


মাঝে মাঝে মনে হয় বাঙ্গাল নিজেদের ভালো বুঝে না। নাহলে বাঙ্গাল হিরো আলমকে একদিনে সুপার হিরো বানায়া দেয় অথচ জাতীয় ইস্যু সুন্দরবন নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যথা নাই।
বাংলাদেশের জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে সে হিসেবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা প্রয়োজন। কিন্তু সেটা করার জন্য সুন্দর বনের ব্যপক ক্ষতি সাধন করা মোটেও গ্রহন যোগ্য নয়। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ও বাংলাদেশ একই সময়ে যে পরিকল্পনা নিয়েছে তা হলো সুন্দর বনের রামপাল এলাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করার যেটি সম্পূর্ণই কয়লা নির্ভর। ঐখানে দুটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে ১৩২০ মেগাওয়াট।
বাঙ্গাল নিজের ভালো কেন বুঝে না সেটাও বলছি। ভারতের ছত্তিশগড় এলাকায়ও একই প্রকল্পে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার প্রস্তাব দেয়া হয়। যেটা কয়লা নির্ভর। কিন্তু সে দেশের পরিবেশ মন্ত্রণালয় সেটা বাতিল করে দেয়। কারন এতে তাদের পরিবেশের ক্ষতি হবে।
শুধু বাঙ্গালই বুঝলো না সুন্দর বনে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র কত ক্ষতি করবে পরিবেশের। বাঘ মামা বলে সুন্দরবনে কিছু থাকবে না।
১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার জন্য বছরে ৪৭ লাখ ২০ হাজার টন কয়লা পোড়াতে হবে। আর এতে ১ টন কয়লা পোড়ালে প্রায় ৩ টন কার্বন ডাই -অক্সাইড উৎপন্ন হবে। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি!! এছাড়াও এতে সালফার ডাই-অক্সাইড এবং নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড গ্যাস নির্গত হবে। এসব বিষাক্ত গ্যাস সম্পূর্ণ সুন্দরবন ধ্বংস করতে তিন বছর ও সময় নিবে না।
এছাড়া এটার ফলে ৭ হাজার ৫০০ পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়বে। তাদের উদ্বাস্তু জীবনের দায়ভার কি নিবে সেই প্রশ্ন রয়েই যায়।
এই রামপালের ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যেয়ে সুন্দর বন ধ্বংস করে দেয়ার মহান সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আসুন আমরা মাননীয় শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। এখন সুন্দর বন ধ্বংস করছেন কিছু বছর পর বাংলাদেশ ধ্বংস করবেন সেটাই আশাকরি।
এই রামপাল বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প বাতিল করার দাবি জানাই। ভারতের সাথে সুসম্পর্ক রাখতে যেয়ে নিজ দেশের ক্ষতি করার কোন মানে হয় না। বউয়ের ইজ্জত বিলিয়ে দিয়ে বন্ধুত্ব রক্ষা করার কোন মানে হয় না।
রামপাল বিদ্যুৎ পকল্পের বিপক্ষে কিছু লিখুন। দেশটা আমাদের ভাবনাটাও আমাদের।

সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




