আইয়্যুব বাচ্চু মারা যাওয়ার আগে তার ছেলেকে মঞ্চে নিয়ে এসেছিলেন এবং সবার উদ্দেশ্যে বলেছিলেন আমি তাকে এখন আর মঞ্চে নিয়ে আসবো না কারণ লিজেন্ড বাচ্চু ভাই যে পরিমাণ কষ্ট করে টিকে ছিলেন কিংবা অনেক প্রতিভার হারিয়ে যাওয়া দেখেছিলেন, তিনি কখনো চাচ্ছিলেন না তার ছেলে সে কষ্টের স্বাক্ষী হোক ৷
.
তিনি আরো বলেছিলেন, এদেশে যেদিন শিল্পীরা স্বীকৃতি পাবে, যেদিন শিল্পীরা মর্যাদা পাবে, শিল্পীদেরকে দুস্থ শিল্পী বলা হবে না, সেদিন আমার ছেলে শিল্পকে প্রফেশন হিসেবে নিবে ৷ তার আগে না ৷
.
এদেশে তেমনি কোন দিন পৃথিবীখ্যাত লেখকদের সৃষ্টি হবে না, যদি তারা লেখাকে প্রফেশন হিসেবে চিন্তা না করে ৷ ওভাবে যদি মন প্রাণ উজাড় করে লেখাতে মনোযোগ না দেয় ৷
.
সুতরাং লেখা পড়ে ফ্যান হলেই চলবে না ৷ ভালো লাগলে সম্মানী দিতে হবে ৷ মর্যাদা দিতে হবে ৷ গুরু গুরু বলে গলা ফাটিয়েও লাভ নেই ৷ শুকনো কথায় চিড়াও ভিজে না একটা প্রবাদ আছে ৷
.
লেখা ভালো লাগলে, উপকৃত হলে অবশ্যই সম্মানী দিবেন ৷ আমার কাছে লেখা দ্বিতীয় প্রফেশন ৷ এটা আমার আন্দোলনও ৷ অনেকে সাড়া দিচ্ছেন আন্দোলনে ৷ তাদের দেখলে প্রশান্তি লাগে ৷ আশ্বস্ত অনুভব করি ৷ লিখে আমি যদি কখনো কোটিপতি হয়েও যায় তবুও আমি লেখার সম্মানী নিবো ৷
.
তাই একদম নিঃসংকোচে লেখার সম্মানী দশ টাকা দিতে আগ্রহী হলেও ০১৮১৫৩৩৮৩৭৫ নাম্বার বিকাশ করবেন ৷ দশ হাজার টাকা দিলেও মারহাবা ৷ ব্যাংক একাউন্ট কিংবা অন্যকোন মাধ্যমে দিতে ইচ্ছুক হলে ইনবক্স করবেন ৷
.
হাজার টাকা থেকে লক্ষ টাকার ইতিহাস সৃষ্টি করতে এই পথচলা ৷ অনলাইন কিংবা ব্লগে লিখে টাকা ইনকামের যে আনন্দ তা পত্রিকা কিংবা বইয়ের আনন্দের থেকে শতগুণ বেশী কারণ এটা নতুনত্ব ৷ এই যাত্রার লড়াই হয়তো আমাদের কয়েকজনের ৷ তবুও আমরা থামিনি ৷ থামবো না ৷
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০