somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অবরুদ্ধ আকাশ ।। পর্ব ১

২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ২:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



অবসর মানে অলস এক জীবন । যে জীবনে গাড়ির মত গতি নেই, নদীর মত স্রোত নেই । বসে বসে খবরের কাগজ পড়া ছাড়া অন্যকোন কাজও নেই। সদ্য অবসরপ্রাপ্ত ইয়াহিয়া সাহেবের এই উপলব্ধি অমূলক নয়। কর্মজীবনে অসৎ ছিলেন, এরকম কথা তার শত্রুরাও বলবে না। বিদায়কালে তার কলিগরা একখানা মানপত্র দিয়েছিলেন। দীর্ঘ ষাট বছর পিছনে তাকিয়ে দেখলেন, প্রাপ্তির ঘরে ওটাই একমাত্র অর্জন । কিন্তু মানপত্রের প্রতি ইয়াহিয়ার বিশেষ আগ্রহ নেই। তিনি দেখেছেন দুর্নীতিবাজ কর্মচারীরাও বিদায়কালে এইরকম একটি মানপত্র ঘরে নিয়ে যান।

মানপত্রের প্রতি ইয়াহিয়ার আগ্রহ না থাকলেও বিলকিসের আগ্রহ প্রবল। তার উৎসাহে ইয়াহিয়াকে, ড্রয়িংরুমের দেয়ালে একটি পেরেগে মানপত্রটি ঝুলিয়ে রাখতে হয়েছে। আত্মীয়-স্বজন বেড়াতে এলে অনেকে খুব কাছ থেকে খুটিয়ে খুটিয়ে এটি পাঠ করে। তখন বিলকিসকে খুব সুখি সুখি মনে হয়।

ইয়াহিয়া বারান্দায় বসে খবরের কাগজ পড়তে পড়তে হঠাৎ মানপত্র নিয়ে ভাবছিলেন। মানপত্র নিয়ে চিন্তা করলে কলিগদের কথাও মনে আসে। ভাবেন মাঝে মাঝে অফিসে গিয়ে এককাপ চা খেয়ে আসবেন। কিন্তু তার সংকোচ সংকোচ লাগে। অফিসের গোলাম রসূল সাহেব ঠোঁটকাটা লোক; আবার রসিকও। কেউ কিছু না বললেও, গোলাম রসূল সাহেব বলবেন, এই যে ইয়াহিয়া সাহেব অবসরপ্রাপ্ত, কেমন আছেন। যাক, এখন অফিসে গিয়ে আড্ডা দেয়ার কোন মানে হয় না। ইয়াহিয়া চিন্তাটা বাতিল করে দেন।

খবরের কাগজে মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা একটি নিবন্ধে ইয়াহিয়ার চোখ আটকে গেল। সেটা পাঠ করতে করতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভেসে উঠল তার মনে।
তখন সবেমাত্র শুরু হয়েছে যুদ্ধ। তিনি কলেজে পড়তেন। তার বাবা পুরো পরিবারকে পাঠিয়ে দিলেন গ্রামের বাড়ি সুজানগর। গ্রামে এসে দেখলেন, গ্রামের ছেলেরা মুক্তিবাহিনী গড়ে তুলেছে। যুবক ছেলেরা কেউ আর ঘরে থাকে না। গভীর জঙ্গলে ক্যাম্প বানিয়েছে। তিনি একদিন খুঁজে খুঁজে ক্যাম্পে গিয়ে দেখা করলেন।
বললেন, আমি মুক্তিবাহিনীতে নাম লেখাতে চাই।

ক্যাম্পে পাঁচ ছয়জন ছেলে ছিল। গায়ের রঙ কালো, বয়সে তরুণ ছেলেটা বলে উঠল, তোমার নাম তো ইয়াহিয়া খান। আমরা তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি। আগে নাম পাল্টিয়ে আস।

