
যারা রাজনীতি করে, তারাও জানে রাজনৈতিক দলের বাইরে বিশাল পরিমাণ নিরপেক্ষ ভোটার আছেন। অন্তত প্রতিটা দলের দলীয় ভোটারের চেয়ে নিরপেক্ষ ভোটার বেশি। এর পরেও তারা এই নিরপেক্ষ ভোটারদেরকে অপমান করে, ট্যাগিং করে। তাদের ধারণা, যেহেতু সে আমার দলের পক্ষে না, তার মানে সে অমুক দলের পক্ষে। কেন রে ভাই, সবাই কি আপনার মতো এক জায়গাতে বিবেক বন্ধক রেখেছেন? আপনি না হয় নিজ দলের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারেন না, কিন্তু ওই নিরপেক্ষ মানুষটাকে কেন আটকাচ্ছেন, কেন বুলিং করছেন?
১৯৯১ সালে বিএনপি ১৪০ আসন পায়, আওয়ামী লীগ ৮৮ এবং জামায়াত ১৮।
তাহলে তো সেই হিসাবে ১৯৯৬ সালেও বিএনপির সরকার গঠনের কথা ছিল, কারণ তাদের তো ওই ১৪০ আসন কনফার্ম। কিন্তু কেন তারা ১৯৯৬ সালে ১১৬ আর আওয়ামী লীগ ১৪৬ আসন পেল?
আবার ২০০১ সালেই বা কেন বিএনপি ১৯৩ আসন পেয়ে সরকার গঠন করলো? রাজনৈতিক নেতাদের হিসাবে বাংলাদেশের সকল নাগরিক তো যেকোনো একটা দলের কর্মী। তাহলে কেন বারবার হিসাব উল্টে যায়?
হিসাব কেন উল্টায়, সেটা তারাও জানেন, কিন্তু ওই যে “মুখের দোষ” বলে একটা কথা আছে, যেহেতু রাজনীতিতে নেমেছি কুত্সা তো রটাতে হবেই, আক্রমণ তো করতেই হবে।
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন সাহেব ২ সেপ্টেম্বর প্রথম আলো’র ইন্টারভিউতে বলেছেন, ফ্লোটিং ভোটার ৪০-৫০%। অথচ এই ৪০-৫০% ভোটারকে রাত-দিন ট্যাগিং করে যাচ্ছেন কিছু রাজনৈতিক দলের কিছু কর্মী/সমর্থক। এদের ভাব দেখে মনে হয় শুধু দলীয় ভোট দিয়েই তারা আজীবন ক্ষমতায় থাকবে।
কথায় কথায় ট্যাগিং। আরে ভাই, আপনাদের ব্যবহার দিয়েই কিন্তু আপনাদের দলকে যাচাই করে মানুষ। আপনারাই তো ওই ফ্লোটিং/নিরপেক্ষ ভোটারদের মন বিরূপ করে তুলছেন।
কথায় যখন কোনো যুক্তি থাকে না আপনাদের, যখন ভ্যালিড কোনো সমালোচনা খুঁজে পান না, তখন একটাই অস্ত্র— “রাজপথে ছিল না বা আন্দোলন করে নাই,লুঙ্গির নিচে ছিল, ইত্যাদি ইত্যাদি।” আরে ভাই, কে কিভাবে প্রতিবাদ করেছে সেটা কি আপনাকে দেখিয়ে করতে হবে? কে রাজপথে ছিল আর কে ছিল না সেটা কি আপনাদের মতো সেলফি তুলে প্রমাণ করতে হবে? আপনি রাজপথে থেকে যে দায়িত্ব পালন করেছেন, কেউ হয়তো অনলাইনে তার চেয়েও বেশি করেছে।
আবার বলে ‘আগে যারা আই হেইট পলিটিক্স লিখত তারাও এখন রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবী সেজেছে বা রাজনীতি নিয়ে কথা বলছে’ ।
কেউ রাজনীতিকে ঘৃণা করলে আপনার সমস্যা কী? আপনারা যে নোংরা রাজনীতি দেখিয়েছেন গত ১৫ বছর এবং এখনো কিছুটা দেখাচ্ছেন, সে জায়গা থেকে রাজনীতি ঘৃণা করাই বরং স্বাভাবিক না? একজন মানুষকে যখন মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে ডান্ডাবেড়ী পরিয়ে তার মায়ের জানাজায় হাজির করা হয়, এটা দেখে কেউ রাজনীতিকে ঘৃণা করতে পারে না? নাকি আপনাদের সব অপকর্ম দেখেও মানুষ “ওয়াও” বলে রিঅ্যাকশন দিতে হবে?যারা রাজনীতি করে, তারাও জানে রাজনৈতিক দলের বাইরে বিশাল পরিমাণ নিরপেক্ষ ভোটার আছেন। অন্তত প্রতিটা দলের দলীয় ভোটারের চেয়ে নিরপেক্ষ ভোটার বেশি। এর পরেও তারা এই নিরপেক্ষ ভোটারদেরকে অপমান করে, ট্যাগিং করে। তাদের ধারণা, যেহেতু সে আমার দলের পক্ষে না, তার মানে সে অমুক দলের পক্ষে। কেন রে ভাই, সবাই কি আপনার মতো এক জায়গাতে বিবেক বন্ধক রেখেছেন? আপনি না হয় নিজ দলের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারেন না, কিন্তু ওই নিরপেক্ষ মানুষটাকে কেন আটকাচ্ছেন, কেন বুলিং করছেন?
