১. দৈনিক প্রথম আলো-তে শিল্পসাহিত্যের ৪টি পৃষ্ঠা লুকিয়ে থাকে চাকরি-বাকরির চারটি পৃষ্ঠার মধ্যে। অর্থাৎ, খুব সাবলিলভাবে বুঝিয়ে দেয়, সাহিত্য-টাহিত্য নিয়ে লাফালাফির আগে একটা চাকরি-বাকরি করো। নাইলে কেউ তুমারে গুনবে না। অবশ্য আজকের চাকরি-বাকরি পেজের শুরুতে হাওয়ার্ড গুলজ-এর একটি উক্তি জুড়ে দিয়েছেন, যেটা আমার ভালো লেগেছে। অন্যগুলোও অবশ্য ভালোই লাগে। যাই হোক, গুলজ বলেছেন- “কর্মী নিয়োগ আসলে একটি শিল্প। এখানে ভুল করা চলে না।” আমি যেটা বুঝলাম, লেখালেখি সাহিত্যের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্য হলো চাকরি-বাকরি পাওয়া ও দেওয়া। আসুন, আমরা এ সাহিত্য চর্চা করি, বেঁচে থাকার জন্য।
২. প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের লোগোতে লেখা আছে- সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা। কথাটা খুবই ইতিবাচক। আগে ছিল সবার জন্য শিক্ষা, এখন মানসম্মত শব্দটি যোগ করে শিক্ষাকে বিশেষায়িত করা হয়েছে। কিন্তু নতুন প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। সেটা হলো- শিক্ষা কি তাহলে সবসময় মানসম্মত না? শিক্ষার মানকে বোঝানোর জন্য বিশেষভাবে মানসম্মত শব্দটি যোগ করতে হবে কেন? আমার একটা গল্প মনে পড়ল। বিদেশে, অর্থাৎ কোন এক দেশে, এক বাংলাদেশী দুধ বিক্রি করতেন। অন্য দোকানে যেমন বিক্রি হতো, কম-বেশি তার দোকানেও তেমন হতো। একদিন নতুন সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিলেন- এখানে খাঁটি দুধ পাওয়া যায়। তার দোকানে বিক্রি বেড়ে গেল। কিন্তু প্রশ্ন হলো- অন্যের দোকানের দুধ কি খাঁটি না? কিংবা তিনি কি আগে খাঁটি দুধ বেঁচতেন না?
বিঃদ্রঃ দুটি মন্তব্যই একান্ত ব্যক্তিগত। কাউকে হেয় করার জন্য লেখা হয়নি, কিংবা কাউকে বড় প্রমাণ করার জন্যেও না। আপনার ভিন্ন মত থাকতে পারে, থাকবেই। সেটার প্রতি আমার নিরন্তর শ্রদ্ধা…
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:৪৩