এমন রসিকতায় ইয়াহিয়ার মেজাজ চড়ে গিয়েছিল। অন্য সময় হলে তিনি ছেলেটার গালে একটা চড় বসিয়ে দিতেন। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাকে তিনি সম্মান করেন। তাই নিজেকে সংযত করে তিনি ক্যাম্প থেকে ফিরে আসেন। তার আর যুদ্ধে অংশ নেয়া হয়ে ওঠে নি। নাম নিয়ে সে দিনের মত বিড়ম্বনায় তিনি আর কখনও পড়েন নি।

তোমার চা ।
বিলকিস টি-টেবিলের উপর চায়ের কাপ রেখে মোড়া টেনে বসে পড়লেন। ইয়াহিয়া চায়ে চুমুক দিয়ে বিলকিসের দিকে তাকালেন। বললেন,পত্রিকার সাথে এককাপ চা না হলে কিন্তু জমে না। ইয়াহিয়া আবার চায়ের কাপে ঠোঁট ছোঁয়ালেন।
সারাদিন পত্রিকার আড়ালে মুখটা লুকিয়ে রাখ। তোমার চেহারার দিকে তাকাব সেই সুযোগটাও রাখ না। তুমি কী পত্রিকা মুখস্ত কর নাকি? বিলকিস নিঃশব্দে হাসেন।
অবসরপ্রাপ্ত কেরানির চেহারা দেখতে তোমার আর ভাল লাগবে না। তাই পত্রিকা দিয়ে আড়াল করে রাখি।
কথা বললেও ইয়াহিয়ার চোখ পত্রিকার পাতাতে লেগে আছে। বিলকিস নড়েচড়ে বসেন। হাতের আঙুল মটকান।
ত্রিশ বছর ধরে তোমাকে দেখছি, ক্লান্তি লাগে নি। হয়ত আর ক্লান্তি লাগবে না। তুমি নিশ্চিন্ত থাকতে পার। আমি তোমাকে সেটা কবিতার ভাসায়ও বলতে পারি। ইস্কুলে পড়াকালীন দুই একটা ছড়াও লিখেছিলাম। এখনও সেসব মনে পড়ে। এখন তোমাকে নিয়েও একটা বানিয়ে ফেলতে পারি।

তা বানাও দেখি...

‘এইখানে মোর স্বামী থাকে, এইখানে ছায়া,
ত্রিশ বছর দেখেছি তাকে, দুই নয়নে মায়া।'

ইয়াহিয়া হাসলেন। বেশ বেশ, খুব ভাল হয়েছে। তবে কবিতা না লিখে আরও ভালো করেছে।
কী রকম ?
সবাই তোমাকে মহিলা পল্লীকবি ডাকত।
ডাকলে ডাকত। জসিম উদ্দীন আমার প্রিয় কবি। তাঁর কবিতা আমার ভাল লাগে।
কিন্তু আমার তো তোমার হাতের বানানো চা ভাল লাগে। ইয়াহিয়া জোরে চুমুক দিলেন কাপে। তোমার চায়ের হাত খুব ভাল। খেতে স্বাদ লাগে। অফিসের চা একদম বাজে হত। জোর করে খেতাম আর কি। তুমি যে ভাল চা বানাতে পার, এই প্রশংসা আমি কলিগদের কাছে প্রায় করতাম।
ওমা ! আমি আর কিছু পারিনা। বুড়ো বয়সে চা টাই মনে ধরল ? বিলকিসের কন্ঠে কৃত্রিম অভিমান।
না, না। আমি তা বলছি না। তোমার সম্পূর্ণ প্রশংসা লিখে রাখতে গেলে একটা বিশ্বকোষ রচনা হয়ে যাবে। কলিগরা আমাকে কী বলত জান ?
কীভাবে জানব, তুমি কোনোদিন বলেছ ?
ইয়াহিয়া বলতে গিয়ে, আবার থেমে গেলেন। আমতা আমতা করতে করতে বললেন, না, থাক।

বিলকিসের দৃষ্টি তীক্ষ্ণ হলো। তার ভেতরে জেগে ওঠল কৌতূহল। মানুষ এরকমই। অন্যের গোপন কথা জানার জন্যে অস্থির হয়ে পড়ে। বিলকিসেরও তর সহ্য হলো না। স্বামীকে তাগাদা দিল। কী ব্যাপার, চুপ হয়ে গেলে যে। আমাকে বলা যাবে না, এরকম গোপন কথা তোমার আছে তাহলে ?

