জা হি দ হা য় দা র
সুদানের চিঠি যত গরু তত নারী
কে বেশি উপকারী, গরু না নারী? এ প্রশ্নে এ অঞ্চলের পুরুষরা বলবে, গরু। এই চতুষ্পদ প্রাণীটি মূল্যবান; কিন্তু নারীর জীবনের থেকে বেশি মূল্যবান তা আমার আগে জানা ছিল না। যদিও কোনো কৃষিকাজে এরা, মানে সুদানের মানুষ গরুকে ব্যবহার করে না, তারপরও গরুই ব্যক্তি-মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক মানমর্যাদা এবং শক্তির জীবন্ত চিহ্ন। যার গরু নেই, সে জন দীন। যার গরু নেই তার বিয়েও নেই।
মাঠে মাঠে বড় বড় অনেক গরু চরছে, রাখালদের কাঁধে পুরনো বন্দুক, হাতে কোনো পাচন নেই। বড় রাস্তাজুড়ে এক আলস্য ভঙ্গিতে যখন গরুর পাল হেঁটে যায়, রাস্তার বাহনগুলো ধীরে গরুদের অনুসরণ করে, কোনো বাহনের চালক তাদের ওভারটেক করে না। সামনে বা পেছন থেকে শিংগুলো দেখলে মনে হয় তিন দিনের নতুন বাঁকা চাঁদ, অনেক চাঁদ, দুলে দুলে যাচ্ছে।
কেন বন্দুক? আমার প্রশ্নের জবাবে জানতে পারি, হিংস্র বন্যপ্রাণীর থাবা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। আরও ব্যাপার আছে, বড় বড় ঘাসের মধ্যে গরুচোররা নাকি শুয়ে থাকে, সুযোগ বুঝে পাল থেকে একটি-দুটি গরু নিয়ে যায়।
পুরনো বন্দুক দেখে আমার মনে পড়ে সেই ১৮৮৭-তে, ইউরোপে অনেক আগে বাতিল হয়ে যাওয়া টানা-বন্দুক কবি জঁ্য আর্তুর র্যাঁবো কম দামে কিনে আফ্রিকার চোয়ার রাজা মেনেলিকের কাছে বেশি দামে বেচতেন। সেই ব্যবসা সাম্রাজ্যবাদীরা এখনও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কৌশলে দেশগুলোর ধুরন্ধর রাজনীতিবিদ আর লোভী আমলাদের সহযোগিতায় চালিয়ে যাচ্ছে। সুদানেও তার ব্যতিক্রম নেই।
সুদানের গৃহযুদ্ধের (প্রায় ২২ বছর আগে শুরু হওয়া, এখন চলছে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন হলো ১১ এপ্রিল, ২০১০) আগে চিতাবাঘ, সিংহ, শেয়াল গরুকে টান দিয়ে নিয়ে যেত। মনে হয় সে জন্যই গরুর পালকে পাহারা দেওয়া হয় বন্দুক দিয়ে। গৃহযুদ্ধের কারণে বন্য পশুরা দেশ ছেড়ে চলে গেছে কেনিয়া ও উগান্ডায়। পলায়নরত মানুষের সঙ্গে পশুরাও কেন পালাল? আমার কৌতূহলের উত্তর হলো : আমরা পালাচ্ছি, পেছনে গুলি চলছে, আমরা সামনে দেখছি বাঘ বা সিংহ, আমরা বাঘ-সিংহকে গুলি করছি, বাঁচতে হবে তো; পশুরা কী করবে? ওরাও পালাচ্ছে, চলে গেছে পাশের দেশে। এখন নাকি বন্য পশুরা সুদানে ফিরে আসছে। পশুরাও নির্বাসনকে ভয় পায়। ফিরেও আসছে, এ কথা ঠিক। ক'দিন আগে মধ্যরাতে উঁচু টঙের ওপর বসা আমাদের উনমিস (ইউনাইটেড নেশনস মিশন ইন সুদান) কম্পাউন্ডের টহলদার সীমানা ঘেরা বার্বওয়ারের পাশে একটি চিতাবাঘ দেখেছে। এ খবর জানার পর কম্পাউন্ডের অনেক মানুষ রাতের টয়লেট ছোট কোকাকোলার বোতলে সারছে।
২.
