কাছিয়ে কুছিয়ে , গুছিয়ে গাছিয়ে
থুয়েই যাব - যা কিছু আমার,
তাকিয়া তোশক - মগ আর রেজর
দীর্ঘদিনের সংযোগ ছাড়া
ল্যান্ডোফোনের তার কাটবো মনের সুখে
(ঠিক যেমনটা করতেন বাবা
প্রতিবার বাড়ি পাল্টানোর আগে)
থাকলো পড়ে তিনটি মাসের
বকেয়া ভাড়ার ফ্ল্যাটটিখানি।
.
কঁককঁকানো সেলফোনটা পকেট থেকে
বুড়িগঙ্গায় জলাঞ্জলি দেবার আগে
খুচরো যত প্রেম - প্রেমিকা (ছিল কিংবা এখনও আছে)
ফোন করে সব হাউমাউ করে বিদায় নেব
চোখের কিংবা কোকের জলে
(খুচরো ব্যালান্স - বৃথাই যাবে? শেষ করে যাই)
.
অল্প কিছু শামস - শামসুল - হাফেজ হেলাল
জীবন - শক্তি -সুনীল-আর জয়
কবিতার বই, যা মেরেছি এর ওর থেকে
ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিলিয়ে যাব এই শহরেই
(ফেরত দেব? পাগল নাকি?
মারবে ধরে, অ্যাদ্দিন পরে ! )
.
প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় আলো, ব্র্যাজার্স থুড়ি নেট সংযোগ
ডিস আন্তিনা - না করে দাও , খুলে ফেলে দাও
শহর ছেড়ে যাবার আগে,
সকল কাজে হুড়ো দেয়া বস বরাবর পত্র লেখ -
আর ছুডিনা তোমায় আমি,
গত বাজেটে আমার পাছার দাম বেড়েছে!
ধার করেছি - টাকা যাদের - ঘুমিয়ে থাকো
এই শহরে ঘণ্টা দেড়েক আছি আমি
তারপরে সব - ব্যোম ভোলানাথ
কে খুঁজে পায় - আমায় কোথায়!
.
জাবেদের সাথে শাকুরায় যাব, সুরার ঘোরে
বলব ওকে, কি করেছি - ক্যামন করে
ওর বৌকে ঠিক কতবার, যাবার আগে -
হিসাব কিতাব চুকিয়ে দিয়ে
মনকে সাদা রাখাই ভালো।
.
তারপর কোন ফ্লাইওভারের চুড়ায় উঠে
মছলি ধরার জালটি নিয়ে সটান হবো
ছুঁড়বো সে জাল আকাশ পানে - ঐ ভরা চাঁদ
পুরতে হবে জালের ভেতর
তোমার আমার প্রথম ও শেষ চুমুর সাক্ষী
ও চাঁদখানা - কাঁধে চাপিয়ে তবেই আমি
ছাড়বো শহর, বুক ফুলিয়ে
(উৎসর্গ - সহকবি এবং ব্লগার খেয়ালি দুপুরে কিছু উড়ো চিঠিকে, সামুতে আমার ক্ষুদ্র ব্লগিং ক্যারিয়ারের পরিচিত একমাত্র সহব্লগার , যিনি আমার কবিতার খোঁজ খবর নেন মাঝে মাঝে।)