ধর্ষনের পরিসংখ্যান নিয়ে কিছু কথা ।
এই পরিসংখ্যান নিয়ে , একটা বহুল প্রচার এবং এটার উপর ভিত্তি করে কিছু দবি মাঝে মাঝে করা হয় , সেটা কতখানি অসংগত সেটা নিয়ে কিছু কথা না বল্লেই নহে ।
প্রথমে ধর্ষনের সংগাটা নিয়ে আলোচনা করতে হবে , বিভিন্ন দেশে ধর্ষনের সংগা বিভিন্ন রকম যেমন পশ্চিমা দেশে স্বামী কর্তৃক বল পুর্বক স্ত্রীর সাথে যৌন মিলনকে ধর্ষন হিসাবে গোন্য করা হয় কিন্তু এটাকে বাকি দেশ গুলোতে ধর্ষন মনে করা হয় না । পশ্চিমা দেশের ধর্ষনের বড় অংশ বৈবাহিক ধর্ষনের অন্তর্ভুক্ত ।
এবার দেখি আমাদের দেশে কত শতাংশ ধর্ষন রিপোটেড হয় ? সত্য কথা বলতে কি খুবই নিম্ন পর্যায় । এখন দেখি যে সমস্ত ধর্ষনের খবর ভাইরাল হয়েছে সেগুলো কি তাৎখনিক ভাবে ভিকটিমরা রিপোর্ট করেছিল কিনা ?
উত্তর না যেমন সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনা যেখানে একদল যুবক একজন মহিলাকে উলংগ করে হেনস্থ করার ঘটনা , ভিকটিম পরিবার কোন রিপোর্ট করে নি কিন্তু ধর্ষকের দল যখন দাবিকৃত অর্থ না পেয়ে ভিডিওটি ভাইরাল করে দেয় তখন প্রশাসনের টনক নড়ে এবং অপরাধিদের গ্রেফতার করে । মনে করুন যদি ভিকটিম পরিবার ধর্ষকদেরকে দাবিকৃত অর্থ দিয়ে দিত তাহোলে তারা ভিডিওটি প্রকাশ করতো না এবং এই ধর্ষনের ঘটনা কোন দিন রিপোর্টেড হোত না ।
সিলেটে স্বামীকে বেধে রেখে সোনার ছেলেদের ধর্ষনের ঘটনা কোন দিন রিপোটেড হোত না যদি না সেখানে আরেক জন ছাত্রলীগের নেতা পদক্ষেপ না নিত ।
এবার দেখি বাংলাদেশের বহুল আলোচিত ধর্ষনের দুটো ঘটনা ।
১) জাহাঙ্গির নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লীগ নেতার ১০০টা ধর্ষনের ঘটনা..
কেউ কি বোলতে পারবেন ১০০টা ধর্ষনের রিপোর্ট হয়েছিল কিনা ? একটা ও রিপোর্টেড হয় নি । ঘটনাটা প্রকাশ পায় যখন ঐ নেতার ভক্তরা এই ঘটনার পর মিষ্টি বিতরনের উৎসব করছিল তখন । কোন ধর্ষনের রিপোর্ট হয় নি ।
২) শিবির ক্যাডার পান্না মাষ্টারের ১৫০টা ছাত্রী ধর্ষনের ঘটনা ------
একাটর ও কোন রিপোর্ট হয় নি , যখন ভিডিও গুলো প্রকাশ হয়ে যায় তখন ব্যপারটা সকলে নজরে আসে , উল্লেখ্য শিবির ক্যাডারের এই ঘটনা যখন ঘটেছে তখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়
এই ভাবে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের মত দেশ গুলোর ধর্ষনের ঘটনা রিপোর্টেড হয় না এবং যেগুলো রিপোটেড হয় সেগুলো অন্য কোন সূত্র প্রকাশ পেয়ে গেলে ,তখন নজরে আসে। একই ভাবে সৌদী আরব, ইরাণ,পাকিস্থান সহ কতগুলো দেশে চারজন সাক্ষীর অভাবে রিপোটেড হয় না এবং ভিকটিমের শাস্তি পাওয়া সম্ভবনা থাকে ।
সেই কারনে পশ্চিমা বিশ্বের ধর্ষনের পরিসংখ্যানের সাথে বাকি দেশ গুলোর পরিসংখ্যান এক পাল্লায় মাপা যায় না ।
ইউরোপের কিছু দেশে ধর্ষনের হার খুবই কম ।
আমেরিকা সহ পশ্চিমাদেশ গুলোতে যে সমস্ত ধর্ষনের ঘটান ঘটে, সেই সব ধর্ষনকারিদের ধর্ম , জাতিয়তা এবং সামাজিক অবস্থান ইত্যাদি দেখলে অবাক হয়ে যাবেন । ধর্ষকদের বেশির ভাগ হয় পাকিস্থানি অথবা মিডল ঈস্টের দেশ গুলো থেকে আসা মাইগ্রেন্ড । প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্য এই প্রবণতা খুবই কম ।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৩৪