somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চিন্তার কারখানা ৯ - বিজেপি প্রধান, শ্রী নরেন্দ্র মোদীজীর প্রতি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমি যে কারণে কৃতজ্ঞ

২৮ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ছবি - ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজী (দা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের বরাতে)

আমাদের স্বাধীনতার পঞ্চাশতম বর্ষে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের দুই টার্ম ধরে নির্বাচিত রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম নেতা, এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে আসেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ হয়েছে বাংলাদেশে সাধারণ জনগোষ্ঠীর মাঝে। রহস্যময় কারণে ফেসবুক ডাউন গত দু'দিন যাবত বলে এ সংক্রান্ত গুজব বা সুজব কোনটাই স্পষ্ট করে শুনতে, জানতে পারছি না। বাংলাদেশের সার্বিক মঙ্গলের জন্যে যা করা হয়, তাতে আমার কোন আপত্তি নেই। 'বাংলাদেশের সার্বিক মঙ্গল' কি জিনিস, আর 'এর দায় কার' - এ সংক্রান্ত ইস্যুতে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারেন। তা তুলুক। আমার সংক্ষিপ্ত বুঝে, যেকোনো ইস্যুতে জাতীয় ক্ষয়ক্ষতি, হতাহত হবার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে, তা কমিয়ে আনার জন্যে নেয়া যেকোনো পদক্ষেপই বাংলাদেশের মঙ্গল, বা হিত কামনা।

৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের কোটিখানেক শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে, খাইয়ে, বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ব্যাপারে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে, বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের যথাসম্ভব সামরিক ট্রেনিং দিয়ে, এবং সবশেষে সরাসরি সম্মুখ সমরে তাদের সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ত্বরান্বিত করেছে আমাদের যে প্রতিবেশী রাষ্ট্র, সেই ভারতের জনগণের বর্তমান নির্বাচিত প্রতিনিধি, এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে আসবেন, এতে যৌক্তিকভাবে আমি আপত্তির কোন জায়গা দেখি না। যারা আপত্তি তুলেছেন, যারা রাস্তায় আন্দোলন করেছেন, তাদের আপত্তিটাও খুব সম্ভবত যুক্তির জায়গা থেকে নয়। তারা সেন্টিমেন্টাল ছিলেন। শ্রী নরেন্দ্র মোদী'র পূর্বকালীন রাজনৈতিক জীবনে, তিনি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ঘটিত সংখ্যালঘু নিপীড়নের ঘটনার (যার অভিযোগ থেকে আবার ভারতের গুজরাতের স্থানীয় কোর্ট তাকে নিষ্কলুষ বলে ঘোষণা করেছে) কারণে তাকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকে অপছন্দ করেন। রাজনীতি সেন্টিমেন্ট দেখানোর জায়গা নয়, এটা বুঝলে হয়তো তারা রাজনীতিতে আকৃষ্ট হতেন, সেন্টিমেন্টকে পুঁজি করে - যেটা আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রগুলির কোন কোন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক নেতারা করেন। ধর্মীয় সেন্টিমেন্টকে পুঁজি করে রাজনীতি এখনো করার চেষ্টা হয়, তবে মনে হয় না বাংলাদেশের জনসাধারণের কাছে তা আর জনপ্রিয়। যে কয়টা ইসলামী দল আছে বাংলাদেশে, তাদের মধ্যে আমার জানামতে সবচে ক্লিন স্লেট যাদের, সেই চরমোনাই পীরসাহেব তার নিজের এলাকাতেই এমপি ইলেকশনে জিততে পারেন নি ২০১৮ সালে।