একজন স্নাতক পাস তরুণ, নাম লিভিংটন, কাজ করে আমাদের সঙ্গে। তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তোমাদের এখানে নারীর কোনো মর্যাদা নেই কেন? আমার জিজ্ঞাসার জবাবে সে বলে, 'আই লাভ মাই ওম্যান।' আমি বলি, 'আমি তোমার কথা বলছি না।' লিভিংটন আমার কথা শুনে বলে, 'আমি প্রথমেই বুঝতে পেরেছি, তুমি কী মিন করতে চাইছ, কিন্তু কিছু করার নেই, এটি আমাদের কালচার, আমি একা তো নারী অধিকার নিয়ে কিছু করতে পারি না, কিছু করতে গেলে সমাজপতিরা আমাকে গুলি করবে।'
৩.
আরেক তরুণ, নাম ডেভিড, বাড়ি থেকে ভয়ে পালিয়েছে। ডেভিড ইউএনের পুলিশদের দোভাষী। তার অপরাধ, আপন চাচার মৃত্যুর পর চাচিকে বিয়ে করতে না চাওয়া। সমাজপতিরা ও বাবা, ভাই, অন্য চাচারা তার ওপর অত্যাচার করেছে চাচিকে বিয়ে করার জন্য। বলেছে, বিয়ে না করলে মেরে ফেলবে। চাচিও নাকি তাকে বিয়ে করতে চায়। এক সকালে এক কাপড়ে ডেভিড বাড়ি থেকে পালিয়েছে। কিছু লেখাপড়া জানে এবং মনে করে এই রকম বিবাহ অসভ্যতা; এর পরিবর্তন হওয়া দরকার। কে শোনে কার কথা? এখন সে হয়েছে সমাজছাড়া। কবে তার বুক চিরে গুলি চলে যায় সে ভয়েই শুকিয়ে যাচ্ছে।
৪.
পিটার চার নম্বর বিয়ে করে খুব খুশি। মেয়েটি কেনিয়া থেকে কাজ করতে এসেছিল দক্ষিণ সুদানের ছোট্ট শহর বোরে। নাম মার্থা। কাজ করে ডাটা সেন্টারে। দু'দিন আগে শেষ হয়েছে ভোটার রেজিস্ট্রেশন। আসন্ন ভোটের জন্য (সুদানে ভোট হয়েছিল এ বছরের ১১ এপ্রিল) ভোটারদের নাম এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রসেস করা হচ্ছে কম্পিউটারে। অনেক উচ্ছল তরুণ-তরুণী কাজ করছে সেই ডাটা সেন্টারে। সবাই ইংরেজিতে কথা বলতে ও লিখতে পারে। ষাট-সত্তর বছর আগে এ অঞ্চলের প্রায় সবাই আরবি বলতে পারত। এখন আরবিতে চলছে না। দক্ষিণ সুদানে জনসংখ্যার নব্বই ভাগ খ্রিস্টান। পশ্চিমের রাজনীতি অনেক কৌশলে বদলে দিয়েছে তাদের ভাষা। তবে মাঝেমধ্যে বিশেষ করে আমরা যখন থাকি, নিজেদের শলাপরামর্শের কথা ওরা বলে নিজেদের আঞ্চলিক ভাষায়। আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহারও কমে আসছে ক্রমেই।
পিটার এই ডাটা সেন্টারের তদারকি করে। উচ্চতা ছয় ফুটের বেশি। ঋজু শরীর। ছিপের মতো পাতলা। কণ্ঠস্বর তেজি। স্পষ্ট উচ্চারণে কথা বলে। তার গর্ব, মেয়েরাই নাকি তার প্রেমে পড়ে। আমি তাকে বলি, তুমি নাকি আরও একটি বিয়ে করেছ? সহজ-সাবলীল উত্তর, 'হ্যাঁ, চলো বউ দেখবে।'
মার্থা কম্পিউটারের কিবোর্ডে মাথা রেখে ক্লান্তি জুড়াচ্ছিল। পিটার ওকে ডাকতেই মেয়েটি চমকে ওঠে। বড় বড় চোখে আমাদের দিকে তাকায়। পিটার আমার সঙ্গে মার্থার পরিচয় করিয়ে দেয়। আমি সৌজন্যবশত মার্থাকে শুভ সকাল বলে বাইরে আসি। পিটারও আসে আমার সঙ্গে। বলে, লাভ হ্যাজার্ড বেশি হচ্ছে, এজন্য ঝিমাচ্ছে।
'পিটার তোমার না তিনটে বউ আছে, আবার বিয়ে করলে কেন?'
