ইংরেজ শাসনের ভিত্তি মজবুত করা ও মুসলমানদের সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে বড়লাট ওয়ারেন হেস্টিং কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মজার বেপার হলো, এ মাদ্রাসার প্রথম অধ্যক্ষ ড. এ স্প্রিঙ্গার এমএ। আরো আশ্চর্যের বিষয় ছিলো, ১৪৬ বছর ব্যাপী একাদিক্রমে ২৭ জন ব্রিটিশ, ধর্মে-খ্রিস্টান এ মাদ্রসার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এ সব অধ্যক্ষই মাদ্রসার কারিকুলাম ও সিলেবাস নির্ধারণ ও কার্যকর করতেন।
মুসলিমদের জ্ঞানের কতটুকু দৈন্যদশা হলে এভাবে তারা ধর্মীয় টোপ গিলে অন্যদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা মেনে তাদের এজেন্ডার ঘোড়াতে পরিণত হয় অথচ তারা তা নিজেরাও উপলব্ধি করতে পারে না!
এই যখন অবস্থা তখন কোনটা সঠিক পথ তা বের করতে হলে আমাদের সব মত পথ গবেষণা করে এগুতে হবে।
চারদিকে গোলকধাঁধা। সব মত পথ দাবী করছে একমাত্র তারাই চ্যালচ্যালাইয়া জান্নাতে চলে যাবে।
আজকের নিউজে দেখলাম, সাদ আর যোবায়ের পন্থীরা মারামারি করে তিনজন মারা গেলো। এখন একপক্ষ মুসলিম হয়ে দাবী করছে তারা শহীদ। আরেক পক্ষ বলছে তারা ইসলামের দোসর। আসলে সত্যি বলতে, এই যে আমাদের মধ্যে ঐক্য নষ্ট করতে পেরে কোন এক পক্ষের কাছে বরং ইসলাম ই শহীদ হয়ে গেছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