ম্যাস পিপল, বা জনগণের রেসপন্সের ব্যাপারে আমার সবসময়কার একটা কষ্টের জায়গা - তাদের প্রজ্ঞা এবং দূরদর্শিতাবিহীন আবেগি আচরন। যেকোনো একটা বড়সড় পলিটিক্যাল ফেনোমেনা সংঘটিত হলে, আমার অভ্যাস হচ্ছে, তা থেকে নিজেকে একটু দূরে দাঁড় করিয়ে ঘটনা প্রবাহ পরিলক্ষন। সেই সূত্রেই বাংলাদেশের জনগণের আবেগি আচরণ যে দীর্ঘদিন যাবত আমাদের রাজনৈতিক সমস্যাগুলোর (যদি থেকে থাকে) কোন স্থিতিশীল সমাধান এনে দিতে পারছে না - এটা আমার একটা এম্পেরিকাল ফাইন্ডিং, বা অভিজ্ঞতালব্ধ, পর্যবেক্ষণজাত সত্য। যদিও, মনে হয় না পৃথিবীর কোন দেশের আপামর জনতা তুখোড় রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ধারণ করে। আমি দায়ভার একা আমার ও আমার দেশের জনসাধারণের কাঁধে চাপিয়ে দিচ্ছি না। কিন্তু আফসোস তো লাগবেই, কারন ভরসা করার জন্যে আমি তো আমি নিজে, আর আমার জনগোষ্ঠী ছাড়া আর কাউকে পাচ্ছি - পাবো না।

গতকাল, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত একটা অনলাইন টকশোতে অংশ নিলাম। আমার সঙ্গে সহ আলোচক ছিলেন প্রখ্যাত অভিনেত্রী তনিমা হামিদ আপা। আমাকে করা প্রশ্নগুলোর একটি ছিল - যদি আজকে হঠাৎ '৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের মতো একটা সিচুয়েশন তৈরি হয়, তবে আমাদের নেতৃত্ব দেয়ার মতো নেতারা পাইপলাইনে প্রস্তুত আছেন কি না। আমি ঘুরিয়ে রেসপন্স করলাম এই বলে যে - একবিংশ শতাব্দীতে দেশ দখলের রীতি আর আগের মতো অস্ত্রশস্ত্র সহ সৈন্য কারো দেশের ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়া নয়, কলোনিয়াল আমলে ব্যাপারটা যেমন ছিল। আধুনিক ওয়ারফেয়ার , এবং রাজ্যজয়, এই সাম্রাজ্যবাদ / এম্পেরিয়ালিস্টিক যুগে মূলত বাণিজ্যের উপর ভিত্তি করে, বাণিজ্যের প্রভাববলয় সৃষ্টি করে, নিজের মালামাল অন্যের দেশে ঢুকিয়ে দিয়ে। সে বিবেচনা করলে বাংলাদেশ এখন যুদ্ধ পরিস্থিতিতেই আছে। বাংলাদেশের যতগুলো সুপারশপ আছে, তাতে একবার ঢুঁ মারলেই দেখা যায় বিদেশী পণ্যে বাজার একদম বোঝাই। আমাদের দেশের তারুণ্যকে বরং এখন এই জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে, তারা জাতীয় পণ্য উৎপাদনের যতগুলি সেক্ট আছে, তাকে আন্তর্জাতিক মানে না হোক, অন্তত দেশী মানুষদের বিশ্বাস জয় করবার মতো, দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করবার মতো অবস্থানে নিয়ে যেতে পারবে কি না।

আমার এই রেসপন্সের একটা কারন আছে। আমদের প্রায়ই বাস্তবতা বর্জিত হাইপোথেটিক্যাল কন্ডিশন তৈরি করে বর্তমান সময়ের দায়বদ্ধতা এড়িয়ে যাওয়ার একটা প্রবণতা আছে। এটা আমার অপছন্দের।

আমার অধীত বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসমস্ত জুনিয়র, বা আমার অধীনস্থ যেসমস্ত ছাত্রদেরকে দেখলাম গত কয়েকদিনের ঘটনাপ্রবাহে হতাহতদের ব্যাপারে বদলা নেবার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে অনলাইন স্ফেয়ার গরম করে ফেলছে, এরা প্রত্যেকেই নিজের পড়াশোনায় সেন্ট পারসেন্ট ফাঁকিবাজ। তাদের উপর তাদের সামান্য পারিবারিক লেভেলে যে দায়দায়িত্বগুলো আছে, তারা অতটুকুও ঠিকভাবে পালন করতে পারছে না। কিন্তু তারা ধর্মকেন্দ্রিক প্রতিশোধ স্পৃহায় উদ্বেল। যারা জীবনের সব সেক্টে ব্যারথ হয়ে, নিজের ওপর অর্পিত সমস্ত দায়দায়িত্ব পালনে ব্যারথ হয়ে শেষমেশ ধর্মকে আঁকড়ে ধরে, এরা নিজের জন্যে, নিজের পরিবারের জন্যে, এমনকি যে ধর্মের ঝাণ্ডা বুলন্দ করবার স্বপ্ন তারা দেখে, সেই ধর্ম, এবং ধর্মের সাধারণ অনুসারীদেরও বিপদগ্রস্থ করে তোলে।