'আমি তো মোট ১১টি বিয়ে করব, কেবল চার নম্বর করলাম।' পিটারের চোখের দিকে আমি সরাসরি তাকাই। কিছু বলার আগেই পিটার বলে, 'তোমার কয়টা বউ?' আমার একটা বউয়ের কথা শুনে পিটার হেসে দেয়। আমি ওকে বলি, 'হাসছ কেন'? পিটার আরও জোরে হাসে। বলে, 'তুমি খুব দুর্বল পুরুষ, এক মেয়েমানুষেই কাহিল হয়ে গেছ?'
'মার্থা কি জানত যে তোমার তিনটে বউ আছে?'
পিটার আবার হাসে, 'বলে আফ্রিকার মেয়েরা বিবাহিত, অভিজ্ঞ, (অভিজ্ঞ শব্দটি উচ্চারণ করে আবার হাসে) পুরুষদের বেশি পছন্দ করে।'
'তাই বলে, তিনবার বিয়ে করা পুরুষদের?'
পিটারদের সমাজে যার যত গরু তার তত নারী, সে পুরুষ সামাজিক ও পারিবারিকভাবে বেশি সম্মানিত। আবার অবিবাহিত নারীরাও বিয়ে করার সময় নাকি জানতে চায়, ওর কয় বউ আছে, ওর বাহুতে কয়টি রেখা আছে? এই রেখার গল্প হলো, তার হবু বর কতজন পুরুষকে মেরেছে অথবা বক্সিং খেলে হারিয়ে দিয়েছে। প্রতি হত্যায় বাহুর পেশিতে একটি করে রেখা। তবে এই হত্যা বেশিরভাগ সময় অন্য ট্রাইবের মানুষকে হত্যা। ওই রেখা পৌরুষের চিহ্ন।
আমি পিটারকে বলি, 'তোমার বাহুতে কয়টি রেখা আছে?' পিটারের বাহুর পেশিতে কোনো রেখা নেই। ওর অনেক গরু আছে, পকেটে টাকা আছে, তার বাবা কমিউনিটির প্রধান। তার বাবার ছিল ৯ বউ। বাবার বাহুতে ছিল ৪টি রেখা। সে নাকি অন্য ট্রাইবের চারজনকে হত্যা করেছিল।
কনের বাবাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে কনের বাবা হবু বরের কাছে হয়তো বলবে, ১০০টি গরু দিতে হবে বা ১৫০টি গরু দিতে হবে। গরু কম-বেশি চাওয়া নির্ভর করে কনের বয়স ও সৌন্দর্যের ওপর। নতুন নারীর জন্য অত গরু চাইলেই তো আর পাওয়া যাবে না। দরকষাকষি চলে। হয়তো অবশেষে মেয়ের বাবা নেমে আসে ৫০, ৬০ বা ৭০-এ এবং মেয়েকে পণ্যের মতো তুলে দেয় নতুন বরের হাতে।
পিটার মার্থার বাবাকে গরু দেয়নি। বলেছে পরে অন্য যৌতুক দেবে। কারণ হলো, মার্থা এসেছে কেনিয়া থেকে। তার চাকরি থাকা না থাকা অনেকটা নির্ভর করে পিটারের মর্জির ওপর। সে ডাটা সেন্টারের ইনচার্জ।
এগারো বউয়ের কাছ থেকে পিটার তিরিশ সন্তানের বাবা হতে চায়। তার ট্রাইবের নাম ডিঙ্কা। সুদানের সবচেয়ে প্রভাবশালী ট্রাইব। এদের চলাফেরায় শাসক শাসক ভাব। অন্য ট্রাইবের মানুষ ওদের সমীহ, যা ভীতি থেকে উৎসারিত, করে চলে।
