সাদিক এগ্রো ব্রাহামা জাতের তিনটি গরু প্রায় তিন কোটি টাকায় বিক্রী করেছে । তা ও আবার ক্রেতা এই বছর হ্বজে থাকায় আগামী বছর এগুলো বুঝে নিবে । তখন সে জনগনের উদ্দেশ্যে মুখ দেখাবে । এই ১৮টি গরু অবৈধভাবে বাংলাদেশে এসেছিলো যার একটি মারাও গিয়েছিলো । অবৈধ গরু দিয়ে কোরবান!
মূলতো বাংলাদেশে ব্রাহামা নিষিদ্ধ কারণ এসব গরুতে প্রচুর গোস্ত হয় কিন্তু বাংলাদেশ গোস্তে অনেকটা সমৃদ্ধ । আমাদের দরকার দুধ । ব্রাহামা উৎসাহিত করলে দুধের যোগান হুমকির মুখে পরবে । সমস্যা হলো নিষিদ্ধ এবং রেয়ার জিনিসের প্রতি মানুষের আবেগ এবং আকর্ষণ সবসময় বেশী কাজ করে ।
এই এগ্রোটি দেখলাম ১২ লাখ টাকায় ছাগলও বিক্রী করলো । পুঁজি এই ছাগলটি রেয়ার! এটা সামাজে কি বার্তা দেয়? এরা কি একটি অসুস্থ প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করছে না? এখন সাদেক এগ্রো বয়কটের ডাক দেওয়া সময়ের দাবী মনে হচ্ছে না?
এগ্রোর মালিকের দাবী তিনি রেয়ার ইলিশ কিছুদিন আগে ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলেন কারণ এগুলো তিন কেজি ওজনের ইলিশ ছিলো সুতরাং রেয়ার গরু ছাগল এমন দাম স্বাভাবিক । আহারে বিলাসিতা!
ওরা উট আনে । দুম্বাও । কারণ প্রতি কেজি প্রায় আট হাজার টাকা ধরে ক্রেতা এই সমাজে ভুঁড়ি ভুঁড়ি ।
আমি বুঝি না বাংলাদেশ কেনো বিশ্ব ব্যাংক কিংবা আইএমএফ থেকে নাকে খত দিয়ে লোন নেয়! যে দেশের অনেক লোক কোটি টাকায় গরু কিনতে পারে সে দেশের তো টাকা নিয়ে টেনশন থাকার কথা না!
এনবিআর ট্যাক্স বসানোর লোকের খোঁজ না পেয়ে শেষ পর্যন্ত বিয়ে করে বউ আনার উপর বসিয়েছে । অথচ এসব খামারের উপর চড়াভাবে বসালে অন্তত জনগন কিছুটা স্বস্তি পেতো ।