somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তরুলিপি (ছোট গল্প)

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত সপ্তায় আমি বৃক্ষনাথ থানায় এসেছিলাম একটা সাধারণ ডায়েরি করার জন্য। সেটার কত দূর কি হলো, অভিযুক্তদের ব্যাপারে কি ব্যবস্থা নেয়া হলো এসবের খোঁজ-খবর নিতে আজ আসা। এখানে আসার আগে আমাদের পাড়ার দোকানদার মারুফের সাথে ছোট কিন্তু দরকারি কিছু পরামর্শ করেছিলাম। দোকানদার মারুফ খুব করিৎকর্মা লোক। প্রতিদিন যত লোক তার দোকানে আসে তাদের সবার সাথে তার অগাধ ভাব। অপরিচিত কেউ দোকানে এলেও মারুফের শুভকামনাময় হাসিটির দেখা তিনিও পান। মারুফের অমায়িক এই ব্যবহারের কারনে পাড়ার কেউ বাংলাদেশের কোথাও গিয়ে যা কিছু কেনেন না কেন আফসোস করেন। তারা বলেন, অন্যরা তার কাছ থেকে শিখুক কিভাবে ক্রেতাদের সাথে কথা বলতে হয়!

আমি মারুফকে বলি, দেখ মারুফ! তুমি আমার ছোট বেলার বন্ধু। তোমার কাছে লুকানোর কিছু নেই। মানুষ বা অন্য প্রাণির কষ্টে আমি যেমন ব্যথিত উদ্ভিদের দুঃখ-কষ্টও আমাকে তেমনি পীড়িত করে। সে অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। বলে, তোমার এরকম অনুভূতির ব্যাপারটা আমি জানি কিন্তু এখন কি বলতে চাও বলে ফেল। আমি বলি, উদ্ভিদের যে জীবন আছে এ কথাটা তো তুমি জান? মারুফ অবাক হয়ে বলে, সে কি কথা? জানব না কেন? আমি বলি, মানুষ এবং অন্য প্রাণির যে জীবন আছে তা কি তুমি জান? মারুফ অবাক হয়ে বলে, সে কি কথা? জানব না কেন? আমি বলি, তুমি কিভাবে তা জান? মারুফ বলে, আরে বোকা! কিভাবে আবার? স্কুলে পড়েছি, আর প্রতিদিন তো নিজের চোখেই দেখছি। সে বিনীতভাবে বলল, দোস্ত! তুমি দুপুরের পর এসো। তখন দোকানে তেমন একটা ভিড় থাকে না। তোমার সাথে এ নিয়ে ভালোভাবে আলোচনা করব।

দুপুরে কোনরকম খেয়ে আমি মারুফের দোকানে দৌড় দিই। কথাটা আমি যেখানে অপূর্ণ রেখে এসেছিলাম ঠিক সেখান থেকে শুরু করি। তুমি বলছিলে যে মানুষ ও অন্য প্রাণির যে জীবন আছে তা তুমি প্রতিদিন দেখতে পাও। গাছের যে জীবন আছে তাও কি তুমি প্রতিদিন দেখতে পাও? মারুফ কিছুক্ষণের জন্য চুপ। তার ভাবনায় সাহায্য করতে আমি বলি, মানুষ আর অন্য প্রাণির দুঃখ-কষ্ট যেমন প্রতিদিন দেখতে পাও বৃক্ষ গুল্ম লতা এদের দুঃখ-কষ্টও কি তেমন সহজে চোখে পড়ে? সে অবাক হয়ে বলে, গাছপালার আবার দুঃখ কষ্ট? ’কেন?’, আমি বলি, যার জীবন আছে, জন্ম-মৃত্যু-বার্ধক্য আছে তার দুঃখ কষ্ট থাকাটাই তো স্বাভাবিক। মারুফ বলে, যুক্তির খাতিরে তোমার কথাটা ঠিক কিন্তু বাস্তবতা তো অন্য রকমও হতে পারে?

গাছের যে জীবন আছে সেটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণের আগে খুব কম মানুষই ভেবেছেন যে গাছের জীবন আছে। আমার কথা শেষ না হতে আমার ছোটবেলার বন্ধু বললেন, গাছপালার দুঃখ-কষ্ট ঠিক মেনে নিতে পারছি না। ওরা তো মানুষ বা অন্য প্রাণির মতো দুঃখ-কষ্ট এসব প্রকাশ করে না। কষ্টের প্রকাশ যে সব সময় থাকবে তা না, আবার সব প্রকাশ যে মানুষ বুঝতে পারে তাও না। যেমন ধরো, তোমার মনের মধ্যে হয়ত এমন অনেক কষ্ট উঁকি দিয়ে গেছে যার হদিশ কারও জানা নেই! ’তা ঠিক! তা ঠিক!’ আমার বন্ধু বললেন। এতক্ষণে আরেক জন ক্রেতা এসে গেছে। তার দিকে মনোযোগ দিলো সে। হঠাৎ আমার মনে হলো, হয়ত তার ওপর জোর জুলুম করে আমি বেশি সময় নিয়ে নিচ্ছি!

খরিদ্দারকে বিদায় দিয়ে সে আবার কথায় ফিরল। ’আমি আর তার বেশি সময় নেব না’ চিন্তা করে আসল কথায় ঢুকে পড়লাম। তুমি হয়ত দেখেছ যে আমাদের পাড়ার মধ্যিখানে যে প্রকা- মহুয়া গাছটা আছে তার চারদিক ঘিরে দেয়া হয়েছে। সেখানে একটা সাইনবোর্ডও ঝুলছে। তাতে লেখা, এটি একটি সরকারি গাছ। এর থেকে দূরে থাকেন। ’সে আর এমন কি?’ মারুফ বলল। আসলে তলে তলে গাছটা কাটার পায়তারা চলছে, আমি বলি, সাইনবোর্ডটা একটা প্রছন্ন হুমকি। এটাকে তুমি প্রাণ নাশের হুমকি বলেও ভাবতে পার। গাছের প্রাণ নাশের এই হুমকির জন্য থানায় একটা জি ডি বা সাধারন ডায়েরি করব বলে ভাবছি। মারুফ হেসে বলল, আরে বল কি? মানুষের প্রাণ নাশের হুমকি থাকলে জিডি করা যায়, তাই বলে গাছের প্রাণ নাশের হুমকির জন্য জিডি! এ কথা কি কেউ কোনো দিন ভেবেছে? একটা গাছের জীবন বাঁচাতে জিডি করার পরিকল্পনা মনে হয় তোমার মাথাতেই প্রথম এসেছে! খরিদ্দার আর ক্রেতার সংখ্যা বেড়ে উঠছে আবার। আমি মানে মানে বিদায় নিয়ে থানার দিকে হাঁটতে শুরু করি।

প্রথম বার আমি যখন আসি থানার ভিতর একটা বড় জটলা দেখতে পাই। সেখানে কোন এক খুনের আসামীকে দেখতে উৎসুক লোকের ভিড় ছিলো। জিডি করার কথা বললে কর্তব্যরত পুলিশ আমাকে একটা ফর্ম দিয়ে বিষয়টা লিখে রেখে যেতে বলেন। আমি নিশ্চিত নই যে তারা আদৌ আমার ব্যাপারটার দিকে নজর দিতে পেরেছিলেন কিনা। আজ তাই দ্বিতীয় বারের মতো এসেছি সেটার খোঁজ নিতে।