পিটারকে বলি, তোমাদের সমাজের মেয়েরা তো দাসী। সে হাসে। আমি বলি, 'আমার কথায় হাসির কী আছে? দেখছি তো, খড়ের বড় বড় বোঝা মাথায় নিয়ে মেয়েরা যাচ্ছে বাজারে, পিঠে বাঁধা আছে শিশু, পিঠের ঝোলা থেকে মাথাটা বের হয়ে দুলছে আর তার বাবা হয়তো কোনো জায়গায় বসে মদ্যপান করছে।' আমার দীর্ঘ বাক্য শুনে পিটার বলে, 'তুমি আমাদের দেশ ও কালচারকে বুঝবে না। মেয়েরা দাসী ছাড়া আর কী হতে পারে? মেয়েদের কাজ হলো শয্যাসঙ্গী হওয়া, সন্তান উৎপাদন করা, সংসারের সব কাজ করা।' পিটারের কথা শুনে আমি বলি, 'আর মাঝেমধ্যে তোমাদের হাতে বেদম মার খাওয়া।' 'অবশ্যই', পিটার বেশ গর্বের সঙ্গে তার মতামত জানায়।
বিয়ে করা বউ যদি অন্যের সঙ্গে মিলনের সময় ধরা পড়ে, বিচারে তার সামাজিক শাস্তি হয় ৬ গরু। অর্থাৎ প্রেমিক-পুরুষ ছয়টি গরু মহিলার স্বামীকে দিলেই অপরাধ মাফ।
আবার কোনো কারণে যদি বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাহলে মেয়েটি বাবার ঘরে যাওয়ার সময় তার সন্তানদের (যদি সন্তান থাকে) রেখে যাবে তাদের বাবার কাছে। ধরা যাক, মেয়েটি ৫টি সন্তানের মা হয়েছিল এবং বিয়ের সময় তার বাবাকে দেওয়া হয়েছিল ৬০টি গরু। বিচ্ছেদের পর মেয়েটির বাবা ওই ৫টি সন্তানের জন্য ১০টি গরু নিজের কাছে রেখে বিবাহের সময় নেওয়া ৬০টি গরু থেকে ৫০টি গরু তার মেয়ের সদ্য-সাবেক হওয়া বরকে ফেরত দেবে। আমি এই হিসাব শুনে বলি, 'প্রতিটি সন্তান প্রসবের জন্য একটি মেয়ের মূল্য দুটি গরু।' আমার কথা শুনে পিটার বলে, 'ব্যবস্থাটি খুবই ভালো, কারণ হলো ওই গরুগুলো দিয়ে বিচ্ছেদ হওয়া মেয়েটি জীবন চালাতে পারবে।'
স্বামীর মৃত্যুর পর বিধবাদের অবস্থা যৎপরোনাস্তি খারাপ হয়। কিন্তু বিষয়টিকে বিধবা আদৌ খারাপ মনে করে না; খারাপ মনে করার জন্য যে বোধবুদ্ধি থাকতে হয় তা হয়তো আছে; কিন্তু নিরুপায়, অসহায়। মনে করা যাক, একজন পুরুষ সাত বউ রেখে মরে গেল, সাত বউয়ের পুত্ররা তাদের নিজ মা ছাড়া সৎ মায়েদের সঙ্গে পালাক্রমে শয্যায় যায় এবং স্বাভাবিকভাবেই প্রতি বছর উৎপাদিত হয় সন্তান, এ সন্তান হবে পুত্রদের বাবার নামে। ডিঙ্কা ট্রাইবের মধ্যে এই রীতিনীতির চল। অন্য ট্রাইবের মধ্যে এই চল নেই। আবার কোনো বিবাহিত ভাইয়ের মৃত্যু হলে অন্য ভাইরা তাদের ভাইয়ের বউয়ের সঙ্গে পালাক্রমে শোয় এবং সন্তান উৎপাদন করে; এই সন্তান হয় মৃত ভাইয়ের নামে। এ ব্যবস্থাটি ডিঙ্কা সম্প্রদায়সহ অন্যান্য সম্প্রদায়ও পালন করে।