১৯৯১ সালে বিএনপি ১৪০ আসন পায়, আওয়ামী লীগ ৮৮ এবং জামায়াত ১৮।
তাহলে তো সেই হিসাবে ১৯৯৬ সালেও বিএনপির সরকার গঠনের কথা ছিল, কারণ তাদের তো ওই ১৪০ আসন কনফার্ম। কিন্তু কেন তারা ১৯৯৬ সালে ১১৬ আর আওয়ামী লীগ ১৪৬ আসন পেল?
আবার ২০০১ সালেই বা কেন বিএনপি ১৯৩ আসন পেয়ে সরকার গঠন করলো? রাজনৈতিক নেতাদের হিসাবে বাংলাদেশের সকল নাগরিক তো যেকোনো একটা দলের কর্মী। তাহলে কেন বারবার হিসাব উল্টে যায়?
হিসাব কেন উল্টায়, সেটা তারাও জানেন, কিন্তু ওই যে “মুখের দোষ” বলে একটা কথা আছে, যেহেতু রাজনীতিতে নেমেছি কুত্সা তো রটাতে হবেই, আক্রমণ তো করতেই হবে।
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন সাহেব ২ সেপ্টেম্বর প্রথম আলো’র ইন্টারভিউতে বলেছেন, ফ্লোটিং ভোটার ৪০-৫০%। অথচ এই ৪০-৫০% ভোটারকে রাত-দিন ট্যাগিং করে যাচ্ছেন কিছু রাজনৈতিক দলের কিছু কর্মী/সমর্থক। এদের ভাব দেখে মনে হয় শুধু দলীয় ভোট দিয়েই তারা আজীবন ক্ষমতায় থাকবে।
কথায় কথায় ট্যাগিং। আরে ভাই, আপনাদের ব্যবহার দিয়েই কিন্তু আপনাদের দলকে যাচাই করে মানুষ। আপনারাই তো ওই ফ্লোটিং/নিরপেক্ষ ভোটারদের মন বিরূপ করে তুলছেন।
কথায় যখন কোনো যুক্তি থাকে না আপনাদের, যখন ভ্যালিড কোনো সমালোচনা খুঁজে পান না, তখন একটাই অস্ত্র— “রাজপথে ছিল না বা আন্দোলন করে নাই,লুঙ্গির নিচে ছিল, ইত্যাদি ইত্যাদি।” আরে ভাই, কে কিভাবে প্রতিবাদ করেছে সেটা কি আপনাকে দেখিয়ে করতে হবে? কে রাজপথে ছিল আর কে ছিল না সেটা কি আপনাদের মতো সেলফি তুলে প্রমাণ করতে হবে? আপনি রাজপথে থেকে যে দায়িত্ব পালন করেছেন, কেউ হয়তো অনলাইনে তার চেয়েও বেশি করেছে।
আবার বলে ‘আগে যারা আই হেইট পলিটিক্স লিখত তারাও এখন রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবী সেজেছে বা রাজনীতি নিয়ে কথা বলছে’ ।
কেউ রাজনীতিকে ঘৃণা করলে আপনার সমস্যা কী? আপনারা যে নোংরা রাজনীতি দেখিয়েছেন গত ১৫ বছর এবং এখনো কিছুটা দেখাচ্ছেন, সে জায়গা থেকে রাজনীতি ঘৃণা করাই বরং স্বাভাবিক না? একজন মানুষকে যখন মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে ডান্ডাবেড়ী পরিয়ে তার মায়ের জানাজায় হাজির করা হয়, এটা দেখে কেউ রাজনীতিকে ঘৃণা করতে পারে না? নাকি আপনাদের সব অপকর্ম দেখেও মানুষ “ওয়াও” বলে রিঅ্যাকশন দিতে হবে?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


