তুষার দেশে আনন্দের এক একটা দিন..........
খুব কাছের, খুব বেশি আপন কোন মানুষকে বহুদিন পর দেখতে পেলে, কেমন জানো অচেনা লাগে। "বহুদিন পর" - শব্দ দুটোর দিকে চোখ পরতেই হাসি পেল আনন্দর। এই বহুদিন খুব বেশিদিন কি? মাত্র ৫৩দিন। তাতেই যেন অনন্তকাল বলে মনে হচ্ছে আনন্দের।
এই যোগাযোগের দুনিয়ায় প্রায় দুমাস এ্যলেনকে না দেখে থাকাটা কেমন যেন অন্য রকম এক অনুভূতির তৈরী করেছে আনন্দের ভেতর। বিশেষ করে স্কাইপ, ওভিও, ফেইসবুকের যখন মানুষ দুটোর হাতের নাগালে, সেসময়ে একজন নিকট মানুষের একটা ছবি না দেখা, কিংবা ৩৫দিন কন্ঠস্বর না শুনতে পাওয়া বুঝি কেমন অস্বাভাবিক মনে হয় আনন্দের।
তবে হাপিয়ে উঠেছিল কি, আনন্দ ? নাহ্। না দেখবার, না কথা বলবার মাঝে হাহাকার ছিল, শুন্যতা ছিল। ছিল সব পাওয়ার মাঝে, কিছু একটা না পাওয়া। আবার অনেক না পাওয়ার মাঝে ঘিরে ছিল, চেনা সেই মুগ্ধতা। না দেখার মাঝেও যেন, চোখ বন্ধ করলেই সেই অতিসাধারন মুখোবয়ব, কিংবা না শুনতে পাওয়া কন্ঠস্বর যেন কানের কাছে বলে যায় শেষ সন্ধ্যার সেই আর্তনাদ করে কেঁদে ওঠা এ্যলেনের ভালোবাসবার স্বীকারোক্তি।
আনন্দ আজ সেই "বহুদিন" পর এ্যলেনের খুব সম্প্রতি তোলা কোন ছবি দেখলো, এ্যলেনেরই একটা ওয়েবসাইটে। আশ্চর্য হলেও সত্য, ছবিটা দেখবার পর পরই যে কথাটা আনন্দকে আশ্চর্য করেছে তা হচ্ছে- "ও, এ্যলেনের রুম এটা"। যেন
যেন আনন্দ, এ্যলেনকে দেখবার চাইতেও ওর পারিপার্শ্বিক
অবস্থা দেখবার প্রতি বেশি আগ্রহী। এই হলো মানব চরিত্র। মানুষ যেন অতিকাছের মানুষগুলোকে এতো বেশিই কাছে- একান্ত নিজের করে ফেলে যেন সেই আপন মানুষটারই কোন অস্বস্তিত বলে কিছু থাকেনা, তার পারিপার্শ্বিকতা, তাকে ঘিরে থাকা অন্যসব কিছু হয়ে যায় মূখ্য। এ্যলেনের পেছনে থাকা বিছানাটা, আধ খোলা কোন দরজা, কিংবা হেঙ্গারে ঝুলানো কালো জ্যাকেটটা সব কিছুই যেন নিখুতভাবে দেখলো আনন্দ। কিন্তু এ্যলেনকেই যেন দেখলোনা ঠিক করে। আনন্দ কি এ্যলেনের ঐ স্থির ছবিটার চোখের দিকে তাকাতেও ভয় পায়?
