আমি আজ প্রায় ছয় বছর ধরে কোনো
বিয়েতে যায়না। শেষ বিয়েতে
গিয়েছিলাম বোধহয় ২০০৯ নাকি
২০১০ এর দিকে।
.
বিয়েতে একজন নারী এবং একজন পুরুষ
থাকে। একসময় এই নারীটি কোনো
একজনকে ভালোবাসতো,তাকে
নিয়ে সে অনেক আশা করেছিলো।
দুর্ভাগ্যজনক ভাবে তাদের মিল
হলোনা। নারীটি নতুন করে
আরেকজনের সাথে ঘর বাধার
পরিকল্পনা করে। এবং সে বিয়েতে
রাজি হয়।
.
যে পুরুষের সাথে নারীটির বিয়ে
হতে চলেছে সেও একজনকে মন থেকে
চেয়েছিলো কিন্তু পায়নি। সেও
হাসিমুখে বিয়ে করে নিচ্ছে।
.
ধরলাম পাত্রপাত্রী দুজনেই খুশী।
কিন্তু এদের দুজনের পাশাপাশি
আরোএকজন আছে যে কিনা
প্রকৃতভাবে ভালোবাসে দুজনের
মাঝে একজনকে।সেও হয়তো
রবীন্দ্রনাথের মতো বলতে
চেয়েছিলো:
"..যে কথা রয়ে গেলো মনে
সে কথা যেনো
আজি বলা যায়
এমন ঘনঘোর বরিষায়.."।
.
সে হয়তো কোনোদিন বলতে
পারিনি, বললেও নাকচ হয়ে যায়।
তার আর কিছুই করার থাকেনা। তখন
হয়তো সে ভবঘুরে হয়ে হাটতে
থাকে কিংবা নেশাগ্রস্থ হয়ে
পড়ে থাকে কিংবা কবিতা-
উপন্যাস লেখে অথবা গান করে।
মাঝেমধ্যে নিজের লেখা
কাহিনীগুলোকেও
সিনেমা,নাটকে রূপ দিতে চায়।
.
যেদিন বিয়ে হতে যাবে সেদিন
সে এক প্যাকেট সিগারেট নিবে।
নারী হলে ব্লেড দিয়ে কেটে নাম
লিখে রাখবে না হলে কিছু ধোঁয়া
নিবে ব্ল্যাক কিংবা পন্ডের।
একরাতে পুরো প্যাকেট শেষ করে
ধোঁয়া দিয়ে সে তার ব্যথা
উড়িয়ে দেওয়ার চেস্টা করবে
বাতাসে। কিন্তু বাস্তুসংস্থানের
প্রক্রিয়ার মতো ব্যথাগুলো তার
বুকে এসে জমবে।
.
অথবা মদের বোতল কিনে সমুদ্রের
পাড়ে যাবে। সমুদ্রের পাড়ে
গিয়ে মাতলামি করবে। বোতল
শেষ হলে সমুদ্রে তা ফেলে দিবে।
এদিকে বিয়েতে আসা সবাই
খাবার-দাবার নিয়ে ব্যস্ত
থাকবে,কোন আত্নীয় কখন কি
করলো,হাসাহাসি ইত্যাদি।
এছাড়া ফটোগ্রাফারদের দিয়ে
বিয়েতে আসা হিংস্র মানুষরা
ছবি তুলবে অনেক মজা করবে। সেই
হতভাগা প্রকৃত প্রেমিক/
প্রেমিকাকে কেউ দেখেনা। সে
কোথায় যেনো হারিয়ে যায়
যেমনটা তার ভালোবাসা
হারিয়ে যায়।
তখন সে বিয়ে করবেনা বলে
সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেই কথা তার
মা-বাবাকে বলার প্রস্তুতি নেই।
পুনশ্চ: ব্রেকআপ হওয়া ভালোবাসা
থেকে এইরকম একমুখী ভালোবাসা
খুব বিশুদ্ধ হয়। ব্রেকআপ হওয়া
ভালোবাসাতে অপূর্ণতা থাকেনা,
একমুখীতে অপূর্ণতা থেকে যায়।
-আল নাহিদ শুভ
১৫.০১.২০১৬