somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নারীর পোষাক ধর্ষণের জন্য মূলত দায়ি, এই দাবি কতখানি গ্রহন যোগ্য

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৬:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


নারীদের পোষাক ধর্ষণের জন্য মূলত দায়ি, এই দাবিটি কতখানি গ্রহন যোগ্য,  তবে নারীর পোষাক ধর্ষণের অনেক গুলো কারনের একটা কারন তাতে কোন সন্দেহ নেই। 

নারীর পোষাক মূলত দায়ি এই দাবির পক্ষে যারা আছেন, তাদের একমাত্র অবলম্বন কিছু পশ্চিমা দেশের ধর্ষণের পরিসংখ্যান। তাদের এই রেফারেন্স মোটেও ধোপে টিকে না এবংং সম্পূর্ন অবাস্তব তুলনা। 

অনেক পশ্চিমা দেশে ধর্ষণের মাত্রা যে খুব কম সেটা তাদের চোখে আসেনা বা ইচ্ছা করে আড়াল করে। পশ্চিমা দেশ গুলোতে স্বামী কর্ত্বক স্ত্রীকে  বলপূর্বক যৌন সম্পর্ক করাকে ধর্ষণ হিসাবে গৌণ্য করা হয়, সেটা কখনো বিবেচনা করা হয় না এবং ওই সব দেশে বেশির ভাগ নারী যৌন নির্যাতনের সন্মুখিন হলে,  সেটা রিপোর্ট করে। 

এবার দেখা যাক বাংলাদেশ,  পাকিস্তান সহ মধ্য প্রাচ্যের দেশ গুলোতে যৌন নির্যাতিতা নারীরা কোন রিপোর্ট করে কিনা।  

প্রথমে বাংলাদেশ থেকে শুরু করি,  জাহাংগির নগর বিশববিদ্যালের ছাত্রলীগের নেতা মানিক ১০০ ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছিল,  ওই ১০০  জন শিক্ষিত নারী কি কোন রিপোর্ট করেছিল?  না তারা রিপোর্ট করেনি।  তাহোল এ অপকর্ম কি ভাবে ফাস হোল? মানিকের ১০০তম ধর্ষণ উৎসব করার সময় ঘটনাটা ফাস হয়ে যায়, তানা হোল ১০০ মেয়ে ধর্ষনের ঘটনা কোন দিন জানা যেত না এবং ওই নির্যাতিতা ছাত্রীরা নালিশ করে নি। 

এবার আসি ২০০৯/১০ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় তখন শিবির ক্যাডার পান্না মাস্টারের ১৫০ ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ পায় অন্যভাবে,  তার বিরুদ্ধে ১৫০ ছাত্রীর কেহই নালিশ দাখিল করে নি। 

এখন দেখতে পাচ্ছেন শিক্ষিত মেয়েরাই রিপোর্ট করছে না,  তাহোলে অশিক্ষিত মেয়েদের কি অবস্থা। এই ভাবে গ্রামে গজ্ঞের হাজার হাজার ধর্ষণের ঘটনা রিপোর্টেড হয় না।  

পশ্চিমা দেশে ওই সব কয়টা কেস ই রিপোর্টেড হোত। 

এবার দেখুন নোয়াখালীর সেই ঘটনা যেখানে একদল বখাটে একজন মহিলাকে নগ্ন করে শালিনতা হানি করে,  ওই মহিলা ও কোন রিপোর্ট করেনি,  পরে বখাটের দল ভিডিও ছড়িয়ে দিলে তারা গ্রেফতার হয়, 

এবার দেখা যাক সিলেটে ঘটে যাওয়া স্বামীকে বেধে রেখে ৭ জন ছাত্রলীগ ক্যাডারের ধর্ষণের ঘটনা,  এই ঘটনা ধামা চাপা পরে যেত যদি না ছাত্র লীগের আরেক জন  নেতা কড়া পদক্ষেপ না নিত।  

তাহোলে বোঝা যাচ্ছে যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সৌদি আরব সহ মধ্য প্রাচ্চের দেশগুলোতে ধর্ষণের কোন রিপোর্ট  হয় না এবং চার জন মুসলমান পুরুষের চক্ষুস সাক্ষী আবশ্যকীয় হওয়া কারনে, আরো রিপোর্ট হয় না এবং চার সাক্ষী আনতে না পাড়লে নির্যাতিতা নারীকে শাস্তি পেতে হয়।              

এবার আমরা দেখি চার জন সাক্ষীর আবশ্যকতা দিয়ে যদি বিচার করা হয়,  তাহোলে সিলেটের ঘটনাটার ৭ ধর্ষকের সাজা হয় কিনা?  

এই ক্ষেত্রে ওই ধর্ষণের সাক্ষী মাত্র একজন,  ওই মহিলার স্বামী বাকি সাত জন ধর্ষক নিজেদের নির্দোষ দাবি করবে আদালত,  তাহোলে চার সাক্ষীর অভাবে সাত জন ধর্ষক রক্ষা পাবে এবং ওই নির্যাতিতা মহিলা শাস্তি পাবে যদি বিচারটা পাকিস্তান বা সৌদি আরবের মত দেশ গুলোতে হয়। উল্লেখ্য ডিএনএ টেস্ট,  ভিডিও কোন কাজে আসবে না ঐ আদালত। একমাত্র গ্রহন যোগ্য আলামত চার জন মুসলমান ন্যায় পরায়ন পুরুষের চক্ষুস সাক্ষ্য। 

    

তাহোলে বাংলাদেশের ঘটনা থেকেই বুঝতে পারছেন পাকিস্থান সহ মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোতে ধর্ষণের কোন রিপোর্ট হয় না।  তাই পশ্চিমা দেশ গুলোর রিপোর্টেড পরিসংখ্যানকে ভিত্তি করে নারীর পোষাক ধর্ষণের মূল কারন দাবি করা অবাস্তবিক দাবি। 

তাহোলে দেখা যাচ্ছে, নারীর পোষাকের কারনে ধর্ষন হয় এবং এর পক্ষে যারা ধর্ষনের পরিসংখ্যানটা রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার করেন,  তাদের এই দাবি মোটেও ধোপে টিকে না। তাদের উচিৎ আরো তত্ত্য সম্পন্ন প্রমাণ পেশ করার। 

পরিশেষে একটা কথা বোলতে যে সমস্ত পশ্চিমা দেশে বহু সংখক ইমিগ্রান্ট বাস করে ওই সমস্ত দেশের ধর্ষণের হার বেশি, তারা যদি ওই সমস্ত মাইগ্রেন্ডদের বের করে দেয়, তখন দেখা যাবে ধর্ষণের মাত্রা অনেক কমে গেছে।          







সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:৩৬
১২টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×