‘আমরা কি তিমিরবিলাসী?
আমরা তো তিমিরবিনাশী
হ’তে চাই
আমরা তো তিমিরবিনাশী’
‘গ্রাম সমাজের উন্নতির জন্য অনেক কিছুর প্রয়োজন । উৎকৃষ্ট স্বাস্থ্যকর বাসস্থান চাই, জীনাণুমুক্ত পানীয় জল চাই, বিশুদ্ধ খাবার চাই, উপযুক্ত শিক্ষা চাই. শিশুদের বিকাশের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা চাই। নারীদের স্বাধীনতা ও অধিকার চাই। এসবগুলো পাওয়ার দাবী যেদিন গ্রামসমাজ মিটাতে পারবে সেদিন আমাদের দেশে একটি নতুন যুগের সূচনা হবে। মানুষ এমন প্রাণী তাকে বাধ্য করে বা ওপর থেকে চাপ প্রয়োগ করে তার বিশেষ কল্যাণ করা যায় না। মানুষকে নিজেকেই ভেতর থেকে অনুভব করতে হয়। তার ভেতরে রয়েছে অপরিসীম শক্তি। এ শক্তিকে মুক্তি দিতে পারলেই, সে অসাধ্য সাধন করতে পারে।’
‘হতাশা-জর্জর দুঃখ-দারিদ্রক্লিষ্ট গ্রামসমাজের চেহারা পাল্টাতে হলে সর্বপ্রথম গ্রামসমাজের মানুষদের মধ্যেই এ চেতনা আসা প্রয়োজন। আমরা চেষ্টা করলে আমাদের অবস্থার পরিবর্তন সাধন করতে পারি। আমাদের নিজেদেরকে আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে হবে। এ অনুভব গ্রামের মানষের মনে যদি ফুলের মতো ফুটে না উঠে বাইরের কোনো চেষ্টায় তার বাস্তব অবস্থার উন্নতি করার কাজে কোনো সাহায্য করবে না।’
আমরা বরাবরই দেখে আসছি এবং এখনও দেখছি আমাদের সমাজে বিভিন্ন দ্বিধাবিভক্তিসহ নানান অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তার প্রধান কারণ আমাদের বর্তমান সমাজ-ব্যবস্থা আদৌ জ্ঞানভিত্তিক নয়। এখানে ব্যক্তিগত দলাদলি-রেষারেষি সবসময়েই লেগে থাকে। যার ফলে অগ্রসর চিন্তা-চেতনায় আমরা এখনও পিছিয়ে পড়ে আছি। এজন্য আমাদের একটি জ্ঞানভিত্তিক অহিংস সমাজ গঠনের কথা ভাবতে হবে। আর আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্যও তা আমরা অপরিহার্য বলে মনে করি। আমাদের গণ্যমান্যরা এ কাজটিই এখন করে দিতে পারেন। জ্ঞানের চর্চা (বই পড়ার মাধ্যমে সম্ভব) যত বেশি হবে ততই ফায়দা।
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