ইয়াহিয়া হাসলেন। গোপন কথা আবার কি, মানুষ কী সব কথা বলতে পারে ? কিছু কিছু কথা অব্যক্ত থেকে যায়। হয়ত একদিন সেই কথা মরেও যায়।
হইছে, আর দার্শনিকতা করিও না। আমি বুঝি না মনে কর। নিশ্চয় তারা আমাকে নিয়ে কিছু বলত, আর তুমি মুখ বুঝে হজম করতে। কি ভুল বললাম ?
না, খুব একটা ভুল না, আবার সঠিকও না। বিয়ের পরেই টের পেয়েছিলাম, তোমার ঘ্রাণশক্তি প্রখর, এখন বুঝতে পারছি, তোমার অনুমান শক্তিও খারাপ না।
কথা প্যাঁচাইও না। বলবে না, এই তো !
আ-হা, বলব না তা তো বলি নাই। শুন, তারা বলত আমি নাকি স্ত্রৈণ।
বিলকিস হাসতে হাসতে চোখ কপালে তুলল। তুমি কী বলতে ?
আমি আবার কি বলব। ওরা আড়ালে বলত, কিন্তু কথাটা আমার কানে চলে আসত, এই আর কি। আচ্ছা, তোমার কী মনে হয় আমি স্ত্রৈণ ? ইয়াহিয়া পত্রিকার পাতা উল্টালেন।

বিলকিস শব্দ করে হাসেন। দাঁত দিয়ে আঁচলের কোণা কামড়াতে থাকেন। তওবা নাউজুবিল্লাহ। তুমি কেন
স্ত্রৈণ হবে। দেখ না, আমি সবসময় কোমরে আঁচল প্যাঁচিয়ে রাখি, যাতে তুমি আঁচলের নাগাল না পাও।
ইয়াহিয়া মাথা দোলালেন। কথাটা মন্দ বল নি। কোমরে আঁচল পেঁচিয়ে রাখ।

বিলকিসের চেহারা গোল। সাজিয়ে গুছিয়ে মণ্ডপে বসিয়ে রাখলে তাকে দেবীই মনে হবে। হাসলে ফর্সা গালে টোল পড়ে। কপালের বামদিকে একগাছি চুলে পাক ধরেছে। ত্রিশ বছরের দাম্পত্য জীবনে তিনি মোটেও অসুখি নন। ইয়াহিয়ার মত সরল, লাজুক, ভদ্র মানুষ তিনি কমই দেখেছেন। ইয়াহিয়াদের পরিবার থেকে যখন তার বিয়ের প্রস্তাব এল, বিলকিস তখন খুব দুঃশ্চিন্তায় থাকতেন। ভাবতেন কেমন হবে লোকটা। যেদিন ইয়াহিয়া তাকে দেখার জন্য তাদের চট্টগ্রামের বাসায় এল, সেদিনের কথা তার বারবার মনে পড়ে। সেদিন ছিল রোববার। সাপ্তাহিক ছুটির দিন। বিকেলের দিকে বিনা নোটিশে এক পশলা বৃষ্টি হলো। তারপর আকাশ ফর্সা। বৃষ্টিভেজা দেবদারু পাতায় রোদের ঝলমল হাসি, জানালার গ্রিল পেরিয়ে বারবার মন কাড়ছিল বিলকিসের। কিন্তু সন্ধ্যা হতে হতেই তার মনে হাজারটা প্রশ্ন এসে জমা হল। জানা নেই, শুনা নেই, এক অপরিচিত আগন্তকের মুখোমুখি হতে হবে তাকে। কেমন হবে লোকটা !