হয়তো তাই। আর সেজন্যই তো, কোন আগ্রহ নেই যোগাযোগ করবার। দেখবার, কিংবা ভালোমন্দ জানবার। এখন কেবল দুরত্ব বাড়াবার সময়। না দেখে, না কথা বলে বাঁচবার জন্য অভ্যস্থ হবার সময়। সেকারনেই এতোটা সময় পার হয়ে গেলেও হাপিয়ে ওঠেনি আনন্দ, আছে বেঁচে নির্জীবের মতো।
**************************************************
খুব অদ্ভুদ মানুষ বললেই হয়, আনন্দকে। একটা সময় ছিল যখন পচ্ছন্দ না করলেও মোবাইল ফোনটা ব্যবহার করতো, পরিবার থেকে দুরে থাকতো বলে। এখন আর সেসব ঝামেলাও নেই। অফিস আর বাসায় আছে ল্যন্ডফোন। আর আছে সার্বক্ষনিক ইন্টারনেট লাইন। তাই মোবাইল নামক যন্ত্রনাটাকে বিদায় জানাতে পেরে মহাখুশি আনন্দ।
যদিওবা এই আচরন বন্ধু মহল কিংবা আত্বীয় পরিজন কেউই সানন্দে গ্রহন করেনি, বরং ইংগিতে ভালোভাবে মানষিক সমস্যার আভাস দিয়ে সচেতন নাগরিক হবার দায়িত্ব পালন থেকে মোটেও বিরত থাকেনি, তবু আনন্দের কোন ভাবাবেক হয়েছে বলে মনে হয়নি। শুধু সমস্যা হয়েছে, দেশের বাহিরে চাকুরীর আবেদন করবার সময়। স্থান-সময় বিবেচনা না করে যৌথ পরিবারের ল্যন্ডফোনে আনন্দের খোজ করার কারনে বিরক্তি সৃস্টি করলেও তাতে কারোর কোন অসুবিধা হচ্ছে বলে মনে হয়নি।
আর স্কাইপ? আনইন্সটল করে, বেচারী আনন্দ চেয়েছে নিজের পৃথিবী থেকে দুরে সরে আসতে। হ্যা, আনন্দ কোনদিনই তার একান্ত পৃথিবীটাতে বেশি মানুষের সমাগম রাখতে পচ্ছন্দ করতোনা। তাই স্কাইপ, গুগোল কিংবা যেকোন যোগাযোগ মাধ্যমে আনন্দ থাকে খুব অল্প কিছু মানুষ নিয়ে। আর ফেইসবুক, তার লেটা চুকেছে বহু বছর আগে। একটা সময়ছিল, পরিবার পরিজনদের ছবি দেখবার আগ্রহ থেকে একটা একাউন্ট রেখেছিল, একটা সময় মনে হলো - ঝামেলা। তাই তাও আর রাখলোনা গোনার মাঝে। তাই বলে আনন্দ অসামাজিক কিংবা ঘরকুনো নয় মোটেও।
ভালো ভাবে মেলামেশা, সামাজিকতা প্রয়োজন মতো করে, তবে সবাইকে সব জায়গায় প্রবেশাধিকার দেবার মাঝে আনন্দের ঘোর আপত্তি। সেকারনে আনন্দকে অনেককেই ঠিক বুঝে উঠতে পারেনা। খুব সাধারন উদাহারন, স্কাইপ একাউন্টে কারোর বন্ধু হবার অনুরোধ আনন্দ বিবেচনায় আনে না। আনন্দের একান্ত কিছু মানুষ, যারা ভালোবাসা কিংবা বন্ধুত্বের বাহিরে অবস্থান করে, আনন্দ কেবল তাদের নিয়েই যেন বাচতে চায়, তার এই স্বল্প সময়ের দুনিয়াতে। আর বিশ্বাস করে, এদের মাঝে থাকবেনা কোন দেয়াল, কোন ভন্ডামী। কিন্তু এই প্রত্যাশা বেশি মানুষের কাছ থেকে করা যায়না বলেই "আনন্দের পৃথিবীটা" খুব সীমিত।
কিন্তু সমস্যা হলো, সাধারন মানুষ এই অতি সাধারন বিষয়টাকে এড়িয়ে যেতে পারেনা। তারা বোঝেনা, "আনন্দ ইচ্ছার বাহিরে একটা মুর্হুতও ব্যয় করতে চায়না" - এই কথাটার চাইতেও, একজনকে আপন করে নেবার পর দুরে ঠেলে দেয়া আনন্দের অপচ্ছন্দ কিংবা, আনন্দ নিজের মাঝেও যেন একটা অদৃশ্য দেয়ালে ঘেরা পৃথিবীতে থাকতে বেশি ভালোবাসে। সামাজিক জীব চারপাশের এই মানুষেরা, কেবলই নিজের মতো করে সবাইকে বাঁচাতে চায়, বিবেচনায় আনতে চায়না ভিন্ন মত, ভিন্ন ধারা ।
আকুতি
দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
ক- এর নুডুলস
অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।
ক
একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???
কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???
আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু
২-১ : আলিফ-লাম-মীম
আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে
তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ
১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন