somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মানস চোখের ভ্রমণ রঙ্গঃ পর্ব – ১

০৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



যখন খুব বেড়াতে যেতে ইচ্ছা করে কিন্তু যেতে পারি না তখন মনের কোনে খুব নস্টালজিয়া চেপে যায়। পুরানো কোন বেড়ানোর ছবি দেখতে থাকি অথবা মানস চোখে পুরানো সব বেড়ানোর ঘটনা মনে করে নিজে নিজেই মজা পেতে থাকি, ঠিক যেন “পাগলের সুখ মনে মনে”। অফিসে আসার পথে আজকের এই মেঘলা মেঘলা আবহাওয়ায় ইচ্ছা করেছে অফিসে না ঢুকে কোন এক দিকে চলে যাই :) :)। কিন্তু বিধি বাম, কিছুই করার নাই!! নাহ !! করার আছে…… দুই একটা ভ্রমন সাথে জড়িত মজার ঘটনা মনে করি…… :) :)

ঘটনা – ১
একবার ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাচ্ছি সোহাগ পরিবহনে ২০০৫/৬ সালের দিকের কথা, তখন সোহাগ পরিবহনের ভলবো বাস গুলো নতুন আর ব্যপক হাই-ফাই অবস্থা, সামনে বিজনেস ক্লাস আবার পিছনে ইকোনমি ক্লাস। চট্টগ্রামে যাওয়ার বাস, মালিবাগ থেকে যথাসময়ে বাস ছাড়লো, বাস যাত্রাবাড়ী পাড় হওয়ার পড়েই একজন বেশ উচ্চস্বরে মোবাইলে কথা বলা শুরু করলো।

ঃঃ- হ্যালো স্যা…র ! স্লামালেকুম !!
- জ্বী স্যার ভালো
- জ্বী…জ্বী, স্যার আমি তো সিলেট যাচ্ছি!!
- কোন সমস্যা নাই স্যার আমি অলরেডী সিলেটের পথে……
- জ্বী… জ্বী……

তার কথা শুনেই তো আমার মাথা মোটামুটি খালি, এক সেকেন্ডের মধ্যে চিন্তায় পরে গেলাম, বাস কি ভূল করলাম আমি তো যাবো চট্টগ্রাম আর যেনে শুনেই উঠলাম এখন আবার এই বাস সিলেট যায় ক্যামনে? না-কি এই লোক ভূল করলো? বাসে মধ্যে লক্ষ্য করে দেখি একধরণের মৃদু গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বিজনেস ক্লাস থেকে বেশ একজন হোম্ড়া-চোমড়া গোছের লোক সুপারভাইজার কে ডেকে কৈফিয়ত শুরু করলো। সুপারভাইজার তো শুনে আকাশ থেকে পড়লো সে বললো বাস তো চট্টগ্রামেই যাচ্ছে। তখন আমরা বললাম ‘মফিজ কট’ এই লোক ধরা খাইছে সে সিলেটের মনে করে চট্টগ্রামের বাসে উঠে বসে আছে। সুপারভাইজার তাকে গিয়ে বলাতে সে শুধু হাসে বলে ‘ভাই আমরা সবাই ঠিক বাসেই উঠছি, আমিও চট্টগ্রাম যাব, কিন্তু আমার বস জানে আমি সিলেট যাচ্ছি, তাই বসকে কনফার্ম করলাম…”। শুনে পুরো বাসে মোটামুটি এক হাসির রোল ঊঠলো।



ঘটনা – ২
প্রথম বার থাইল্যান্ড গিয়েছি, সেই ২০০১ সালে আর আমি মাত্র ফ্রেশ গ্রাজুয়েট, তখন আমাদের দেশ থেকে থাইল্যান্ডে এতও লোক বেড়াতে যেত না। আর আমারও ঐটা ছিল প্রথম বিদেশ যাওয়া। যারা থাইল্যান্ডে আগে গিয়েছে তাদের কাছ থেকে জ্ঞান নিচ্ছি। মোটামুটি সবাই খাবারের ব্যাপারে সাবধান করে দিল, একেতো হালাল খাবার কম তারপর আবার খাবারে গন্ধ। মাংশ-টাংশ যেন না ধরি, ইত্যাদি… ইত্যাদি। যাইহোক, প্রথম রাতের ডিনারেই বিপদে পড়লাম, একটা ইউনিভার্সিটির ক্যাফেটোরিয়াতে রাতে খেতে গেছি, বুফে সিস্টেমের খাওয়া, যথারীতি গন্ধ তো লাগছেই আর নতুন ধরনের খাবারে গন্ধতো অন্য রকম হবেই কিন্তু আমার গন্ধ নিয়ে তেমন কোন বিড়ম্বনা নাই কিন্তু সমস্যা হচ্ছে খাবার চিনি না। একটু দুরের টেবিলে দেখলাম একজন এক বাটি ভাত আর একটা ডাব নিয়ে বসেছে। আমি ডাব দিয়ে ভাত ক্যামনে খাবে তা চিন্তা করতাছি তারপরেও যেহেতু এইটা চেনা খাবার আমিও গিয়া একবাটি ভাত আর একটা ডাব নিয়ে আসলাম। বেশ কষ্ট করে কয়েক চামুচ ভাত আর ডাবের পানি দিয়ে খাওয়া শেষ করলাম। আমার খাওয়া শেষের পরে আমি দেখলাম ঐ ব্যাটা উঠে গিয়ে আরও অনেক কিছু নিয়ে আসলো, তখন বুজলাম এইটা ওর মেইন কোর্স ছিল না জাস্ট এপিটাইজার। আমি আর কি করি এক বোতল জুস কিনে খেতে খেত রুমের দিকে গেলাম। এখনও এই ঘটনা মনে পড়লে একা একা হাসি।

আজকে জন্য এই দুইটাই থাক…… আবার মনে পড়লে শেয়ার করবো !!!!

(……চলমান)

মানস চোখের ভ্রমণ রঙ্গঃ পর্ব – ২
=====================================
ছবিঃ গুগল থেকে নেয়া
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:২৪
৮টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×