সন্ধ্যার পর ইয়াহিয়া আসলেন। বিলকিসকে এনে বসানো হল তার সামনে। তিনি একবার আড়চোখে দেখে নিলেন ইয়াহিয়াকে। আড়ষ্ট হয়ে বসেছিলেন ইয়াহিয়া। শুধু একবার সরাসরি বিলকিসের চোখে চোখ রাখলেন। তারপর দৃষ্টি ফিরিয়ে নিলেন। বিলকিসের কেবল মনে হচ্ছিল, লোকটা বুঝি এখান থেকে পালাতে পারলে বেঁচে যায়। কিন্তু প্রথম দেখাতে ভাল লেগে গিয়েছিল বিলকিসের। চওড়া কপাল, ব্যাক ব্রাশ করা চুল, ক্লিনসেভ চেহারা তাকে আকর্ষণ করেছিল খুব। কেবল নাকটা কে মনে হয়েছিল নিচের দিকে একটু বেশি ঝোলানো। সেদিন ইয়াহিয়া তেমন কথা বলেন নি। বিলকিসের কাছেও কিছু জানতে চান নি। শুধু বলেছিলেন, বিয়েতে মেয়েদের মতটা বেশি জরুরী। বিলকিস ভাবতো শুধু এই কথাটা বলার জন্যই কি বেচারা এত কষ্ট করে এসেছিল ?

ইয়াহিয়া চায়ে শেষ চুমুক দিয়ে কাপ টেবিলের উপর রাখতে রাখতে বললেন, পরবর্তী চা কখন পাব ?

বিলকিস কোলের উপর দুই হাত ভাঁজ করলেন। গলাকে সামান্য ঘুরিয়ে স্বামীর দিকে তাকালেন।
এবার চা খাওয়া একটু কমাও। গতকাল বাজারে গিয়ে আমার মাথার চান্দি যে গরম হইছে,এখনও ঠান্ডা করতে পারতেছি না। বিশ্বাস না হলে হাত দিয়ে দেখ।

ইয়াহিয়া বিলকিসের মাথায় হাতের তালু রাখলেন। কই তোমার চান্দি তো ঠান্ডা।
আমার চান্দি ঠান্ডা না, ঠান্ডা তোমার হাত। বিলকিস হাসল।
হবে হয়ত। বুড়ো মানুষ এখন তো ঠান্ডা হওয়ার সময়।
শুন, বাজারে চাপাতা, দুধ, চিনি সবকটির দাম একসাথে বেড়ে গেছে। এখন থেকে চা খেতে ইচ্ছে করলে, টিভি নাটকের মত খালি কাপ নিয়ে চা খাওয়ার অভিনয় করতে হবে। বুঝতে পারছ।

ইয়াহিয়া দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। বাংলাদেশে জিনিস পত্রের দাম কেবল বাড়ে, কমে না। এসব বিষয় মনিটরিং করার কেউ নেই। দেশে তো সামরিক সরকার। ওরা জনগণের কল্যাণের কথা ভাবেনা, নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যাস্ত থাকে। আমরা একটা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি বিলকিস।

বিলকিস মোড়া থেকে উঠে দাঁড়ালেন। বারান্দার গ্রিল ধরে কামরাঙা গাছের দিকে তাকিয়ে রইলেন। গাছে ফুল এসেছে। পাখিরা কিচির-মিচির করছে সেখানে। একরত্তি উঠোনের কোণে যে কয়েকটা অর্কিড আছে, সেগুলো ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে। মনে হল এক কঠিন সময়ের ভেতর সেগুলো পতিত হয়েছে। যত্ন না নিলে হয়ত বাঁচানো যাবে না। বিলকিস বললেন- হাঁ, কঠিন সময়। এখন তো ঘরের বাইরে গেলে ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়। কখন কোথায় বোমা ফুটে, হঠাৎ কোথেকে গুলি ছুটে আসে, এরকম একটা আতংকের মধ্যে থাকতে হয়। কবে যে পরিস্থিতি ঠান্ডা হবে আল্লাহ্ই জানে। তুমি কী মনে কর এরশাদ ক্ষমতা ছাড়বে ?