আজ থানার সামনের জায়গাটা খালি। গোটাকয় শালিক আপন মনে হেঁটে ফিরছে। তার সামনে একটা বেকায়দা বুড়ো বৃক্ষ ক্ষয়ে যাওয়া গাছ হয়ে কোনরকম দাঁড়িয়ে আছে। তার নিচে টুল পেতে বসে ঝিমচ্ছে থানার বৃদ্ধ দারোয়ান। আমি হেঁটে হেঁটে থানার ভিতরে ঢুকে পড়লাম। বয়সের ভারে নয়তো কাজের চাপে সে এতটা ক্লান্ত হয়ে উঠেছে যে আমার মতো এক তরুনের থানার ভিতরে ঢুকে পড়াটা কোনোভাবে খেয়াল করতে পারল না।

ভিতরে অফিসার ইনচার্জ আর আরও দুজন পুলিশ বসে। পুুুলিশ দু’জনের একজন হাত-মাথা-মুখ নেড়ে কথা বলে চলেছেন। অন্যজন আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, বসেন। কি ব্যাপার? কি ঘটনা? অফিসার ইনচার্জ অনেকগুলো কাগজপত্র নিয়ে কি যেন দেখছেন। ’গেলো সপ্তায় আমি একটা জিডি করেছিলাম!’, আমি বললাম। অপর পুলিশ আমার দিকে তাকিয়ে হয়ত আমাকে বোঝার চেষ্টা করলেন। বললেন, কি ব্যাপারে জিডি করেছিলেন? আমার উত্তর দেয়ার আগে অফিসার ইনচার্জ বললেন, আগে ফাইলটা নিয়ে আসেন।

পুরনো খাঁকি রঙের একটা পেট-মোটা ফাইল পুলিশের হাতে চড়ে ভিতরের অন্ধকার কক্ষ থেকে থানার টেবিলে এসে নামল। ’কোনটা আপনারটা?’, আমার দিকে ফাইলটা দিতে দিতে পুলিশ বললেন। আমি কয়েক ডজন কাগজের ভিতর আমার জিডির কপিটা খুঁজতে শুরু করলাম। কাগজগুলো একটা বা-িলের মতো করে রাখা; কোনো তারিখ বা বিষয়বস্তুর নিরিখে সাজানো নয়। মিনিট পাচেক সময় নিয়ে খুঁজে খুঁজে আমি নিজের হাতে লেখা জিডিটা খুঁজে পেলাম।

অন্যজন পুলিশের কথা এতক্ষণে শেষ হয়েছে। দাঁতের ভিতর সরু কাঠি দিয়ে তিনি এখন তার দাঁত পরিস্কার করছেন। অফিসার ইনচার্জ কি কাজে যেন বেরলেন। আমি খুঁজে পাওয়া জিডিটা পুলিশ দুজনের সামনে মেলে ধরলাম। তাদের একজন বললেন, আমাদের দেখানোর দরকার নেই। জিডি কেন করেছেন সেটা বলেন। আমি কিছুক্ষণ নীরব হয়ে ভাবার চেষ্টা করছি, কিভাবে গুছিয়ে বললে ভালো হয়। এরই ফাকে এক পুলিশ বললেন, কেউ কি আপনার বাড়িঘর দখল করে নিয়েছে নাকি আপনাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে? আসলে এটা এক ধরনের হত্যার হুমকি, আমি বললাম, তবে আমাকে নয়। কাকে তবে? পুলিশ বললেন, আপনার মা-বাবা ভাই-বোন-বউ? অপর পুলিশ সহসা বলে উঠলেন, আমি উনার বাবাকে চিনি; উনি এখানকার কলেজের প্রিন্সিপাল। আমি বললাম, আসলে আমাদের বাড়ির কাউকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়নি। আমি একটা গাছের ব্যাপারে কথা বলতে এসেছিলাম! জিডিটাও সে ব্যাপারে। কিছুক্ষণের জন্য তারা হৃতবাক হয়ে গেলেন। বললেন, ঠিক বুঝতে পারছি না। গাছের ব্যাপারে জিডি মানে? যে পুলিশ আমার বাবাকে চেনেন তিনি তড়িঘড়ি করে আমার হাত থেকে জিডির কপিটা নিয়ে পড়তে শুরু করলেন।