বাংলাদেশকে ভৌগলিকভাবে সম্ভাব্য সবদিক থেকে ঘিরে রাখা ভারত, একদিকে প্রতাপশালী মায়ানমার দ্বারা পরিবেষ্টিত বাংলাদেশের জনগণের ভেতরে যদি দেশ প্রেম থাকে, তবে তার বহিঃপ্রকাশের সবচে ভালো উপায় ছিল নিজের উপর দেশ থেকে অর্পিত দায়িত্বগুলি সঠিকভাবে পালন করা। ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, মিডিয়াকর্মী, আইনজীবী, শিক্ষক, গবেষক হ যত পেশাজীবী আছেন, তাদের সবার বিশ্বমানের আউটপুট দেয়ার জন্যে নিজেদের প্রস্তুত করাটাই উচিৎ ছিল আমাদের প্রতিবাদের ধরন হওয়া।

মোদীজী যদি এবার নাও আসতেন, আমাদের বাজার ভর্তি যে ভারতীয় পণ্যে, আমাদের মাথা যে ইন্ডিয়ার মিডিয়া দ্বারা পুরোপুরি ওয়াশড, এবং দ্বিপাক্ষিক বিবিধ চুক্তিতে বাংলাদেশ যে এখনও ভারতের সঙ্গে সুবিধাজনক অবস্থানে নেই - এ পরিস্থিতিগুলোর তো বদল হতো না।

আমাদের দায়বদ্ধতার জায়গাটা আরও অনেক বড়, এবং দীর্ঘ সময়ব্যাপী কাজ করে সে দায়বদ্ধতা পূরণ করা প্রয়োজন, সেটা আমরা সাধারণ মানুষরা প্রায়ই বুঝি না। ঝোঁকের মাথায় কাজ করি। আর এই দায়পূরণ করার ব্যাপারটা যে অলীক স্বপ্ন, রূপকথা, তাও নয়। ফিদেল ক্যাস্ট্রোর অধীনে কিউবা যে অ্যামেরিকার নাকের ডগায় বসে অ্যামেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পরিকল্পনাকে দীর্ঘ দীর্ঘ দিন যাবত সর্বাত্মক প্রতিরোধ করে এসেছে, সেটাই তো এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আমাদের সম্মুখে। অবশ্য আমাদের ক্যাস্ট্রো হবে কে - এই প্রশ্ন কেউ কেউ তুলতে পারে।

২।
এতক্ষণ বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমি গত কয়েকদিনের ঘটনার ঘনঘটা নিয়ে আত্মসমালোচনা করলাম। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে, আমার মনে হয়, এটাই বাঞ্ছনীয়। আঙ্গুল আগে নিজের দিকে তোলা। অন্যকে বদলাতে পারি আর না পারি, অন্তত নিজেকে বদলানোর সক্ষমতা তো আমার হাতে আছে।

এবার বলি, একজন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী, এবং বিজেপি প্রধান শ্রী নরেন্দ্র মোদীজীকে আমার কেন ভালো লেগেছে, এবং কেন আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ।

আমি প্রকৃত অর্থে কোন রাজা মহারাজা দেখি নি। গতকাল শ্রী নরেন্দ্র মোদীজীর লাইভ ভিডিও টেলিভিশনে দেখে অতীতে প্রতাপশালী রাজারা কেমন হতেন, এ নিয়ে সংশয় মিটেছে। শ্রী নরেন্দ্র মোদীজীর চেহারা, বেশভূষা, আচারাচরন, গাম্ভীর্য, প্রভাব, প্রতিপত্তি, নিজের লক্ষ্যভেদ করবার দুর্দান্ত প্রত্যয় এবং সাহস - এ সব কিছু দেখে, বিশেষ করে তিনি বড় দাঁড়ি আর বাবরি চুল রাখার পর থেকে, আমার ওনার প্রতি এক ধরনের শ্রদ্ধা তৈরি হয়েছে।

আর, মোদীজীর প্রতি কৃতজ্ঞতার কারন হল, শ্রী নরেন্দ্র মোদী আমাদের বাংলাদেশের জনগণকে এক ঐতিহাসিক দায়মুক্তি দিয়েছেন।

