আমার বউ সেদিনও বললো, এই যে লেখালেখি করো! তাতে কি লাভ হয়?
.
বললাম, আসলে লাভ হয় কিন্তু তা বলা যাবে না । সে বললো, সত্যি যদি লাভ হতো তাহলে অফিস থেকে আসার সময় পকেটে করে দুটো চকলেট তো অন্তত আনতে পারতে ।
.
সেদিন মহান বৃহস্পতিবারে সরাসরি বললো, লেখালেখি করে কোন লাভ হয়েছে তুমি দেখাতে পারলে মাঝরাতে এক কাপ চা বানিয়ে দিবো / বললাম, সব লাভ দেখা যায় না । কিছু লাভ অনুভব করতে হয় ।
.
যদিও আমার সেলারি কতো সে বিয়ের দুই বছর পার হয়ে গেলেও এখনো তদন্ত করে বের করতে পারেনি । লেখালেখি করে আসলে কি লাভ হয় তা ও আশা করি খুঁজে বের করতে পারবে বলে মনে হয় না ।
.
বউকে যখনি বলি আজ অমুক জায়গায় আমার একটা লেখা প্রকাশ করা হয়েছে সে তখনি বলে, এতো লিখে কি লাভ হয়! সারাদিন দেখি তথ্য খুঁজে বেড়াও ।
.
সত্যি বলতে, মাঝে মাঝে আমিও ভাবি আসলে কি লাভ হয় । নেশা তো লাভ বুঝে না কেবলি ফিল্ কাউন্ট করে । এটা বলে অন্তত তাকে বুঝ দিলাম মাইরি কিন্তু লাভ কি হয় তা বলা যাবে না ।
.
তার ও কি লাভ হয় তা না শুনলে ভাত হজম হবে না । মেয়েদের পাত্তা পাওয়ার মূল টোটকা তার মনে কৌতূহল সৃষ্টি করে রাখা । শেষ পর্যন্ত একদম অপারগ হয় তাকে লাভ দেখাতে ম্যাসেঞ্জার ওপেন করলাম । সেখানে একজন পাঠিকা মেসেজ করেছে, ‘ভাইয়া আপনি অনেক ভালো লেখেন । আই লাভ ইয়ু ।’ অবশেষে বউ লাভের খোঁজ পেয়ে আপাতত অফ গেলো ।
.
এখন আমি নিজেই অবাক হলাম একটা অপরিচিত নারীর আই লাভ ইয়ু লেখা দেখে বউ মাইন্ড করলো না কেনো? উল্টো তাকে প্রশ্ন করলাম, তুমি মনে হয় লেখালেখির লাভ ভালো করে দেখোনি?
.
সে বললো, ‘সত্যি বলতে লেখালেখি করে যদি কোন লাভ থাকতো মেয়েটা অন্তত তোমাকে ভাইয়া ডাকতো না ।’

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


