বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম ১২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম যমুনা টিভির লোগো ও ডিজাইন সংবলিত ফটোকার্ডে ফেসবুকে এমন একটি দাবি ছড়িয়ে পড়েছে।
বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুয়া ও অসত্য।
ফেস দি পিপল এমনটি দাবী করছে।
এদিকে হাসনাত তার ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে জানিয়েছেন,
'গত ৪ সেপ্টেম্বরের প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে আমাদের টিএসসির ত্রাণ কর্মসূচির আয় ও ব্যয়ের হিসাব জানানো হয়েছিল। ব্যয় বাদে বাকি টাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক শাখা, ইসলামি ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সংরক্ষিত রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, একজন নারী শিক্ষার্থী ও একজন ছাত্রের নামে বিশেষভাবে একাউন্ট খোলা হয়েছে, যেখানে শুধু এই তিনজনের সম্মিলিত সিগনেচারের মাধ্যমে টাকা হস্তান্তর করা সম্ভব। এখন পর্যন্ত ওই একাউন্ট থেকে কোনো টাকা হস্তান্তর করা হয়নি।
স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে আমরা ত্রাণ কার্যক্রমের আয় ও ব্যয়ের ওপর একটি অডিট করছি এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে, ইনশাআল্লাহ। আমরা সবসময় গঠনমূলক সমালোচনা গ্রহণে আগ্রহী। কোনো বিশেষ ভুলবুঝাবুঝি থাকলে অনুগ্রহ করে তা নির্দিষ্টভাবে তুলে ধরুন, যাতে আমাদের কাজ আরও কার্যকরী হতে পারে। আগামীর বাংলাদেশ হোক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মডেল।'
প্রশ্ন হলো, জনগন কি ত্রাণের টাকা দিয়েছিলো একাউন্টে জমা করে রাখার জন্য? জমা রেখে থাকলে কেনো সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ করা হলো না কার একাউন্টে কত টাকা রেখেছেন।
এর আগে আমরা দেখেছিলাম নুরুল হক নুরু সভায় টাকার কোন হিসেব নিকেশ দিতো না। দিবো দিবো বলে বলে। তার গ্রহণযোগ্যতা তখনি অর্ধেক কমে গিয়েছিলো।
বন্যার টাকা আপনারা কেনো জমা রাখা রাখবেন! রেখেছেন যখন এতো লুকোচুরি করার কি আছে?