ইয়াহিয়া পত্রিকা থেকে চোখ তুলে বিলকিসের দিকে তাকালেন। বিলকিসের কোমরের ভাঁজে মেদ জমেছে। শরীরও আগের চেয়ে একটু বেড়েছে। ইয়াহিয়া একটু অবাক হলেন। ছেলেটা রাজনীতিতে ডুকে গোল্লায় যাচ্ছে,এখন দেখছি মাও ছেলের মত রাজনীতি নিয়ে ভাবে। একথা ভাবতেই মনে মনে একপ্রস্থ হাসলেন।
রাজনৈতিক দলগুলো তো আন্দোলনেই আছে, জনগণও রাজপথে। দেখা যাক কী হয়। মুশকিল হল, রাজনৈতিক দলগুলো দিনের বেলায় আন্দোলন করে, আবার রাতের বেলায় দালালী করে। এই অবস্থায় এরশাদের কী হবে বলা মুশকিল।
চাকরি থেকে তো অবসর নিলে। এখন কী করবে ভেবেছ ? সজলেরও তো চাকরি বাকরি কিছু হল না।

এক আনাগত দিনের দুশ্চিন্তা ঘিরে ধরে বিলকিসের মনকে। ছেলেটা ছাত্রজীবন থেকে পলিটিক্সে জড়িয়ে গেছে। চাকরি-বাকরি খোঁজার দিকে তার কোন মনোযোগই নেই। তার ভবিষ্যৎ কী হবে সে কথা ভাবলে বিলকিসের অন্তর থেকে কেবল হতাশার নিঃশ্বাস বেরিয়ে আসে। তখন তিনি গ্রিলের ফাঁক থেকে আকাশের শূন্যতায় দৃষ্টি মেলে দেন। এই শূন্যতা মানুষের জীবনে বারবার ফিরে আসে। তাকে তাড়ানো যায় না, আবার ধরে রাখাও যায় না। ঝুলন্ত বাঁদুরের মতো এই শূন্যতায় ঝোলে থাকে মানুষের ভবিষ্যৎ।

ইয়াহিয়ার গলা চড়ে ওঠে। বাউন্ডুলে ছেলেদের চাকরি হয়না। কেউ কাজ দেবে না।

বিলকিস প্রতিবাদ করেন। বাউন্ডুলে হবে কেন ? ও তো পলিটিক্স করে। কাজ-টাজ পেলে নিশ্চয় এসব করার আর সময় পাবে না।

সজলের রাজনীতি করা নিয়ে বিলকিসের যে একটা প্রচ্ছন্ন সমর্থন আছে, ইয়াহিয়া তা বুঝতে পারেন। তাই ছেলের প্রতি তিনি খুব কঠোর নন, আবার ছেলে রাজনীতি করবে, সেটা তার পছন্দও না। একটা দুশ্চিন্তা, একটা হতাশা গুমরে ওঠে তার ভেতর। দেখ, এখন ভাল ছেলেরা রাজনীতি করে না। রাজনীতির সেই গৌরব আর নেই। মারামারি, হানাহানি, রেশারেশির নাম রাজনীতি নয়। ইয়াহিয়ার কন্ঠ সামান্য চড়ে উঠল।

চলবে---------
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পেচ্ছাপ করি আপনাদের মূর্খ চেতনায়

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৮

আপনারা হাদি হতে চেয়েছিলেন, অথচ হয়ে গেলেন নিরীহ হিন্দু গার্মেন্টস কর্মীর হত্যাকারী।
আপনারা আবাবিল হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াতে চেয়েছিলেন, অথচ রাক্ষস হয়ে বিএনপি নেতার ফুটফুটে মেয়েটাকে পুড়িয়ে মারলেন!
আপনারা ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪


গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

×