আমি এই রকম ব্যবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। যা বুঝলাম তা হলো, সম্প্রদায়ের শক্তি ও ভূমি দখল ঠিক রাখতে হলে এ-ই করতে হয়।
পিটারকে বললাম, শুনেছি তোমরা খুব বউ পেটাও। উত্তর শুনে আমি হতবাক। 'গরু আর মেয়েলোককে না মারলে সোজা পথে হাঁটে না।' 'অনেক মারার পর বউ যদি মরে যায়, তাহলে?' 'তা হলে আর কী, আমার বউকে আমি মেরে ফেলেছি সরকার কী করবে? সরকার তো আর বিয়ে করার সময় আমাকে গরু দেয়নি'_ অসাধারণ যুক্তি।
৫.
জন গালুয়াকের জন্ম গোয়ালঘরে। গালুয়াক ডিঙ্কাদের শব্দ, অর্থ গোয়ালঘর। আমি জনকে বলি, আমরা যে ঘরে গরু রাখি, তার নাম গোয়াল, তোমাদের শব্দটি গালুয়াক, ধ্বনিগত দিক থেকে কত মিল। জন হাসে। বলে, তোমার জন্ম কোথায়? 'আঁতুড়ঘর'। শুনে বলে, 'আমাদের মায়েরাও সন্তান জন্ম দেয় আঁতুড়ঘরে। আমার মা গালুয়াকে সন্ধ্যায় গরু গুনতে গিয়েছিল, ওখানেই মার ব্যথা ওঠে, আমি পেট থেকে বের হয়ে আসি। মা আমাকে এক হাতে ধরে ন্যাংটো হয়ে গালুয়াক থেকে বের হয়ে আসে।' আমার চোখ দেখে জন বোঝে, ওর গল্পটি আমি বিশ্বাস করিনি। পাশের একজনকে দেখিয়ে বলে, ওকে জিজ্ঞাসা করে দেখ।
নাটকের বা সিনেমার কোনো পরিচালক যদি শেক্সপিয়রের 'ওথেলো' করেন আর যদি তাদের সঙ্গে জন গালুয়াকের দেখা হয়, আমার মনে হয়, তারা 'ওথেলো'র ভূমিকায় জনকে অভিনয় করাবেন।
সকালে গালুয়াক থেকে গরু নিয়ে জিন্সের প্যান্ট পরা রাখাল, হাতে বন্দুক, যায় মাঠে গরু চরাতে; সারাদিন পর ফিরে আসে, গুনে গুনে গরু ঢোকায় গালুয়াকে। গালুয়াকের স্থাপত্য দেখার মতো। একটি লাটিমকে মাঝখান থেকে কেটে লাটিমের পিনের দিকটা আকাশের দিকে রাখলে যেমন দেখাবে, গালুয়াক দেখতে ওই রকম, তবে কয়েক হাজার গুণ বড় মনে করে ভাবতে হবে। যাদের জন্ম গালুয়াকে হয়, তারা নাকি হয় খুব ভাগ্যবান, তাদের নাকি অনেক গরু হয়। আর অনেক গরু হওয়া মানে অনেক নারী বা বউ।
জন গালুয়াক গরিব, ওর বউ একটা
সূত্র: কালের খেয়া, দৈনিক সমকাল, ২৫/০৫/২০১০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




