ডা: আতাউর রহমান, একটি ক্লিনিকে বসেন, আজ থেকে বার বছর আগে তাঁর সাথে পরিচয়। আব্বু ইহলোক ত্যাগ করার পর আম্মু অসুস্থ হয়ে পড়লেন, তাকেঁ নিয়ে ঐ ক্লিনিকে যাই। আগেই বলে রাখি আমি ডাক্তারদের দেখলে ভয় পাই। তবু আম্মুর শরীর খারাপ হওয়াতে তাকেঁ নিয়ে গিয়েছিলাম। ডাক্তার সাহেব সব শুনে টেষ্ট লেখা শুরু করলেন, আমি মাঝ পথে বললাম, স্যার যে টেষ্ট গুলো না হলেই নয় শুধু সেগুলো দেন। আব্বু মারা যাওয়াতে আমার পকেট খালি। ডাক্তার সাহেব আমার মুখের দিকে একটুক্ষন তাকিয়ে কিছু টেষ্ট কমিয়ে দিলেন। ঔষধ লিখে দিলেন, টেষ্টগুলো করিয়ে আম্মুকে নিয়ে বাসায় চলে গেলাম। তিন চার দিন একটু ভাল থেকে আবার মাঝ রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে গেলেন। রাত তখন ২টা বাজে, আমি উপায়অন্ত না পেয়ে ডাক্তার সাহেবকে ফোন দিলাম, তিনি একটুও বিরক্ত না হয়ে ঔষধ বলে দিলেন। ঔষধ এনে দেবার পর আম্মু সুস্থ হলেন। সেই থেকে শুরু। সেই ডাক্তার সাহেব এখন আঙ্কেল বলি, এখনো একই ক্লিনিকে রোগী দেখেন। মজার কথা হচ্ছে ঐ ক্লিনিকে প্রায় ৯০ ভাগ রুগী উনি দেখেন। তাঁর ভিজিট গত ১২ বছরে কমেছে আরো এক শত টাকা। আর আমার আম্মুর জন্য অর্ধেক। আম্মুর পরিচয় দিলে আরো আন্তরিক ভাবে দেখেন, ভিজিট টেষ্ট ফি কম নেন। তিনি ধনী গরীব সবাইকে দেখেন আন্তরিকতার সাথে। সেই দিন দেখলাম কিছু রুগী আঙ্কেলের জন্য লাউ, শাক সবজি নিয়ে এসেছেন। আ্ঙ্কেল হাসি মুখে তা নিচ্ছেন। কোন কোন রোগী বলছে বাবা আজ ভিজিট দিতে পারব না, ঔষধ কিনার টাকাই নাই। আতা আঙ্কেল হেসে বললেন আমারটা ছেড়ে দিলাম, ঔষধ তো খেতে হবে। বৃদ্ধা বলল কি করবো টাকা নেই। আতা আঙ্কেল উঠে রাস্তার উল্টো পাশের দোকানে গেলেন, দোকানদারকে বললেন ওনাকে বাকীতে লাভ ছাড়া ঔষধ দেন। দোকানদার তাই দিল। বলে রাখি দোকানটার মালিক অন্য লোক। নিজে অনেক সময় অসুস্থ থাকলেও হাসি মুখে রুগী দেখেন। এত কথা কেন বলছি জানেন? এখনকার অনেক কসাই ডাক্তারের আচারন দেখে, তারা নিজেকে অন্য গ্রহের মানুষ মনে করেন (অবশ্যই সবাই নয়)। অনেকে হয়ত বলবেন ডা: আতা সাধারন কোন ডাক্তার। না, তিনি বিষেশজ্ঞ ডাক্তার বারডেমে বসতেন। এখনো ২/৩ জায়গায় বসেন। সালাম জানাই জনতার ডাক্তারকে। আমি ডাক্তার দেখলে ভয় পাই কারন তাদের সঠতার কারনেই আমি পিতৃহারা। আমার মাঝে সেই সব হারামীকে দেখলে এখনো আগুন জ্বলে উঠে। আমি যতদিন বাঁচব সেই সব বিবেকহীন ডাক্তারকে অভিসম্পাত দিব। যে সব তরুন ডাক্তার ভাই বোনের মাঝে আজো মানবিক মূল্যবোধ বিদ্যমান, তাদের অনুরোধ বলব, আপনারা ফোরাম করে একটা জায়গা ঠিক করুন যেখানে মাসের এক এক দিন একজন ডাক্তার বসে গরীব লোকদের ফ্রী চিকিৎসা সেবা দিবেন। যদিও নিভৃতে কেউ কেউ এই মহৎ কাজটি করেন। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। একজন রোগী শুধু সঠিক চিকিৎসা পরামর্শের অভাবে মারা যাবে তা একজন মানুষ হয়ে মেনে নেয়া যায় না। আপনাদের কাছে জাতির অনেক প্রত্যাশা।
জনতার ডাক্তার এবং নিজের ব্যাথা
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।