ঢাকা, ১৯ মে (শীর্ষ নিউজ ডটকম): কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রাজধানীর পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত হলো জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) বিভাগীয় মহাসমাবেশ। বুধবার সকাল থেকেই সমাবেশস্থল পল্টন ময়দান ও আশপাশে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে। এই মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে র্যাব ও পুলিশের প্রায় ৮ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়। এছাড়াও সিসিটিভি ক্যামেরা ও কঠোর গোয়েন্দা নজরদারী করা হয়। সমাবেশ স্থলে মোতায়েন করা হয় সাদা পোষাকের দেড় হাজার পুলিশ সদস্য। পল্টন এলাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সাদা পোষাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের নিযুক্ত করা হয়। প্রথম স্তর হিসাবে সভাস্থলের বাইরের ১৭ টি স্থান চিহ্নিত করে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরী করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। দ্বিতীয় বেষ্টনী তৈরী করা হয় মহাসমাবেশের ৬টি প্রবেশ পথে। প্রতিটি প্রবেশ পথেই কঠোর নজরদারীতে রাখেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। সমাবেশস্থলে প্রবেশকারীদের দেহ তল্লাশী করে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। এছাড়া মূল জমায়েতকে আট পয়েন্টে ভাগ করা হয়। প্রতিটি গেট ও পয়েন্টেই সন্দেহভাজন নেতাকর্মীদের দেহ ও ব্যাগ তল্লাশী করেছে পুলিশ। এছাড়া প্রতিটি পয়েন্টে ডিবি ও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। পুলিশ সদস্যরা মহাসমাবেশ কেন্দ্রীক ক্রস পেট্রোল ও রফটপ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও গড়ে তোলেন। এছাড়া রাজধানী জুড়ে বিভিন্ন পয়েন্টে ৬ হাজার র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। যেকোন ধরণের নাশকতামূলক হামলার আশঙ্কায় পুলিশ, র্যাব, ডিবি ও সোয়াত টিমের পাশাপাশি ডগ স্কোয়াড (র্যাব), এসবি সুইপিং টিম, বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড, জল কামান, এ্যাম্বুলেন্স, এপিসি ও প্রিজনার ভ্যান প্রস্তুত রাখা হয়। রমনা জোনের ডিসি কৃষ্ণপদ রায় শীর্ষ নিউজ ডটকমকে জানান, বিএনপির মহাসমাবেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শুধু সমাবেশস্থলেই দেড় হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতেও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে রাজধানীর কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিএনপি’র মহাসমাবেশ শান্তিপূর্ণ ভাবেই শেষ হয়েছে। মহাসমাবেশ স্থল ও এর আশপাশের বিভিন্ন প্রবেশ পথে পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সক্রিয় ছিলেন। কাউকে সন্দেহ হলেই তারা তল্লাশী করেছেন। মূল মঞ্চ সংলগ্ন বিভিন্ন উচুঁ ভবনের ছাদে মোতায়েন ছিল র্যাব ও পুলিশের সোয়াত টিমের সদস্য। তাদেরকে ক্যামেরা ও দূরবীণ যন্ত্র দিয়ে সম্পূর্ণ সমাবেশস্থল ও নেতাকর্মীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গেছে। সমাবেশস্থল ও পল্টনের আশপাশ এলাকায় বিপুল সংখ্যক মহিলা পুলিশও মোতায়েন করা হয়। এছাড়াও সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের তৃতীয় তলায় পুলিশের সাব কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়। যানবাহন চলাচলে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন ডিএমপি। এদিকে পল্টনের মহাসমাবেশে যোগদানের সময় রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর আওয়ামীলীগের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে নরসিংদি থেকে আসা বিএনপির গাড়ি বহরে রূপগঞ্জ গাউছিয়া এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মিরা হামলা করে। এসময় নরসিংদি জেলা জাসাসের সভাপতিকে কুপিয়ে আহত করে। দুপুর ৩টার সময় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
(শীর্ষ নিউজ ডটকম/এইচআর)
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০১০ রাত ১১:২০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