পড়া শেষে কাগজটা তিনি তার সহকর্মীর দিকে এগিয়ে দিলেন। চারদিকে গ্রীষ্মের দীর্ঘ দুপুর বিকেলে গড়াচ্ছে। ঘরের এক কোনায় আমি তাকিয়ে দেখি সারি সারি নিরীহ গাছ মরে পড়ে আছে। দেখেই আমি চমকে উঠলাম। গাছগুলোকে হয়ত খুন করে অপহরণ বা গুম করা হয়েছে।

আমার চমক ভেঙে গেল পুলিশের হাসির শব্দে। আমি যেন চেতনা ফিরে পেলাম। কোন রকম হাসি থামিয়ে তাদের একজন বললেন, আপনি পাগল নাকি? মানুষের খুনের তদন্ত করতেই আমাদের দিন যায় আর আপনি এসেছেন গাছ কাটার ভয়ে জিডি করতে? তাও সেটা আবার সরকারি গাছ! আমি বললাম, সরকারি মানুষকে যদি কেউ হত্যার হুমকি দেয় তাহলে আপনারা কি তার তদন্ত করবেন না? আমার কথায় তিনি বিরক্ত হলেন। অপর পুলিশের দিকে তাকিয়ে বললেন, আপনার পরিচিত মনে হয়, তা এসব পাগল ছাগলের কথা বাদ দেন। তিনি বাইরে বেরিয়ে গেলেন।

অপর পুলিশ আমাকে দু’একটা প্রবোধ দিয়ে থানার বাইরে আনলেন। বললে, এসব জিডি করে কোনো লাভ হবে না। আমি বললাম, আপনাদের বড় স্যারের সাথে কথা বলে কোনো কিছু করা যায় কিনা! কোনো লাভ হবে না। মানুষ টাকা দিয়ে কাজ করাতে পারে না আর আপনি এসেছেন এসব গাছ কাটাকাটি নিয়ে! আমি এ যাত্রা কোনো ভরসা না দেখে বাড়ির পথ ধরলাম।

কয়েক দিনের মধ্যে শতবর্ষী মহুয়ার ডালপালা কেটে ছেটে ফেলা হলো। তাকে হত্যার দিকে আরও এগিয়ে গেল তারা। আমার মনের ভিতর জেগে উঠলো বিষণœ হতাশা। এর মধ্যে হঠাৎ করেই জানতে পারলাম যে থানার পুরনো ইনচার্জ বদলি হয়ে গেছেন। নতুন ইনচার্জের সাথে কথা বলে কোনো সুবিধা নাও হতে পারে তবু আশাটা জেগে উঠলো মনে। আমি আবারও ছুটলাম থানায়।

এবার থানার ভিতরে ঢুকে দেখি গাছদের নিষ্প্রাণ দেহগুলো সব উধাও। অন্যদিকে থানার বারান্দাটা ছোটো ছোটো ফুলের টব দিয়ে সাজানো। ভিতরে বসে আরও ভালো লাগল যখন চোখ পড়ল ইনচার্জের টেবিলের ওপর। তার টেবিলের ওপর খুব ছোট একটা তৃণলতা শোভা পাচ্ছে। তৃণলতাটা একটা পুরনো মাটির পাত্রে দাঁড়িয়ে। পাত্রটা দেখে মনে হচ্ছে সেটা কোনো এক দিন দই খাওয়ার পাত্র ছিলো।

আজ ইনচার্জ ছাড়াও আরও চার জন পুুলিশ ব’সে। আমাকে দেখে গত দিনের পুলিশ দুজন বেরিয়ে গেলেন - কাজ আছে হয়ত!
আমি অফিসার ইনচার্জের কাছে আমার পরিচয় দিলাম। যে গাছটার ওপর হত্যার হুমকি ও খড়গ ঝুলছে সেটার ব্যাপারে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম। আরও অনেকের মতো তিনিও অবাক হলেন। আমি তাকে বললাম, স্যার! আপনি আসার পর থানার চেহারাটাই পাল্টে গেছে। লতা গুল্ম আর বৃক্ষের প্রতি আপনার ভালোলাগা দেখে অভিভূত হলাম। নতুন করে সাহসী হয়ে তাই আমার জিডিটার ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে এসেছি।

