিল। দেশ এক নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল। তারপর আসে আমাদের বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সেøাগান তুলে দুর্নীতির বিরোদ্ধে। কিন্তু একটা বিষয় বারবার লক্ষ করে আসছি এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদেশি কূটনৈতিকদের তৎপরতা আগের যে কোনো সরকারের চেয়ে বেড়ে গেছে। এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় বেশ লেখালেখিও হয়েছে কিন্তু কোন কাজ হয়নি। তারা তাদের মতো নাক গলিয়ে যাচ্ছে। আরেকটা বিষয় লক্ষ করছি আমাদের দেশের মিডিয়াগুলোও এসব দালালদের খবর ফলাও করে ছাপছে এবং রেডিও চ্যানেলগুলোও তাদের সংবাদে এখন গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করছে। গতরাত থেকে সকাল পর্যন্ত আমি রেডিও সংবাদগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনছিলাম। আশ্চর্য সবগুলো খবরেই কোন দেশের দালাল নির্বাচন নিয়ে কি বলেছে এই খবর। ভাবখানা এই রকম দেশে আর কোনো খবর নেই । দেশের নীতিনির্ধারকরা ও বার বার ওদের আশ্বস্থ করে দেশের পরিস্থিতি। আমার মনে একটা প্রশ্ন জাগে দেশের বারটা না হয় বাজিয়ে দিয়েছে নীতিনির্ধারকরা কিন্তু মিডিয়া কি বারটা বাজাচ্ছেনা। যদিও আমি বিশ্বাস করি দেশের সার্বিক উন্নয়নে মিডিয়া অনেক কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে কেন রাখছেনা। দালালদেরকে বারবার হাইলাইটস করে জনমনে কি এক ধরনের বিশ্বাস তৈরি করছেনা যে আমরা শেকড়হীন । সবকিছুই ওদের ইচ্ছের উপর নির্ভর করে। আমার মনে হয় মিডিয়া মনের অজান্তেই মানুষের মনে ভয়ানক ভিত্তি তৈরি করছে। এজন্য কি মিডিয়ার কোন দায় নেই?
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:১০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