যদি '৪৭ এর দেশভাগের কথা আমাদের মনে থাকে, আমাদের এটাও মনে থাকার কথা, ভারতের মুখপাত্র ইতিহাসবিদ, ও রাজনীতিকদের কথা ছিল - পাকিস্তান আলাদা হয়েছে একটা ধর্মভিত্তিক, সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে। আর ভারত দেশভাগের পর রয়ে গেছে এই পাক - ভারত উপমহাদেশের একমাত্র সেকুলার রাষ্ট্র হিসেবে।

একটু সময় লাগলেও, ভারতের 'সেকুলার' জনগণের মধ্যে এক বিশাল অংশ যে আদতে উগ্র সাম্প্রদায়িক, এটা প্রমাণ করেছেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী, এবং তার সরকার। সেকুলারিজমের মুখোশ খুলে গেরুয়া পতাকার নীচে আশ্রয় নিতে তার উদাত্য আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন অনেকেই।

২০১৯ সালে, ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে শ্রী মোদীজীর শ্লোগানটা এখনও কানে ভাসে - 'ইসবার তিনস' পার' । ভারতের লোকসভার ৫৪৩টি সিটের মধ্যে ২০১৯ সালের নির্বাচনে তিনি তিনশোর অধিক সিট জয়ের আশা ব্যক্ত করেন। বিজেপি এবং তার অ্যালায়েন্স পার্টিগুলো মিলে সেবার লোকসভায় দখল করে নেয় সর্বমোট ৩৫৩ সিট। ক্যালকুলেটরের বাটন টিপে দেখা যাবে, তা প্রায় কাঁটায় কাঁটায় ভারতের মোট জনসংখ্যার ৬৫ %। ২০১১ সালের জরিপে ভারতে হিন্দুর সংখ্যা ৭৯ দশমিক ৮০ শতাংশ, তার মধ্যেই তো কমবেশি বিজেপির ভোট গিয়েছে। তাহলে যেই সেকুলার ভারতীয় জনগোষ্ঠীর কথা বলা হয়েছে, ভারতে হিন্দু জনগোষ্ঠীর মধ্যে তাদের সংখ্যা কতো?

সামনে পশ্চিম বঙ্গের বিধান সভা নির্বাচন আসছে। শ্রী নরেন্দ্র মোদীর হিংসুকরা কেউ কেউ দাবী করছেন, মোদীজীর এবারের বাংলাদেশ সফর মূলত পশ্চিম বঙ্গের সনাতন ধর্মের বন্ধুদের মন জয়ের প্রচেষ্টাবিশেষ।

আমার মনের একটা অংশ চাইবে, কোলকাতার বিধানসভার আগতপ্রায় নির্বাচনে ধর্ম বড় ফ্যাক্টর না হোক। কোলকাতা, আর ঢাকা একসময় অভিন্ন হৃদয়ের দুটো অঞ্চল ছিল। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে, ঢাকাবাসী হিসেবে, আমি চাই না আমাদের সুহৃদ একটি প্রতিবেশী প্রদেশে একটা সাম্প্রদায়িক সরকার গঠিত হোক। নতুবা সে আগুণের আঁচ আমার দেশেও এসে লাগবে।

আমার মনের আরেকটা অংশ চাইবে কোলকাতার বিধানসভা নির্বাচনে শ্রী মোদীজীর দল জিতুক। সাম্প্রদায়িক জাতিগোষ্ঠীর ভার দীর্ঘদিন যাবত, অন্যায়ভাবে, এপার বাংলার মুসলিম সম্প্রদায় একা বহন করেছে। ওপার বাংলার উগ্র ব্রাহ্মণ্যবাদী উচ্চবর্ণের জনগোষ্ঠী, যারা ভূস্বামী হিসেবে এই গরীব চাষি অধ্যুষিত গ্রাম বাংলাকে একদা চিপে চুষে খেয়েছে, এবং দেশভাগের সময় ভোটাভুটিতে অগ্রগামী হয়ে পশ্চিমবঙ্গকে ভাগ করেছে, তাদের সেই ছুপা সাম্প্রদায়িক মনোভাব একদম দিগম্বররূপে উন্মোচিত হোক, যাতে বাংলাদেশের রায়তশ্রেণীর মানুষের গায়ে লেপে দেয়া ইতিহাসের এক কলঙ্কের দায়মোচন হয়।

সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:০৮
৯টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×