সময়টা আমার পক্ষে নেই তাই লিখতেও আর ইচ্ছে করে না।আজ অনেকদিন তোমার কাছেও লেখা হয় না কোন কবিতা,গল্পও লেখা হয় না।একটু কঠিন সময়ই যাচ্ছে আমার।তুমি চাইলে তরল করার চেষ্টা করে দেখতে পারো আমি না করব না।
কেমন আছো তুমি?তোমার মনে আছে কিনা গেলোবারের চিঠিতে বলেছিলাম শরত আমার খুব প্রিয়।শরত আসলে তোমাকে আমার কাছে আসতে বলব।কিন্তু না তা আর হলো না। শরতের নাম বলা হলেও বৃষ্টি এখনো আমার ফুটো ঘরের ছাদটা ছেড়ে যায় নি।বরং বৃষ্টি পড়ার বেগ আরো বেড়েছে।দোষটা আমার নয় কারন ঘরটা আমার কিন্তু ছাদটা অনেক আগেই বেওয়ারিশ হয়ে গেছে।গভীর রাতে বৃষ্টির ফোটায় তাই ঘুম ভেঙে যায়।আর ঘুম ভাঙলেই দেখি বৃষ্টির ফোটা আমার শরীরেরও এক জায়গায় গড়িয়ে গড়িয়ে শুকিয়ে গেছে। বোধ হয় ঘুমানোর সময় তোমার কথা ভেবে।চোখের ওপরে ইদানীং আর কন্ট্রোল চলে না।
আজও একবার ঘুম ভেঙেছে বৃষ্টির শব্দ শুনে।কি এক আশ্চর্য ব্যাপার হয়েছে ঘুমোতে গেলেও মন তোমার কথা ভাবে আবার ভেঙে গেলেও তোমায় নিয়েই ভাবতে চায়।আমার আমিতে আজ আমির টানাপড়েন শুরু হয়েছে স্ব্প্নীল তুমির আক্রমনে।অথচ বাস্তব তুমি অন্য কোথাও হানা দিচ্ছে ঢাল কিংবা শড়কি নিয়ে অন্য কোন মনের ঘরে।একটি বার আমার ঘরে হানা দিয়ে দেখতে পারো গোলাপের মাঝে হারিয়ে যাবে।
তোমার ঠিক কোনটা আমার ভালো লাগে বলতে পারি না।আর কারনটা ধরতে পারি না বলেই হয়তো আরো বেশি ভালো লাগে।যদি একবার ধরতে পারতাম সে কারনটা তবে আর ভালো লাগতো না।কারনটার একটু গভীরে গেলেই হয়তো বুঝতে পারতাম এই ভালো লাগার কারনটাই তোমাকে ভালো না লাগার অন্যতম কারন হতে পারে।যাই হোক কারনটা উদঘাটন করার বিন্দু মাত্র আগ্রহ আমার মাঝে নেই। বিশেষতঃ আজকের দুনিয়ায় ভালোবাসাই যেখানে মুখ্য ভালো লাগাটা মুখ্য নয়।
সময়টার আসলেই কি যেন হয়েছে সুযোগ পেলেই তোমার সাথে দেখা না হওয়ার দৈর্ঘ্যটা সে একটু বাড়িয়ে নেয়।আজ প্রায় তিন মাস হলো দেখা হয়ে ওঠে না।কথা বলার সুযোগ আছে মোবাইলের কল্যাণ্যে।তবু সেটাও আর হয়ে ওঠে না।কারনটা স্পষ্ট নয় তবে অনুমেয়।আমার ঠিক যতটাই আগ্রহ তোমার তার থেকে একটু বেশিই অনীহা।সে অনীহার কারন বিশ্লেষনে গেলে আমি একটা অব্যয় হয়তো দাড় করাতে পারব কিন্তু সেটা মার সাথে মামাবাড়ির গল্প করার মত হবে।
(চলবে)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




