somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বর্তমান বড় রাজনৈতিক দল গুলোতে কোন কর্মী নেই, সবাই নেতা

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বর্তমান বড় রাজনৈতিক দল গুলোতে কোন কর্মী নেই, সবাই নেতা। মাঠে রাজনীতি করার কোন লোক নেই সবাই ফটোর রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত। এখন লক্ষ্য করলে দেখা যায়, এমপি বা মন্ত্রীর সমাবেশে নেতারা (আগেই বলেছি কোন কর্মীনেই) সমাবেশ সফল ও সুন্দর করা বিপরীতে কার সাথে কীভাবে ছবি তোলা যায় আর সেই ছবি কার আগে কে ফেইসবুকে আপলোড দিতে পারে এই নিয়ে ব্যস্ত থাকে। যদি এভাবেই চলতে থাকে তাহলে দল যতই বড় হোক না কেন অদূর ভবিষ্যতে দল তার ভিত্তি হারাবে এবং ধীরে ধীরে তার মুচড়ে যাওয়া সুনিশ্চিত। যার প্রমান আমরা একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবো।
একটি রাজনৈতিক দলে যদি কয়েকজন দূরদর্শী যোগ্য নেতা থাকেন আর নেতার মত ও আদর্শে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাসী কর্মীবৃন্দ থাকেন তাহলে যে কোন দলই সুসংঘটিত হয়। যা আমরা বড় রাজনৈতিক দল গুলোতে দেখি। কিন্তু এখন দেশে আর সুস্থ ধারার রাজনীতি নেই। ব্যক্তি স্বার্থ সংরক্ষনে অনেকে নিজ দল ও মতকে পর্যন্ত বিসর্জন দিতে পারে। যা নিজের বিবেক বিক্রির সমতুল্য।
রাজনীতি হলো রাজার নীতি। রাজনীতি দেশ ও দেশের জনগনের কল্যাণ কামনা করে। রাজনীতির সুস্থ ধারা একটি দেশের অর্থনীতিকে বেগবান করে। কেউ প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করে আবার কেউ চায়ের হোটেলে চাকরি করেও রাজনীতির চরম শিখরে পৌছাতে পারে। রাজনীতিতে তারাই সফলকাম হন যারা রাজনীতিকে ভালো করে বুঝেন।
গত ১৩ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রীর একটি প্রোগ্রাম কাবার করতে গিয়েছিলাম। মোটামুটি একটা জনসভাই বলা চলে। তখন প্রিন্ট মিডিয়ার জন্য কয়েকটা ছবি তোলতে ক্যামেরা নিয়ে মঞ্চের সামনে যেখানে মিডিয়া কর্মীদের থাকার কথা সেখানে উপস্থিত হই। দেখি সেখানে দুইজন টেলিভিশন মিডিয়ার কর্মী আর দুই তিনজন প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক সহ ২৫/৩০ জন ছবি তোলতে ব্যস্ত। যেহেতু মিডিয়া কর্মী মাত্র কয়েকজন তাহলে বাকিরা কারা? তারা সবাই মোবাইল হাতে ছবি তোলতে ব্যস্ত নেতারা (আমি আগেই বলেছি এখন নিজেকে কেউ কর্মী মানতে নারায)। তাদের মধ্যে বয়স ১৮ পেরোয়নি এমন একজনকে কৌতূহলের বসে জিজ্ঞেস করলাম ভাই এতো ছবি তোলে কী করবেন? (প্রশ্ন করার পর ছেলেটি যে ভাব নিল তাতে মনে হল সে এই প্রোগ্রামের প্রধান অথিতি) তিনি বললেন ফেসবুকে আপলোড দিবেন। আরে ভাই ফেসবুকে আপলোড দিবি ভালো কথা। এতো এতো ছবি তোলার প্রয়োজন কী? তোদের যন্ত্রনায় যারা প্রফেশনালি ছবি তোলতে গিয়েছিল তারাতো ভুক্তভোগী হয়েছেনই এমনকি ক্ষুদ মন্ত্রীই ক্ষুদ্ধ। আমার মনে হয়, বড় রাজনৈতিক দলগুলোর এক একটা করে ফেসবুক সংঘটন খোলা উচিত। যেমন, ফেসবুক লীগ, ফেসবুক দল ইত্যাদি।
নেতা হওয়া কী এতই সহজ? এমপি বা মন্ত্রীর সাথে ছবি তোললেন আর নেতাগিরির ভাব নিলেন! নেতা হতে হলে আগে নেতৃত্ব কী তা শিখতে হবে। নিজেকে উদার ভাবে জনগনের কথা চিন্তা করতে হবে। দেশ ও দশের উন্নতি কল্পে নিজে খেয়ে না খেয়ে কাজ করে যেতে হবে। নইলে আপনি কীসের নেতা?
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×