জিডির কপিটা হাতে নিয়ে তিনি পড়লেন। আমার দিকে অবাক অবাক চোখে তাকিয়ে বললেন, এরকম তো কখনো ভাবিনি! তা আপনি যাই বলেন, বিদেশেও কিন্তু এরকম নেই। বিদেশে ওরা পশুপাখি নিয়ে অনেক মাথা ঘামায়। তাই বলে গাছ কাটার বিরুদ্ধে এরকম কোনো আইনের কথা তো আমি শুনি!ি আমিও শুনিনি স্যার, আমি বললাম। তাহলে এসব করছেন কেন? ইনচার্জ বললেন। আমি বললাম, সব কিছুই তো কখনো না কখনো প্রথম শুরু হয়। এই যেমন ধরুন, এক সময় মেয়েদের ভোটাধিকার ছিলো না! গাছের যে জীবন আছে এটাও বিশ^াস করা হতো না!

অফিসার ইনচার্জ বললেন, আপনার সাথে আমি ঠিক একমত নই। সরকারি গাছ সরকারের লোকজন কাটছে তাতে আপনার কি? আমি বললাম, স্যার! একশ বছরের পুরনো গাছ! গাছটাতে কত আগাছা পরগাছা আর পশু পারি জীবন যাপন করছে একবার ভাবুন! তাছাড়া এ অঞ্চলে আর কোনো মহুয়া গাছও নেই - সে দিক থেকে এটা তো একটা অমূল্য সম্পদ। ও বৃদ্ধ হয়ে একদিন তো মরবেই, তার জন্য এত ব্যস্ততা কেন? ইনচার্জ বললেন, কি জানি কি বলছেন কিছুই বুঝতে পারছি না। আমি বললাম, আপনি যদি একটা গাছের মূল্য না বোঝেন তাহলে একটা উদ্যান, বন বা সুন্দরবনের মূল্যও বুঝবেন না।

কিছুতে কিছু হওয়ার নয় দেখে আমি বিদায় হ্িচ্ছ। বাসায় ফিরতে ফিরতে মনে হচ্ছে, এভাবে কিছু হবে না। উদ্ভিদের অধিকার রক্ষার ব্যাপারে আমি নিজে যা পারি তাই করতে হবে। ভাবছি, গাছটাকে রক্ষার জন্য কাল সকাল থেকে আমরণ অনশনে যাব। ঘরে ফেরার পথে তাই বাজার থেকে একটা প্লাকার্ড বানিয়ে নিলাম।

সকালে আজ তাড়াতাড়ি বেরচ্ছি দেখে বাবা বললেন, কোথায় চললি? আমি বললাম, উদ্ভিদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে। বাবা বললেন, সে কি কথা? আর কারা আছে তোর সাথে? আমি বললাম, এখনও জানি না কারা আছে, অথবা আদৌ কেউ আছে কিনা। আমি ঘর থেকে বেরিয়ে পথে নেমে এলাম।

বাইরের দুনিয়াটা জৌলুসে ভরপুর; তবে তা প্রায়শ: জড় আর প্রাণহীন। আমি প্রাণে পূর্ণ পৃথিবীর সন্ধানে বৃক্ষ মহুয়ার পাশে হাজির। বসে পড়ি খোলা হাওয়ায়, ঘাসের ওপর। আমার পিছনে গাছটার গায়ে দাঁড় করিয়ে দিই গত রাতে বানানো সেই প্লাকার্ডটা। তাতে লেখা -
উদ্ভিদের অধিকার চাই।
গাছের নিরাপত্তা চাই।

সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×